আমার মা-বোনেরা! এ কথাটা বুঝতে হবে যে, সম্পদ ও রাজ্য বানানোর জন্য আমাদের দুনিয়াতে আসা হয়নি। বড় বড় নকশা বানানোর জন্যে আসা হয়নি। এ যুগের লোকজন তো নবিজির উম্মত। সুতরাং এ উম্মতের জন্য উচিত শুধু নবিজি ﷺ-এর চিন্তা ও দরদ নিয়ে চলা। নবিযুগের যে সকল পুরুষের পরিচয় পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে না ছিল বাদশাহীর আগ্রহ, না ছিল সম্পদের লালসা। মেয়েদের মধ্যেও ছিল না জেওর-গহনা বানানোর উদ্দীপনা। ভালো খাবার, ভালো কাপড় ইত্যাদির প্রতিও তাদের কোনো খাহেশ ছিল না। আমার মা ও বোনেরা! সে সকল লোক নবিজি ﷺ-এর চিন্তায় মশগুল ছিলেন। নিজেদেরকে নবিজি ﷺ-এর স্মরণে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। নবিজি ﷺ বলেন, আমার রব আমাকে এ কথা বলেননি যে, পয়সা জমা কর, ব্যবসায়ী বনে যাও। আমার রব আমাকে এটা বলেছেন যে, দেখ আমার বন্দেগী কর। আমার নাম স্মরণ কর, এ পর্যন্ত যে মৃত্যু তোমার নিকটে এসে যায়। কিন্তু এ দরদ ও চিন্তা বর্তমান উম্মত থেকে বের হয়ে গেছে। আমার মা ও বোনেরা! প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষ এবং প্রত্যেক উম্মত সম্পদের জন্য পাগল হয়ে পয়সার দিকে দৌড়াচ্ছে। যে পয়সা ও সম্পদ জীবনকে বরবাদ করে দিচ্ছে। নবিজি ﷺ-এর চিন্তা ছিল, আমার কোনো উম্মত যেন জাহান্নামের আগুনে না জ্বলে। কোনো মানুষ যেন দোযখে না যায়। এ দরদ ও চিন্তা এ উম্মতেরও থাকা চাই। আমরা সন্তান ও সংসারের জন্য নই, আমরা একমাত্র আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের জন্য। তাই আমাদের উচিত, আল্লাহর দীনের মেহনত করতে করতে মৃত্যুবরণ করা।
তারিক জামিল (যিনি মাওলানা তারিক জামিল নামে অধিক পরিচিত, জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের সদস্য। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।[১] শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন।