ইলুমিনাতি এমনই একটি নাম যা একাধারে পর্দার পেছনে এবং পর্দায় সমানভাবে সক্রিয় হলিউডি চলচ্চিত্রে। ইলুমিনাতি থিম, প্রতীক এবং রেফারেন্সের উপযুক্ত। ব্যবহারের পর তা অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ব্যক্তিজীবনেও ব্যবহার করে। ইলুমিনাতি চিহ্ন যেমন ক্যাপ, হাতব্যাগ, প্রসাধনী বাক্স, ব্রেসলেট, চাবির রিং, আংটি, মেয়েদের কানের দুলসহ বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কারে ইলুমিনাতি চিহ্নের ব্যবহার হরহামেশাই ঘটে। গুপ্তগােষ্ঠী বলতে হলিউড, তামিল কিংবা বলিউডি সিনেমাগুলােতে যা দেখানাে হয় তা অবাস্তব। মাফিয়াগােষ্ঠী, সন্ত্রাসবাদী, মাদক চোরাচালানি, অস্ত্রব্যবসায়ী আর গুপ্তগােষ্ঠীকে গুলিয়ে ফেলার পাশাপাশি। স্যাডিস্ট নানা আচরণও এতে যুক্ত হতে দেখা যায়। ভিন্ন। ঘটনাকে যদি ইলুমিনাতি, বােহেমিয়ান গ্রুভ, স্কাল অ্যান্ড। বােনস কিংবা ফ্রিম্যাসনারি গুপ্তগােষ্ঠীর আচার-অনুষ্ঠানের। সাথে মিলে মিশে একাকার করা হয় তবে তথ্যবিচ্যুতির। ফলে বাস্তবতার দেখা মেলাটা হবে বেশ কঠিন। প্রচুর। তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে স্বল্প পরিসরে হলেও এ গ্রন্থে। ইলুমিনাতিদের পরিচিতি, ঐতিহাসিক আবর্তন, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা, চলচ্চিত্র, টিভি শাে। কিংবা সংগীতের উপরে নিয়ন্ত্রণ, কার্টুন, গেমিং ও জনপ্রিয়। টিভি চ্যানেলগুলাের পর্দার পেছনে কারা থাকে, ইলুমিনাতি। ব্লাড লাইন আর তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলােকে। চিনিয়ে দিতে চেষ্টা করা হয়েছে।
Dr. Md. Adnan Arif Salim বর্তমানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুলে ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। জন্ম পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে। লিখছেন ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে।