বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষা ও সংস্কৃতির বহু বিচিত্র রূপের সন্ধানে একদিকে অনন্য এক আনন্দের স্ফূরণ জাগে মনে অন্যদিকে আঞ্চলিক ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার প্রতি যথাযথ মূল্যায়নের অভাব দেখে অš—র বেদনার্ত হয়ে ওঠে। আসলে, আমরা হয়তো যথাযথভাবে উপলব্ধিই করতে স¶ম হইনি যে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এক একটি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতির যেমন বৈচিত্র্য উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তেমনি আঞ্চলিক পর্যায়ের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃত্যাচার, লিখনরীতি, পরিবেশনশিল্প ইত্যাদি জ্ঞানকাÊের সকল ¶েত্রে অনিবার্যভাবে বৈচিত্র্য সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ ¶েত্রেই আমাদের শি¶াপদ্ধতিতে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি খুব একটা গুর“ত্ব দেওয়া হয় না। যে কারণে আঞ্চলিক সংস্কৃতির অনেক উদ্ভাবনী জ্ঞান ও সৃজনশীল তৎপরতা আলোচনা সমালোচনার বাইরে থেকে যায়, এতে দেশের অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত হয় আঞ্চলিক জ্ঞানের মহিমাšি^ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলো হতে। এমনই ঘটেছিল সিলেটী নাগরী লিপিতে রচিত অসংখ্য সাহিত্যকর্মের ¶েত্রেও। দীর্ঘদিন ধরে সিলেটের আঞ্চলিক বৃত্তের সীমার মধ্যে এই লিপির সাহিত্য রচনা ও পাঠের ধারা চর্চিত হয়ে দেশের বৃহত্তর মানুষকে এর রস আ¯^াদন হতে বঞ্চিত রেখেছিল। পরবর্তী কালে আহমদ হাসান দানী, এস. এম. গোলাম কাদির, মোহাম্মদ সাদিক, মো¯—ফা সেলিম প্রমুখের গবেষণা তৎপরতায় সিলেটী নাগরী লিপির সাহিত্যকর্মের প্রতি জাতীয় ও আš—র্জাতিক পর্যায়ের পাঠক-গবেষকের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। শুধু গবেষণাকর্মের ভেতর দিয়ে নয়, সম্প্রতি সিলেটী নাগরী লিপির সাহিত্য পাঠের দুয়ার ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়ে উঠছে। নাগরিক বা শহুরে গবেষকের বৃত্তাবদ্ধ সীমাকে অতিক্রম করে সিলেটী নাগরী লিপির সাহিত্য পাঠের আরেকটি দুয়ার উন্মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন হবিগঞ্জের গৌতম চন্দ্র দাশ, তিনি ১৩১৪ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হবিগঞ্জের মধুপুর গ্রামের কবি মৌলবি জহুর“ল হুছন সাহেব রচিত “ছহি- কেতাব নুর নাজাত” বা “দর এস্কে মারেফত” শীর্ষক পুঁথিটির প্রথম ও দ্বিতীয় খÊ একত্রে মূল সিলেটী নাগরী লিপি থেকে সমকালীন বাংলায় লিপ্যাš—রের মাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের কাছে কৃতজ্ঞভাজন হয়ে রইলেন। ড. সাইমন জাকারিয়া