“রেডইন্ডিয়ানদের মায়া সভ্যতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ মধ্য আমেরিকার উপজাতীয় লােকজনকে রেডইন্ডিয়ান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তবে মধ্য আমেরিকার ইউকাটান ভূখণ্ডে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে এক পুরনাে সভ্য উপজাতীয় মানুষের সন্ধান মেলে। ১৫০২ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকায় কলম্বাসের পদার্পণের সময় এই উপজাতীয় মানুষের সঙ্গে তার দেখা হয়। বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতার দিকে। আলােকপাত করলে হয়তাে বর্তমান সভ্যতার দ্বার কিছুটা উন্মােচিত হবে। বিশ্বের অন্য সভ্যতার মতাে মায়া সভ্যতাও সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে পরােক্ষ ভূমিকা রাখে নিশ্চয়ই। দেশটি জীববৈচিত্র্যে ভরপুর । ও চতুর্দিকে সমুদ্রবেষ্টিত প্রাকৃতিক পরিবেশে। লালিত এই জনগােষ্ঠী মায়া জনগােষ্ঠী হিসেবে পরিচয় লাভ করে। তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি, ধর্মীয় চেতনায় দেবদেবীর প্রতি অন্ধ ভক্তি থেকে উৎসারিত, তাদের সমাজগঠনের দুর্বার আকাক্ষায় রাষ্ট্র কাঠামােতে আইন, বিচার ও শাসন প্রণালির বিভিন্ন অন্তরঙ্গ দিকের সন্ধান মেলে। বহুশতাব্দী বিগত হওয়ার ফলে মায়া। জনগােষ্ঠীর লােকজন পরবর্তী সময়ে মেক্সিকো বা উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও তাদের মধ্যে অনেকে দক্ষিণ আমেরিকায় । জনবসতি গড়ে আধুনিক মানুষে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক পৃথকভাবে তাদেরকে শনাক্ত করা না গেলেও তাদের প্রাচীনতম ঐতিহ্যের নিদর্শনস্বরূপ মন্দির, মূর্তি ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আজও অম্লান রয়েছে।
সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিমের। জন্ম পহেলা জুন ১৯৬৭, জয়পুরহাট জেলার অন্তর্গত শাহাপুর গ্রামে। বাবা মাে. রইচউদ্দিন মণ্ডল এবং মা মােছা. তাহেরা খাতুন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯০ সালে এমএ (দর্শন) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি নুনগােলা ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনা পেশায় যােগদান করেন। বর্তমানে তিনি একই কলেজে অধ্যাপনা। পেশায় সহকারী অধ্যাপক পদে নিযুক্ত আছেন। ইতিপূর্বে তাঁর লিখিত গবেষণালব্ধ দুটো বই মুঘল সাম্রাজ্যে নারী ও দ্য হিস্ট্রি অব রয়্যাল লেডিস ইন মুঘল এমপায়ার প্রকাশিত হয়েছে। তারপরে একটি। কবিতার বই পাশ্চাত্য রােমান্টিক কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর স্ত্রী মােছা. মৌসুমী বেগম। প্রথম পুত্র মুশফিকুর রহমান একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং ছােট পুত্র কামরুল হাসান নবম। শ্রেণির ছাত্র।