”ক্ষরণ” বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা তেইশ বছরের রুমী, হঠাৎ করে শিকার হয় পাশবিক নির্যাতনের। ওলটপালট হয়ে যায়। তার চেনা পৃথিবী। সাহসী আর প্রতিবাদী মানসিকতায়। তবুও সে রুখে দাঁড়াতে চায় এই ঘৃণ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজিত হতে হয়। সমাজের অশুভ শক্তির কাছে। সামাজিকভাবে সে অগণিতবার হারায় সম্রম, ভেঙে যায় আত্মবিশ্বাস, স্বপ্ন। পুরােপুরিভাবে বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত রুমী যখন। নিজেকে গুটিয়ে ফেলে, একরকম আত্মগােপন করে। চলে যায় লােকচক্ষুর অন্তরালে ঠিক তখনই আবির্ভাব হয় রােজী মার্গারেটের। মধ্যবয়সী এই নারী সূচনা করেন নতুন এক অধ্যায়ের। একে একে উন্মােচিত হয়। নতুন গল্প, বহু বছরের অজানা কিছু অধ্যায়। ক্ষরণের অন্যতম চরিত্র রােজী মার্গারেট গল্পের ধারাকে ভিন্ন গতিতে প্রবাহিত করেছেন, দিয়েছেন আলাদা মাত্রা। একের পর এক ঘটে চলা চমকপ্রদ ঘটনা এবং রহস্যের উন্মােচন পাঠকদের প্রভাবিত করবে প্রচণ্ডভাবে। ‘ক্ষরণ আমাদের সমাজেরই গল্প। কাছাকাছি, পাশাপাশি সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলাের। হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, ভালােবাসা, আবেগ, 'পাওয়া-নাপাওয়ার প্রতিচ্ছবি ক্ষরণ।।