নির্বাচিত উপন্যাসসমগ্র মানিক বন্দ্যোপাধ্যা৭পৃষ্ঠা ভূমিকা সংবলিত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮ - ১৯৫৬) আধুনিক বাংলা উপন্যাসে প্রাতিস্বিকতায় উজ্জ্বল এক পুরোধা পুরুষ। প্রথম বিশ^যুদ্ধোত্তর পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধ ও অস্তিত্বের যে চরম সংকট দেখা দিয়েছিল, সে সংকটকালে কথাসাহিত্যের ধারায় যারা বিপ্লব এনেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অন্যতম। মাত্র ২৮ বছরের শিল্পজীবনে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম সংখ্যায় বিপুল। উপন্যাস ৩৯টি, গল্প ২২৩টি, একটি নাটক, কিছু কবিতা ও প্রবন্ধ। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫)। যদিও প্রকাশের দিক থেকে এটি দ্বিতীয়। প্রথম প্রকাশিত হয় ‘জননী’ উপন্যাস। সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘মুশল’ (১৯৫৬)। সবশেষে বলা যায়, সকল প্রকার প্রলোভনমুক্ত, জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ প্রত্যাশী মানিক সাহিত্য-সাধনায় ছিলেন গভীরভাবে আন্তরিক, সৎ ও অক্লান্ত পরিশ্রমী। তিনি ছিলেন সর্বাংশে আধুনিকতাম-িত, বিজ্ঞানবোধ চালিত এবং নির্মোহ বাস্তবতার অন্যতম শ্রেষ্ঠশিল্পী। এ গ্রন্থে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাসগুলো থেকে বাছাই করা সেরা ৫টি উপন্যাস স্থান পেয়েছে। এগুলো হলো- জননী, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা ও ইতকথার পরের কথা। য় ৭পৃষ্ঠা ভূমিকা সংবলিতÑ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮ Ñ ১৯৫৬) আধুনিক বাংলা উপন্যাসে প্রাতিস্বিকতায় উজ্জ্বল এক পুরোধা পুরুষ। প্রথম বিশ^যুদ্ধোত্তর পৃথিবী জুড়ে মানবিক মূল্যবোধ ও অস্তিত্বের যে চরম সংকট দেখা দিয়েছিল, সে সংকটকালে কথাসাহিত্যের ধারায় যারা বিপ্লব এনেছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের অন্যতম। মাত্র ২৮ বছরের শিল্পজীবনে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম সংখ্যায় বিপুল। উপন্যাস ৩৯টি, গল্প ২২৩টি, একটি নাটক, কিছু কবিতা ও প্রবন্ধ। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫)। যদিও প্রকাশের দিক থেকে এটি দ্বিতীয়। প্রথম প্রকাশিত হয় ‘জননী’ উপন্যাস। সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘মুশল’ (১৯৫৬)। সবশেষে বলা যায়, সকল প্রকার প্রলোভনমুক্ত, জীবনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সমাজের সামগ্রিক কল্যাণ প্রত্যাশী মানিক সাহিত্য-সাধনায় ছিলেন গভীরভাবে আন্তরিক, সৎ ও অক্লান্ত পরিশ্রমী। তিনি ছিলেন সর্বাংশে আধুনিকতাম-িত, বিজ্ঞানবোধ চালিত এবং নির্মোহ বাস্তবতার অন্যতম শ্রেষ্ঠশিল্পী। এ গ্রন্থে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাসগুলো থেকে বাছাই করা সেরা ৫টি উপন্যাস স্থান পেয়েছে। এগুলো হলোÑ জননী, দিবারাত্রির কাব্য, পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা ও ইতকথার পরের কথা। পৃষ্ঠা : ৫৪৪(রয়েল সাইজ) মুদ্রণকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মূল্য : 55০ আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৩৩-৭৬৯২-৩
শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।