ফ্ল্যাপে লিখা কথা আমাদের এই প্রিয় গ্রহে একবার হিমযুগ এসেছিল, এবার ছুটে আসছে উষ্ণযুদ। বরফযুগে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, এবার উষ্ণযুগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হবে তার চেয়ে ভয়াবহ, পৃথিবীর চেহারা আমূল পাল্টে যাবে। এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো হলেও আমরাও দোষী নই। ভূগর্ভের জলের স্তর আশঙ্কাজনক কমে যাচ্ছে। আমরা নিজেদের নদীকে শাসন করছি অপরিণামদর্শী হয়ে। ভেজাল ওষুধ ও কীটনাশক ব্যবহার করছি নির্বাধের মতো বা অতি চালাকের ন্যায়। রাস্তা, সেতু, ভেড়িবাঁধ দিচ্ছি মূর্খের মাফিক, বন্ধু প্রকৃতির প্রতি আচরণ করছি শক্রুর মতো। গ্যাস-সম্পদ বিকিয়ে দিচ্ছি বিদেশী কোম্পানির হাতে, পার্কগুলি ধ্বংস করছি ভুল পরিকল্পনায় বলি দিয়ে, বঙ্গোপসাগরে মৎস সম্পদ যে অফুরন্ত নয় এই জ্ঞানও আমাদের নেই, স্বাধীনতাকেও মনে করছি স্বেচ্ছাচার হিসেবে। লুটপাট করছে মন্ত্রী, সাংসদ ও তাদের পোষ্যরা; তাহলে কে আমাদের রক্ষা করবে? করবে প্রকৃতির কাছে আমাদের মুক্তি অন্য কোনোভাবে সম্ভব নয়। ফুলের সৌরভ, বৃক্ষের শোভা, অরণ্যের নির্জনতা, নদীর দান, পর্বতের প্রহরা ও সমুদ্রের সহযোগিতা ছাড়া মানুষের জীবনধারণ অসম্ভব-এই সত্য উপলব্ধির মধ্যেই আমাদের প্ররিত্রাণ। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বই বাঁচা ও মুক্তির গুপ্তমন্ত্র। প্রকৃতির ভালোবাসা পেতে হলে তাকেও দিতে হবে যোগ্য সম্মান, সমাদার ও ভালোবাসা।
সূচিপত্র ঋজুপাঠ প্রকৃতিও প্রতিশোধ পরায়ণ পাঁচশো বছরের বাখরগঞ্জে ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের খতিয়ান সেতু দিলে রমনা লেক ধ্বংস হয়ে যাবে। রমমা ও সোহরাওয়ার্দি ঢাকার ফুসফুস গ্যাস-সম্পদ, সিএনজি, পরিবেশ ও জাতীয় স্বাস্থ্য ওষুধের দোকান, নিষিদ্ধ ওষুধ ও গ্রীষ্ম বাওবাব ও ডাইনী-নরক দিন মান দিন ও বিঝুর উৎস ইলিশ ও পরিত্রাতা প্রেম আজি শ্রাবণঘনগহন মোহে ছায়াপথের প্রাচীন কাহিনী সান্দ্রছায়া গাবগাছ নাম হোক নীলি লাজুলি সারা বছর ফোটা শিউলি ওল ওলাবিবি ওলাওঠা বৈলফুলের নাকাছাবি নাগকেশর চট্টগ্রামের প্রতীক গুণবতী হরতুকি পান্থপাদপের বিরল সৌন্দর্য সতী নারীর কাহিনী একুশ ও বসন্তের নাম জীবন ফাল্গুনী মঞ্জুরীর সঙ্গে অভিসার মহুয়ার মত্ততায় দোষ নেই বয়ড়ার বিক্রম স্বর্ণলতার স্বর্ণহার পারুল বাঙালির চিরন্তন বোন নুন, প্রদাহ ও উত্তেজনা-বিধ্বংসী তেঁতুল ওগো পদ্মসুন্দরী হিন্তালের লাঠি এখনো বাসকের গন্ধ পাই বৃষ্টি, দার্শনিক ও চাঁদ অন্যগ্রহে ঘর চাই কামিনী শিখিল সাজে বারো রকম বিনি ধান শুভলং আমার ভূস্বর্গ বিঝু ও চাকমা গানের বৈশিষ্ট্য
Bipradash Barua- জন্ম ২ আশ্বিন ১৮৬২ শকাব্দ (২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪০) চট্টগ্রামের ইছামতী গ্রামে। পড়াশুনা চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। গল্প, উপন্যাস, প্রকৃতি ও বিচিত্র বিষয়ে লেখেন। পাখি, সমুদ্র ও বৃক্ষ, বনমর্মরভূমি, ভ্রমণ, গবেষণা-বিশাল লেখার ভুবন। বাংলাদেশের আনাচ-কানাচ উঠে আসে দৈনিক পত্রিকার কলামে। রাতের রেলগাড়িতে ছায়াপথে ভ্রমণ এই বিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বিশাল রাজ্যে প্রবেশের ছোট্ট জানালা। সেই থেকে শুরু। তার ফসল দৈনিক পত্রিকার সহজ-সরল লেখাগুলো। প্রকৃতির বিচিত্র বিষয় নিয়ে এক ডজনের বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। গাছপালা, তরুলতা ও বৃক্ষ ও নিসর্গ, নিসর্গের খোঁজে, প্রকৃতিও প্রতিশোধপরায়ণ, বিপন্ন বাংলাদেশ ও বন্ধু বৃক্ষ প্রভৃতি গ্রন্থে তাঁর মনোভঙ্গি ধরা পড়ে। এসব লেখায় ছড়িয়ে আছে আকাশ ও নক্ষত্রপ্রীতি। ১৯৯১-তে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ১৪১১ সনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ। তাঁর তিনটি বই অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার লাভ করে। পেয়েছেন রেডি টুডে প্রবর্তিত প্রথম গ্রিন এওয়ার্ড ২০১০।