“জীবন প্রবাহমান নদীর মত, বহতা নদী যেভাবে কলকলিয়ে চলে আমাদের জীবন ও সভ্যতা সেভাবে এগিয়ে যায়। সুঁই যে গভীর মমতা দিয়ে কাঁথাকে স্পর্শ করে আমরা প্রতিক্ষণ সেভাবেই জীবনকেই উপভােগ করি আর এগিয়ে যায় আমদের জীবনের গল্প। গল্পের বুনন করি শুভ্র পাতায় পাতায় আবেগ আর ভালােবাসার মিলবন্ধনে। এগারসিন্ধুর উপন্যাসের চরিত্র আমদের জীবন থেকেই নেওয়া, এরা আমাদের চেনা ভুবনের আপনজন। যা আমরা দেখেছি, আজ আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি। মানুষের সেই কঠিন দিনের প্রেম আর ভালােলাগার এক সুখ অধ্যায়। তাইতাে তন্দ্রা মেয়েটা নিজের ভালােবাসাটাকে জানান দিতে চায় একান্ত করে, বলতে চায় প্রিয়জনের হাতটা ধরে “জোছনা বেচে আর কতদিন বাঁচা যায় তাই আজ সূর্যের দিকে হাত বাড়িয়েছি।” কিন্তু সে কি পেরেছিল? আমাদের হারিয়ে যাওয়া নব্বই দশকের সেই আজগর ফকিরকে আজও মনে পড়ে যায়। যে ছিল বয়াতী মানুষ, কিন্তু লিখতে পড়তে জানতাে না । মুখে মুখে গান রচনা করত। লিখে রাখত মনের পাতার শুভ্র রাফ খাতায়। মন খারাপের কঠিন দিনে বরফ কলিজায় জমানাে কষ্টগুলাে ছড়িয়ে দিত গানের কথায় কথায় মানুষের অন্তরে অন্তরে আর জানান দিত জীবনের অপ্রাপ্তিগুলাে। চন্দ্রে যদি গ্রহণ লাগে নদীত লাগে টান, মনে যদি গ্রহণ লাগে চক্ষে নামে বান! এভাবেই এগিয়ে যায় এগারসিন্ধুর এর গল্প! ”
মনির মোহাম্মদ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি.এস সি সম্পন্ন করে কাজ করছেন আইটি প্রকৌশলী হিসেবে বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে। মনির মোহাম্মদ এর আজন্ম সাধ, শব্দ চাষা হয়ে কলমের লাঙল চালাবেন কাগজের জমিনে। গল্প বলে যেতে যান সাধারণ মানুষের। যাদের যাপিত জীবন উনাকে ভাবায়। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি, কান্না, প্রেম, ক্রোধ উনার লেখার মূল উপজীব্য। সেই ধারাবাহিকতায় লিখেছেন নীলাদ্রি, এগার সিন্ধুর, নয়া বউ, নাইয়রির এর মত পাঠক নন্দিত উপন্যাস। লিখে চলেছেন গান ও কবিতা যা ইউটিউব এ ছড়িয়ে আছে। কুঁড়িয়েছেন বিভিন্ন মহল থেকে প্রশংসা। পেয়েছেন পাঠকদের ভালোবাসা। ২০২০এ পেয়েছেন প্রিয়বাংলা সাহিত্য সম্মাননা। কাজ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ' অতঃপর একটি বাইসাইকেল, 'পয়জন'। উনার জন্ম ১৯৮৬ সালের ২১ শে অক্টোবর , ময়মনসিংহ জেলার, নান্দাইল উপজেলায়।