ভূমিকা ইস্তাম্বুল যাত্রীর অনেকগুলি পত্র আজাদে প্রকাশিত হয়। তখন পাঠক সমাজের অনেকে একে বইয়ের আকারে ছাপাতে পরামর্শ দেন। তাঁদের এই পরামর্শকে কাজে পরিণত করার ব্যাপারে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস যে সহযোগিতা কররছেন, সেজন্য তাঁদেরে ধন্যবাদ। আর যে সহৃদয় পাঠক বন্ধুদের আগ্রহে আমি এই ছাপান কাজে প্রবৃত্ত হই, আজ তাঁদেরেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বইয়ে ব্যবহার-করা শব্দের বানান সম্বন্ধে দুটি কথা: বাংলা শব্দের বানানকে সহজ করার জন্য বহু বছর হতে একটা তাকিদ চলে আসছে। এই তাকিদের জওয়াবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহজ বানান পদ্ধতি সমর্থন করেছেন এবং ‘পর্বত; ’সর্বদা’ উজ্জল’ প্রভৃতি বানানকে জায়েজ করে নিয়েছেন। আমি আরো সহজ বানানের পক্ষপাতী এবং তদনুযায়ী কতগুলি শব্দের নতুন বানান ব্যভহার করেছি। আরবী ফারছি হতে নেওয়া শব্দের বানানে ’ছে; ছিন’ ও ‘ছোয়াদ’ অক্ষরত্রয়ের বদলে ‘ছ’ এবং শিনের বদলে ‘শ’ ব্যবহার করেছি। কারণ সংস্কৃত ‘স’ দিয়ে ঐ হরফত্রয়ের বদলী দিতে গিয়ে আমরা উচ্চারণে করে ফেলেছি ‘ইশলাম; ‘কাশেম; হোশেন; ইদ্রিশ; ইত্যাদি। আমার বিবেচনায় ’ইছলাম; কাছেম’ হোছেন, ইদ্রিছ, লিখলে ভুল কম হয়। ছাদি, রছুল, মছনভী, মছজিদ, লিখেছি, কিন্তু, হিসাব সুলতান, সিরীয়া, মিসর প্রভৃতি শব্দের বানান বাংলা ভাষায় হজম হয়ে গেছে বলে ওগুলির বানান শুদ্ধ করতে চেষ্টা করি নাই।