‘ভাইরে আপুরে!!!’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ ভাইরে/আপুরে!!! বইটি আমার ফেসবুক টাইমলাইনের বিভিন্ন স্ট্যাটাস থেকে নিয়ে লেখা। স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া বা সদ্য পাস করে যাওয়া তরুণতরুণীদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা, সাফল্য ও ব্যর্থতা শেয়ার করতে চেয়েই স্ট্যাটাসগুলোর সৃষ্টি। বাংলাদেশের ছেলে মেয়েরা অনেক বুদ্ধিমান। তাদের শুধু দরকার একটু গাইডলাইন, একটু Spark! সেগুলো দেবার জন্যই নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি। আমি কোনো মোটিভেশনাল লেখক বা বক্তা নই। আমি মনে করি সবচেয়ে বড়ো মোটিভেশন আসে নিজের ভেতর থেকেই। বইটি লিখতে আমি যেভাবে কথা বলি সে ভাষাই ব্যবহার করেছি। এতে বাংলা, ইংরেজি, কথ্য, সাধু, চলিত মিশ্রণ আছে। পাঠক আমার এই ব্যত্যয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করবো। বইটি একবারে পড়ে শেষ না করবার অনুরোধ করছি। একেকটা চ্যাপ্টার পড়বেন আর একদিন বিরতি নেবেন। এতে করে বিভিন্ন আইডিয়া, পথনির্দেশ, অনুরোধ ইত্যাদি বুঝতে বা ফলো করতে সুবিধা হবে বলে মনে করি। তাছাড়া কিছু কিছু চ্যাপ্টারে কিছু কিছু বিষয়ের repetition আছে (যেমন Excel শেখা বা Vocabulary) যা প্রয়োজনের খাতিরেই করা হয়েছে ।
সূচিপত্রঃ* ভালো ছাত্র, জিনিয়াস ইত্যাদি Myth- ১১ * ইসস, যদি ২০ বছর হইতাম!- ১৪ * জীবন একটা ৪ x১০০ মিটার রিলে রেস- ১৬ * আবার যদি ১৮ হইতে পারতাম!- ১৮ * আমার ভবিষ্যতের CV- ২১ * নামকরা পাবলিকে চান্স পান নাই?- ২৪ * English Speaking-এর খুঁটিনাটি- ২৭ * Vocabulary, Vocabulary, Vocabulary!- ৩০ * মনে মনে অংক!- ৩৩ * Be Humble- ৩৬ * সমস্যা, সমস্যা, সমস্যা!- ৩৮ * ২৫-এর আগেই- ৪১ * নেটওয়ার্কিং -এর Practical Tips- ৪৩ * ইংলিশে লিখবেন কিভাবে?- ৪৬ * MS Excel কেন শিখবেন?- ৪৯ * আমার জীবনের বড় দুইটা আক্ষেপ- ৫১ * শব্দ নিয়া খেলা!- ৫৩ * Happy Traffic Jamming!!- ৫৫ * ভালো বাবা, মা- ৫৭ * ভর্তি হইবার খুঁটিনাটি- ৫৯ * ন্যাশনালে পড়েন?- ৬২ * ভোকেশনাল ট্রেনিং- ৬৫ * The Ultimate 100 Non-Fiction Book List- 4o * একটা মজার স্কুল- ৭২ * চলেন নতুন ভাষা শিখি- ৭৪ * English Writing–2- ৭৭ * Pomodoro Technique- ৮০ * Productive Facebooking - Facebook থিকা শিখা- ৮২ * হঠাৎ করেই যদি মারা যাই?- ৮৪ * Productive জীবন- ৮৬ * পরাজয়ে ডরে না বীর!- ৮৯ * ১০০ দিনের প্ল্যান- ৯১ * পড়াশুনা করবেন কিভাবে?- ৯৪ * পরীক্ষা দিবেন কিভাবে?- ৯৭ * ইউনিভার্সিটি লাইফে কি কি করবেন?- ১০০ * Network with Professors!- ১০৩ * পরীক্ষা সামনে? সময় নাই?- ১০৬ * A Certain Kind of Blasphemy!!- ১০৮ * Use Your Haters- ১১০ * আমার ৫টা দাঁতের মূল্য- ১১১ * কি কি শিখি নাই?- ১১২ * সব পরীক্ষার মূল রহস্য!- ১১৪ * ৩০ মিনিট ফর্মুলা- ১১৭ * Career E-Porfolio- ১১৯ * Think Like A CEO!- ১২১ * চার দোস্তের গ্যাং!- ১২৩ * নন ফিকশন ক্যামনে পড়বেন?- ১২৫ * Be Inhuman!- ১২৭
"বিবিএ লাইফ” বিবিএ প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ, ক্যারিয়ার স্টার্টআপ, স্টার্টআপ উদ্যোক্তা, সাবজেক্ট চয়েস, আত্মউন্নয়ন, সেরা বই ও মুভির তালিকা, স্টুডেন্ট লাইফে আয় করার দিকনির্দেশনাসহ আইবিএ-এর শিক্ষার্থী লেখক একজন মেন্টর হিসেবে ছোট ভাইবোনদের জন্যে এই বইটি লিখেছেন। বিবিএ-এর শিক্ষার্থী হিসেবে "বিবিএ লাইফ" একটি কারণে পড়তে পারেন প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা, আর তা হচ্ছে যে বিষয় বা সমস্যায় চতুর্থ বর্ষে সমাধান করবেন, তা প্রথম বর্ষে জেনে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে পারবেন এবং এই বইটি পড়লে আপনি একজন ভালো মেন্টরের পরামর্শ পাবেন।
বইটি কাদের জন্য দিনে কয়বার মোবাইলের চার্জ চেক করো? চার্জের লাল বাত্তি জ্বলার আগেই লাফাইতে লাফাইতে চার্জার নিয়ে বসে পড়ো! অথচ কখনো কি চেক করেছো তোমার লাইফের চার্জ কতটুকু আছে? যারা লাইফের চার্জ কতটুকু আছে চেক করতে চায়। দরকার হলে নিজেকে রিচার্জ করে নিতে চায়। মরা ইঞ্জিন নিয়েও কেরামতি দেখাতে চায়। বন্ধুত্বের ভাইরাস, ছুতার জং, ভালো না লাগার রোগ সেরে ফেলতে চায়। তাদের জন্য এই বই। যাতে তারা সময়মতো কনফিডেন্সের বড়ি গিলতে পারে, কোপা শামসু স্টাইলে ফাইট দিয়ে জীবন ঝাক্কাস বানাতে পারে।
এই বইটির উদ্দেশ্য এই বইটির উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাকে লাইফের জন্য, স্বপ্নের জন্য, অর্জনের জন্য একটা চার্জার দেয়া। যাতে যখনই দরকার পড়বে তখনই রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি বই নিয়ে নিজেই নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারো।
এটা কি ধরনের বই এইটা জীবনের বিভিন্ন সিচুয়েশনে হাল কিভাবে ধরবে সেই গাইডলাইনের বই। একটু পিছিয়ে পড়ার পর, লাইফে কামব্যাক করার বই। স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে গিয়ে কিছু ভুল করে ফেলার পর আবারো লাইনে ফেরত আসার উপায় নিয়ে আলোচনা করা বই।
বইয়ের ভূমিকায় লেখক লিখেছেন প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে, প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের এই আমার; টুক টুক করে এই বই লিখতে মাথার ঘাম পায়ে পড়েছে। কারণ বেশিরভাগ সময় ফ্যান চালানোর জন্য কারেন্ট থাকতো না। তার উপরে আমি যে মোবাইলে লিখতাম সেটার প্রসেসর, মেমোরি, সিমকার্ডসহ সবকিছু ঠিক থাকলেও, কিছুদিন পর পর সেটা আর চলতে চাইতো না। কারণ চার্জ শেষ হয়ে যেতো। তাই সেই মোবাইল রিচার্জ করতে করতেই আমি আমার চিন্তাভাবনা, কাজের স্পৃহা আর চেষ্টার আগ্রহকেও রিচার্জ করার ট্রাই করতাম। আর তাতেই পয়দা হয়ে গেছে প্রায় চল্লিশখানা লেখা। এই লেখাগুলাতে একজন ঘনিষ্ঠ বড় ভাই তার ছোট ভাইকে বিভিন্ন সিচুয়েশনে গাইডলাইন দিচ্ছে। যেমনটা হয়ে থাকে চায়ের দোকানে, মেসের আড্ডাতে, পিকনিকের বাসে কিংবা ক্যাম্পাসের করিডোরে। -ঝংকার মাহবুব, মরা ইঞ্জিনের হেলপার www.JhankarMahbub.com
সূচি/বইতে যেসব গাইডলাইন দেয়া তার কয়েকটা আয়েশ আর অর্জন এক পথে চলে না শান্টিং না দিলে পানি উপরে উঠে না দু-একটা ল্যাং খাইলে ফিউচার ডাউন খায় না সাবজেক্ট ক্যারিয়ারের জন্য বেরিয়ার হয় না
লেগে থাকাই অর্জন অর্জনই গর্জন ছেড়ে দিলে হেরে যাবে কন্ট্রোল না করলে, কন্ট্রোলিত হবে
কনফিডেন্সের বড়ি গিলো অপেক্ষা না করে অপশন ধরো ভালো না লাগা- একটা জাতীয় সমস্যা রিস্ক নেয়াটা সফলদের তপস্যা
বন্ধুত্বের ভাইরাসে কামড়ালে জান হবে কয়লা বেশি ছুতা ধরলে ইঞ্জিনে ধরবে জং আর ময়লা পারফেক্ট টাইম, পারফেক্ট কন্ডিশন দিবে মুলা জীবন ঝাক্কাস বানাতে ফলো করো ৫স ফর্মূলা
বারে বারে লাথি দিলে তালা ঠিকই ভাঙ্গবে আত্মদিবসের ডোজ খেলে স্বপ্নগুলো জাগবে ভাইবো না, চাকরি করলেই হয়ে যাবে ধনী বিজনেস করতে নামলে খাইতে হবে কনি
মন খারাপ করা মরণ ব্যাধি রিচার্জ your ডাউন ব্যাটারি হীনমন্যতা নামের টাল্টিবাল্টি ছাড়ো লম্বা প্ল্যান ছেড়ে, ছোট প্ল্যানের তাবিজ ধরো
মরা ইঞ্জিনের কেরামতি লোনলিনেসে তেলেসমাতি কপি ইজ দ্য সিক্রেট অফ সাকসেস টার্গেট এচিভ করার মিশনে হইওনা মোখলেস
পাঠকসমাজে তাঁর পরিচিতি এখন গৎবাঁধা লেখার বাইরে নতুনত্বের আমেজ এনে দেওয়া তরুণ লেখক হিসেবে। তিনি ঝংকার মাহবুব, পেশায় একজন ওয়েব ডেভেলপার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক পাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ঝংকার মাহবুব। বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের মধ্য থেকে ঝংকার মাহবুব এর বই আলাদা করা যায় খুব সহজেই। তাঁর লেখার বিষয়গুলোও ব্যতিক্রমধর্মী। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে কীভাবে এ দেশের তরুণদের মাঝে সহজবোধ্য করা যায়– তা নিয়েই ঝংকার মাহবুব এর বই সমূহ। তাঁর লেখা বইগুলোতে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাঠখোট্টা জিনিসকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝংকার মাহবুবের বই সমগ্র এখন এ দেশের তরুণ প্রোগ্রামারদের কাছে প্রোগ্রামিং শেখার মজার বন্ধু হয়ে উঠছে এবং এই বইগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু বই হলো রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং, প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস, প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী, প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল ইত্যাদি। প্রোগ্রামিং শেখানো সহজ করা বইগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলেও ঝংকার মাহবুব তাঁর লেখার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন তরুণ প্রোগ্রামারদেরকে। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন।