"দুর্গম পাহাড়ে ভোলা" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা: অশান্ত সাগর: সেন্ট লুসিয়া নামক জাহাজে আটকে রাখা হল ভােলা ও তার গােয়েন্দা দলকে। ক্যাপ্টেন ফিলিপ জন প্রচণ্ড রেগে গেল ক্ষুদে কিশোরদের উপর। চার তলার কেবিনে কৃত্রিম ভৌতিক গলিপথ তৈরী করে ভয়ঙ্কর ও দানবীয় অমানুষিক নির্যাতন চালানাের ব্যবস্থা করল সে। ক্রমশ নির্দয় ও নির্মম হয়ে উঠল জাহাজের প্রতিটি লােক। এক অমাবস্যা রাতে পুরাে জাহাজটাকে ঘিরে ফেলল ভয়ঙ্কর ডাইনি বুড়ি ও প্রেতাত্মারা! কান্নার রব উঠল সেন্ট লুসিয়ায়। সাগর থেকে উঠে আসা রক্ত খেকো রাজ কাঁকড়ারা রাতভর তাড়া করল ক্যাপ্টেনকে। ভয়ে জ্ঞান হারাল পাষণ্ডটা। এদিকে মধ্যরাতে গভীর সাগরে ভয়ানক হাঙ্গরের আক্রমণের মুখে পুরােপুরি পাগল হয়ে গেল রশিদ ডাকাত। কালাে পাহাড়: অচেনা এক কালাে পাহাড়ে আটকা পড়ল কিশাের ভােলা। ছেলে ধরার দল রাতের আঁধারে তাকে অপহরণ করে বেচে দেয় চোরাকারবারীদের হাতে। ভয়ঙ্কর দুর্গম পাহাড়ে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলতে থাকে তার জীবন সংগ্রাম। প্রতি মুহূর্তে ভাল হয়ে চলতে চায় সে কিন্তু চারপাশের মানুষগুলাে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। প্রেতাত্মা। নিশিবন্ধু প্রতি পদে সাহায্য করে তােলাকে জুতা কারখানায় বিনা বেতনে চাকরি পায় ভােলা কিন্তু তার মন পড়ে থাকে বইয়ের পাতায়। শুধু বই পড়ার অপরাধে একদিন তাকে বেদম মার খেতে হয়। একদল চোর তছনছ করে দেয় তার বেঁচে থাকার স্বপ্ন। শেষতক এদের বিরুদ্ধে গােয়েন্দাগিরিতে নামল ভােলা।