"দেশি ফলের চাষ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ সুপ্রাচীনকাল থেকে এ দেশে বহু রকমের ফল জন্মাচ্ছে। এসব ফলের অনেক ফল খেয়ে আমাদের রসনা তৃপ্ত হয়, আমরা পুষ্টি পাই। বহু বছর ধরে যেসব ফল আমরা এ দেশে জন্মাতে দেখছি সেগুলােকেই বলছি দেশি ফল। তাই বলে এসব ফলের অধিকাংশ ফলেরই জন্ম এ দেশে এমনকি এ উপমহাদেশে নয়- অনেক ফলই এদেশে এসেছে অন্য দেশ থেকে। কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে সেগুলাে আমাদের চোখের সামনে এমনভাবে আছে যে সেগুলােকে আর এখন পর মনে হয় না। এ পর্যন্ত এ দেশে ১৩০ টি দেশি ফলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬০টি জংলী ফল, বনবাদাড়ে আপনা আপনি জন্মে। কেউ ওসব ফলের গাছ লাগায় না। বাকি ৭০ টি ফলের প্রায় সবই চাষ করা যায় বা চাষ হয়। এর মধ্যে আম, কাঁঠাল, কলা, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, লিচু, নারিকেল, লেবু, কুল প্রধান ফল। প্রধান এই ১০টি ফলসহ মােট ১৪টি দেশি ফলের চাষাবাদ কৌশল সম্পর্কে এ বইয়ে আলােচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া সবগুলাে দেশি ফলের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলে ফল চাষের বিষয়েও আলােকপাত করা হয়েছে। হালনাগাদ গবেষণা তথ্য দিয়ে বইটিকে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। বইটি যে কোন ফল চাষি, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী ও কৃষির ছাত্রছাত্রীদের আশা করি কাজে লাগবে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।