বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার সামান্য যতটুকু অধ্যায়ন আছে সেখানে কোন গল্পে আমি মুক্তিযুদ্ধকে তাত্তিক পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষিত হতে দেখিনি। হয়ত উপন্যাসে সেটা দাবীও করে না। এই উপন্যাসকে যদি আমি মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস বলি তাহলেও ভয় হয় সংশ্লিষ্ট যেকোন বিশেষজ্ঞ হয়ত ভুল ধরে বসবেন। যেসব বৈশিষ্টের ভিত্তিতে বাংলাভাষার কোন গল্পকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলা যায় সেই সকল বৈশিষ্ঠ্য এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে কি না সে ব্যপারেও আমি সুনিশ্চিত নই। এখানে মুক্তিযুদ্ধ এসেছে আলোচনার সূত্র ধরে। তবে, সামগ্রিক গল্পটিতে মুক্তিযুদ্ধের পরিণামে একটি পরিবারের মনোসামাজিক বিকাশ ও তার পরিণতি অত্যন্ত সুস্পস্টভাবে বিবৃত হয়েছে। যেমন গল্পের শুরুটা এমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষক। ইংরেজি ১৯৭১ সাল বাঙালি জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিক পর্যায় থেকে সামষ্টিক পর্যায় সকলক্ষেত্রে একটি বড় ঘটিত ঘটনা। পাওয়া ও হারানো এই উভয়ের অদ্ভুত মিশেল ১৯৭১ বাঙালি নামক জনগোষ্ঠীর জীবনে। অন্যান্য অনেকের মত এই অধ্যাপকের জীবনেও ১৯৭১ এক মিশেল অধ্যায়। সেই অধ্যাপকের পূর্ব ইতিহাস আছে। ইতিহাসটা এমন - ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সময় ঢাকায় মঙ্গলপান্ডের অনুসারীদের সহায়তা করার জন্য অধ্যাপকের পিতার পিতামহকে ইংরেজরাজ ফাসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। ফাসিতে পিতার মৃত্যুর পর তার পুত্র (অধ্যাপকের দাদা) দেশ ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। বাকিটা উপন্যাসে.............