"রবিনসন ক্রুশো" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:দুঃসাহসিক ও রােমাঞ্চকর সমুদ্র অভিযানের কাহিনি রবিনসন ক্রুশাে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম পর্যায়ে রচিত এই উপন্যাস আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে। উপন্যাসের মূল নায়ক রবিনসন ক্রুশাে। সমুদ্র অভিযানে বের হয়ে জাহাজ ডুবি হয় তার। জাহাজের সব যাত্রীই সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়। একমাত্র রবিনসন ক্রুশােই নিজেকে নানা প্রতিকূলতা হতে রক্ষা করতে সমর্থ হয়। অনেক কষ্টে সে একটি দ্বীপে গিয়ে ওঠে। সম্পূর্ণ জনমানবহীন নির্জন সেই দ্বীপে নিজেকে ভয়ানক অসহায় মনে হয় তার। তবুও দমে যায় না সে। পরিত্যক্ত জাহাজ থেকে মালপত্র খাবার-দাবার এনে একটি পাহাড়ি গুহায় জড়াে করে। শুরু হয় এই জনমানবহীন দ্বীপে তার জীবন সংগ্রাম। নানা রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মুখােমুখি হয় সে। নির্জন এই দ্বীপে নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে নেয়ার পর হঠাৎ করেই একটি ভয়াবহ ব্যাপার ঘটে যায়। একদিন বেলাভূমিতে ঘুরতে গিয়ে সে মানুষের পায়ের ছাপ দেখতে পায়। পরবর্তীকালে সে আবিষ্কার করে এই ছাপগুলাে নরখাদক এক মানবগােষ্ঠীর, যারা বন্দিদের এখানে ধরে এনে কেটেকুটে পুড়িয়ে খায়। এ ঘটনা রীতিমতাে প্রভাব ফেলে ক্রুশাের উপর। এক সময় এই ভয়াল নরখাদকদের মুখােমুখি হয় সে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে একজন বন্দিকে। ফ্রাইডে নামক এই বন্দি ক্রুশাের সাথে নিজেকে একাত্ম করে ফেলে। এরপর নানা রােমাঞ্চকর ঘটনা ঘটতে থাকে এ দ্বীপে নরখাদকদের কেন্দ্র করে। এক সময় এই নরখাদকদের কাছ থেকে বেশ ক’জন বন্দিকে উদ্ধার করে ক্রুশাে এবং তাদেরই সহায়তায় সে সভ্য জগতে ফিরে আসে। পরবর্তীকালে বিদ্রোহী নাবিকদেরকে নিজ আয়ত্তে এনে ক্রুশাে তার নির্জন দ্বীপে উপনিবেশ গড়ে তােলে। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, অন্তর্দ্বন্দ্ব ও - রােমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় পূর্ণ এই উপন্যাস।