আজ থেকে আট বছর আগের কথা। সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেসবুকের নাম মাত্রই শুনেছি। খুব আগ্রহ জাগলাে। কিন্তু কম্পিউটার, ট্যাবলেট, তাে দূরের কথা তখনাে আমি মােবাইল ই ব্যবহার করি না। এর মধ্যেই একটা মােবাইল কিনলাম এবং ছােটভাই-এর সাহায্য নিয়ে ফেসবুকে একটি আইডি খুললাম। পয়লাই সে দেখালাে এক জায়গায় লেখা আছে What is on your mind, ছােটভাই বলল আপনার মনে এই মুহূর্তে কী আছে লিখে ফেলুন। আমি কিছু না ভেবেই লিখলাম এই মুহূর্তে আমার মনে হচ্ছে গান তাে অনেক হলাে, মানুষের ভালােবাসাও মেলা পেলাম, এখন আমার এই জীবনটাকে কাজে লাগানাে দরকার। সত্যিকার অর্থে আমি ফেসবুক খুলেছি মানুষের জন্য ভালাে কিছু কাজ করার জন্য। তখনই ভাবলাম ফেসবুক তাে আসলে যুব সম্প্রদায়ের জায়গা। তাদের জন্য কিছু ভালাে উপদেশ মাবন্ধু বা বন্ধুমা হয়ে করাই আমার ফেসবুক ব্যবহারের উদ্দেশ্য হবে। আমার স্ট্যাটাসগুলাে বেশির ভাগই তাদের উদ্দেশে লেখা। আমার ফেসবুক পাবলিক করে দিলাম। ধীরে ধীরে এখানে ছড়িয়ে দিচ্ছিলাম নিজেকে। আমার একটা স্ট্যাটাস ছিল যে তােমরা কি জানাে কোক প্রাইট দিয়ে ভালাে কমােড বেসিন সাফ হয়? এই কমেন্টে এমন অনেক প্রশ্নোত্তর এর অবতারণা হলাে। সেই স্ট্যাটাস টা একটা ক্লাসের মতাে হয়ে গেল। তখন রংপুর নিবাসী বন্ধু কৃষিবিদ মুহাম্মদ আলী ভাই বললেন আপা একটি স্কুল খােলেন। সাথে ছিলেন ফজলুল রহমান ভাই, ভাগনে ইমরান আবীর, অন্ধভক্ত জান্নাতুল মাওয়া নীলা এবং টর্নেডাে এক যুবক সার্জারি ড. মাহবুবুর রহমান জয়। তারা এই ওপেন কনভার্সেশন বা স্ট্যাটাসটাকে রেখে একটা সিক্রেট গ্রুপ করে স্কুল বানিয়ে দিলাে। আমি দেখি রােজ রাতে ছাত্রছাত্রী জমা হতে লাগলাে। আমি দারুণ আনন্দ পাচ্ছিলাম।
কণ্ঠশিল্পী কনকচাপা। পুরাে নাম রুমানা মাের্শেদ কনকচাপা। ঢাকায় জন্মগ্রহণ করলেও দাদাবাড়ি সিরাজগঞ্জে। গানেই তার জীবন, তার বিস্তার। বাবা সঙ্গীতানুরাগী জনাব আজিজুল হক মাের্শেদ। মা মােমেনা জাহান সমাজসেবক। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও লঘুসঙ্গীতে তালিম নেন কণ্ঠশিল্পী জনাব বশীর। আহমেদের কাছে। জীবনসঙ্গী সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার জনাব মইনুল ইসলাম খান এর হাত ধরে সঙ্গীতের নিয়মিত অঙ্গনে পদার্পণ। ছােটবেলায়ই ডায়েরী, কবিতা, স্মৃতিকথা লেখার পাশাপাশি বন্ধদের পড়ার নােটও লিখে দিতেন শুধুই কাগজকলমকে ভালােবাসার প্রবলতায়। ভালােবাসেন। সুর , শিশু, বই, ফুল, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে। সঙ্গীতে জাতীয় পুরস্কারসহ সব শাখায় পুরস্কার একাধিকবার পেলেও সর্বোচ্চ পুরস্কার মনে করেন শ্রোতাদের ভালােবাসাকে। তারই তার জনপ্রিয়তার আয়না। খ্যাতির বিড়ম্বনা বলে যে শব্দটি শিল্পীদের জীবনে আছে তাকে তিনি বলেন জনপ্রিয়তার ব্যারােমিটার। নিজেকে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে না, একজন কণ্ঠশ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ তার। ব্যক্তি জীবনে পুত্র ফয়জুল ইসলাম খান ও কন্যা ফারিয়া ইসলাম খান এর গর্বিত। জননী। গান, লেখালেখি, বাগান করা, ছবি আঁকা, সেলাই করা এসব নিয়েই কাটে তার দিনমান।