যে কথা শুনতে মুমিনের কান সবচেয়ে বেশি উৎসুক হয়, তা হলো, ‘আমি নবীজিকে স্বপ্নে দেখেছি’। ‘নবীজিকে স্বপ্ন দেখা’র প্রসঙ্গ উঠতেই নবীজি দেখতে কেমন, কী বলেছেন তিনি, স্বপ্নদ্রষ্টা তাকে কী বলেছেন ইত্যকার নানান প্রশ্ন ও কল্পনা আমাদের হৃদয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে। আবার নবীজির মনেও অনাগত মুমিনদেকে দেখার আগ্রহ ছিল। স্বপ্ন বলতে আমরা বুঝি, যা আমরা দেখি ঘুমিয়ে। ঘুমের জগতে আত্মায় কোনো পর্দা থাকে না। তাই নবীজি কল্যাণকর স্বপ্নকে সুসংবাদ হিসাবে গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি নিত্যদিন সাহাবিদের কাছে তাদের স্বপ্নের কথা জানতে চাইতেন। এ-গ্রন্থে নবীজিকে স্বপ্নে দেখার ঘটনাবলি এবং এ সম্পর্কীয় আলোচনাকে একত্র করা হয়েছে; যা বিভিন্ন পুস্তিকা ও গ্রন্থে ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায়ে বিচ্ছিন্নভাবে তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। গ্রন্থটির মূল নাম ‘রাআইতুন নবী’। নবীজিকে স্বপ্নে দেখা বাস্তবে দেখার মধ্যে কোনও ব্যবধান আছে কি না, স্বপ্নে দেখা ব্যক্তি নবীজি কি না জানার উপায়, মিথ্যা স্বপ্নের দাবী করার পরিণাম এবং নবীজিকে স্বপ্ন দেখার শতাধিক কাহিনী সম্বলিত গ্রন্থটি যেমন অত্যন্ত সুখপাঠ্য, তেমওনি মুমিন মনের হাজারো প্রশ্নের উত্তরও মিলবে এতে- নিঃসন্দেহে।
ওমর ফারুক ফেরদৌস সমসময়ে একজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখক। ঢাকা শহরেই ১৯৯২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং যাত্রাবাড়ি জামেয়া মাদানিয়া থেকে হাদিস বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা-পাঠ সম্পন্ন করেন। অনুবাদ ও সম্পাদনায় তিনি সিদ্ধহস্ত। গতানুগতিক ভুল চিন্তার অপনোদন এবং নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে প্রত্যয়দীপ্ত ভূমিকা রাখায় বদ্ধপরিপকর।