"বৃষ্টিমহল" বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ উপন্যাসের শুরুটা হয় একদল যুবকের তিনজন তরুণীদের উত্যক্ত করা দিয়ে, যা আমাদের সমাজে হরহামেশাই হয়ে থাকে। আর যুবকদের উপযুক্ত জবাব দিতে এগিয়ে যায় তিনজন থেকে এক তরুণী, যার নাম অমৃতা। আর আট দশটা মেয়েদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অন্যায়কে যে কখনও প্রশ্রয় দেয় না। অমৃতা আর তার বন্ধু হৃদিতা, বিভাবরী, রুদ্র, আকাশ, সামি এদের নিয়েই উপন্যাসটা লেখা। যারা একে অন্যের প্রাণ। যারা কি-না কখনও বন্ধুদের ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারে না। কখনও বন্ধুদের ছেড়ে দূরে যাবার কথা ভাবতেই তাদের বুক কেঁপে উঠে। একজন বিপদে পড়লে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাকি সবাই। তাদের দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া, হুটহাট প্ল্যান করে ঘুরতে চলে যাওয়া। সবাই মিলে একজনকে সারপ্রাইজ দেওয়া, কখনও একজন ভেঙে পড়লে বাকি সবাই তার মনোবল হওয়া। কখনও বা একে অন্যের প্রেমে পড়ে যাওয়া। বন্ধুও যে বন্ধুত্বের মুখোশ ছিড়ে হয়ে উঠতে পারে প্রেমিক পুরুষ সেটাও লেখক তুলে ধরেছেন তার উপন্যাসে। হ্যাঁ, প্রেমে পড়ে যায় বিভা আর সামি। দুটি আলাদা গোত্রের মানুষ ভালোবেসে ফেলে একে অন্যকে। আপ্রাণ চেষ্টা করতে থাকে দুজন এক হতে। কিন্তু তাদের মিল হয়েছিল কিনা সেটা জানতে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে বৃষ্টিমহল।
ওয়াসিকা নুযহাতের লেখালেখির হাতে খড়ি খুব ছোট বেলায়। স্কুল ম্যাগাজিনের গন্ডি পেরিয়ে প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় প্রথম আলোর 'ছুটির দিনে' পত্রিকায়। ২০১৫ সালে 'ভোরের কাগজ' ঈদ সংখ্যায় প্রকাশ পায় উপন্যাস 'মাঝে মাঝে তব'। এরপর ২০১৬'র অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রথম বারের মতো মলাটবন্দি হয়ে একক বই হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে উপন্যাস 'খাঁচার ভিতর অচিন পাখি'। নিয়মিত লেখিকা ছিলেন 'কিশোর তারকালোক' সহ সমকালীন বেশ কিছু কিশোর পত্রিকায়। এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকার সাথে। আইন বিষয়ে লেখাপড়া এবং কর্মজীবনের সূচনা হলেও সাহিত্যের মাঝেই তিনি খুঁজে পান আত্মিক মুক্তি এবং বেঁচে থাকার তীব্র স্বাদ। যদিও নিজেকে তিনি সাহিত্যিক দাবী করতে নারাজ, নিজের সম্পর্কে প্রায়শই বলে থাকেন, 'আমি সাহিত্যিক নই, খুব সাধারণ একজন গল্পকার।'