"লার্নিং হাউ টু ফ্লাই" বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা: এ পি জে আবদুল কালাম ২০০২ থেকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব, “ভারতরত্ন” লাভ করেন। অধিকন্তু, তিনি “পদ্মভূষণ” এবং “পদ্মবিভূষণ” খেতাব লাভ করেছিলেন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম নামক স্থানে আবদুল কালামের জন্ম। তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অভ টেকনােলজিতে এ্যারােনটিক্যাল প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৮০ সালে ভারতের প্রথম ভূ-উপগ্রহ রােহিণী উৎক্ষেপণের পিছনে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাপনা। এবং পারমাণবিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রেও আবদুল কালামের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি TIFAC (Technology Information, Forecasting and Assesment Council)-এর চেয়ারম্যান হিসাবে আরাে পাঁচশত বিশেষজ্ঞের সহযােগিতায় ভারতকে স্বপ্ন-২০২০ বাস্তবায়নের পথে অনেকদূর এগিয়ে দিয়েছেন। ভারত যাতে একটি উন্নত দেশে পরিণত হতে পারে সে জন্য তিনি রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন। ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি পরলােক গমন করেন।
"লার্নিং হাউ টু ফ্লাই" বইয়ের সূচিপত্র: ১. আমি উড়বই ১১ ২. শ্রেষ্ঠত্বের সংস্কৃতি গড়ে তােলা ১৭ ৩. তারুণ্যের প্রজ্বলিত মন ২৮ ৪. আজীবন জ্ঞান সাধনা ৩৮ ৫. জীবনযাত্রা পরিচালন ৪৫ ৬. উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা ৫৩ ৭. আপনি অদ্বিতীয় হােন ৬১ ৮. বিজ্ঞান আপনাদেরকে কী দিতে পারে? ৬৫ ৯. তিন বিলিয়ন মানুষের ক্ষমতায়ন ৬৯ ১০. পরিবর্তিত হােন ৭৩ ১১. শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সংগ্রাম ৭৮ ১২. বই আমাদের পথপ্রদর্শক ৮১ ১৩. প্রত্যেকের হাতে একখানা বই ৮৫ ১৪. ভবিষ্যৎকে পাল্টিয়ে দেয়া ৯০ ১৫. মেধা ও সহমর্মিতা ৯৪ ১৬. শিশু থেকে নেতা ৯৮ ১৭. সৃজনশীল নেতার ক্রমবিকাশ ১০৩ ১৮. হৃদয়ের সুস্থতা ১১২
আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম (১৫ অক্টোবর ১৯৩১ - ২৭ জুলাই ২০১৫) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২২০০৭)। কালাম তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে তিনি ঘটনাচক্রে রাজনীতিবিদে পরিণত হন। কালামের জন্ম অধুনা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তিনি পদার্থবিদ্যা ও বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ভারতের অসামরিক মহাকাশ কর্মসূচি ও সামরিক সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে তিনি অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট উন্নয়নের কাজে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিশাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ বলা হয়। ১৯৯৮ সালেপোখরান-দুই পরমাণু বোমা পরীক্ষায় তিনি প্রধান সাংগঠনিক, প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন। এটি ছিল ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে পরিচিত প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর দ্বিতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষা।২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।