সূচিপত্রঅধ্যায় : ১* নান্দনিক উপস্থাপনা ও কথা বলার সুকৌশল কি? * নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা * রোমাঞ্চ সৃষ্টিকারী ভাব * ইতিবাচক চিন্তা জাগিয়ে তোলা * প্রভাব বিস্তার করা * সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের কথা বলা * সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত * শ্রোতা দর্শকদের ধরে রাখা * শ্রোতা দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করা * অপূর্ণ তথ্য * ভাষণ বা বক্তব্যের প্রস্তুতি গ্রহণ * তথ্য সংগ্রহ করা জরুরি কেন? * অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কি? * অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় * অনুষ্ঠানের স্থান * অনুষ্ঠানে আপনি আমন্ত্রিত কেন? * অনুষ্ঠানে শ্রোতা দর্শক কারা * আপনার জন্য বরাদ্ধকৃত সময় * আপনি ছাড়া অন্যান্য বক্তা আছে কিনা * বক্তব্য বা ভাষণ তৈরি করার প্রয়োজনীয় বিষয় * কিভাবে ভাষণ তৈরি করা যায়? * বক্তব্য শুরু করা * আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বক্তব্য শুরু * তথ্য উপস্থাপন করুন * বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কলাকৌশল * বক্তব্যের বা উপস্থাপনার মধ্যবর্তী অংশ * বক্তব্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কতিপয় সতর্কতা * বক্তব্য বা ভাষণের উপসংহার অধ্যায় : ২* নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে * উপস্থাপনা কীভাবে শুরু করবেন? * কেমন উপস্থাপক হতে চান? * মঞ্চে বক্তৃতা বিবৃতি * যন্ত্রপাতি সম্পর্কে জ্ঞান * মনের জড়তা দূর করুন * শ্রোতাদের কাছে টানার বিশেষ জ্ঞান * শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করার কৌশল * আঁধার পেরিয়ে আসে আলো * অস্থির হবেন না * আত্মবিশ্বাসের উপরই সাফল্য নির্ভর করে * কিছু ভয় আর জড়তা জনপ্রিয়তা অজর্নের অন্তরায় অধ্যায় : ৩* শ্রোতা বা দর্শকদের মন জয় করার কৌশল জানতে হবে * শ্রোতাদের হাসিমুখে প্রাণের কথা বলুন * ভালো কাজের প্রশংসা করুন * শ্রোতাদের আপনজন হয়ে উঠুন * নিন্দনিয় বাক্য উচ্চারণ করবেন না * বেশি বেশি উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা দিন * নিজেকে দেখুন * প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের উদাহরণ দিন * নিজেকে ছোট করে উপস্থাপন করবেন না * সমালোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না * হুবহু অন্যের নকল করবেন না * নিজেকে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ করুন * আত্মবিশ্বাস নান্দনিক উপস্থাপক হওয়ার পূর্বশত * সাফল্য অর্জনের উপায় * সফলতার জন্য চাই নিয়ম-শৃঙ্খলাবোধ অধ্যায় : ৪* নিজের দিকে খেয়াল রাখুন * বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্ন থাকতে হবে * সাধনা, ভদ্রতা ও মিতব্যয়িতা * আকর্ষণীয় ও নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা * হাল ছাড়বেন না * সততা ও উদারতা দিয়ে মন জয় করুন * বিবেককে জাগিয়ে তুলুন অধ্যায় : ৫* বই, বই আর বই পড়ুন * সৃজনশীল চিন্তার সুফল * নান্দনিক কথা বলার শৈল্পিক বৈশিষ্ট্য * সুন্দর সহজ ভাষায় কথা বলুন * খুব দ্রুত কথা বলে যাবেন না * ভুল উচ্চারণ থেকে বিরত থাকুন * ব্যাকরণ ভুল * ভুল তথ্য পরিবেশন করবেন না * বাচনভঙ্গি নান্দনিক করুন * তথ্যবহুল কিন্তু সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করুন * শ্রুতিমধুর বক্তব্য উপস্থাপন করুন * উদাহরণ : সাধারণ শৈলী * সাধারণ জ্ঞানের প্রয়োগ * সাহিত্যরসের মধ্যদিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করুন অধ্যায় : ৬* মন জয় করার সুকৌশল * নিজেই সুযোগ তৈরি করে নিতে হয় * মন বা হৃদয় জয় করার পদ্বতি * মানুষকে খুশি করার পদ্ধতি * হৃদয় ছুঁয়ে যায় এমন কিছু করুন * অন্যদের গুরুত্ব দিন * একজন ভালো শ্রোতা হোন * আন্তরিকতার সাথে প্রভাবিত করার চেষ্টা করুন * অন্যের বিশ্বাসভাজন হতে হবে অধ্যায় : ৭* সাহায্য, সহানুভূতি, সহমর্মিতা সাফল্যেকে বিকশিত করে * নিজেকে যোগ্য করে তোলার সুকৌশল * আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে * অঙ্গীকার করুন * দায়িত্ববোধ থাকা জরুরি * কঠোর পরিশ্রম করতে হবে * মন জয় করার জন্য চাই চরিত্রবান ও পরিপূর্ণ মানুষ * শ্রোতাকে আপন করার জন্য সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন * কথা বলার সময় মনোযোগী হোন * যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করুন * সবকথা শুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন * শুধু নিজে না বলে অন্যকেও সুযোগ দিন * অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সময় নষ্ট করা * নিয়মিত খোঁজখবর নিন * সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিন ও প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন * সময়জ্ঞান থাকা প্রয়োজন * দূর্বল জায়গায় আঘাত করবেন না * অতিরিক্ত ঠাট্টা তামাশা করবেন না * নিজেকে বড় করে দেখার চেষ্টা করবেন না অধ্যায় : ৮* সাফল্য, মানবজীবন ও অজুহাত * ব্যর্থ লোকের বিভিন্ন রকমের অজুহাতগুলো হলো- * জীবনে সাফল্য লাভ করতে হলে জেদটাই আসল * ব্যর্থতার কথা ভাববেন না * মানসিক আগ্রহ দেখান ও জড়তা ত্যাগ করুন * সাফল্যের কোনো বয়স নেই
প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেনের জন্ম ১৯৬৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি। পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত ভাণ্ডারিয়া থানার এক ছোট্ট গ্রাম তেলিখালীতে আবদুল এবং সুফিয়া বেগমের ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা কচা নদী কতবার যে তেলিখালীর উপর ভাঙনের থাবা বসিয়েছে তার হিসাব নেই। কিন্তু গ্রামের মানুষ কচা নদীর এই ভাঙন ভাঙন খেলার সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে আছে। আর শৈশব থেকেই মানুষের এই জীবনযুদ্ধের সাক্ষী মোঃ জাকির হোসেন। একদিকে গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রাকৃতিক রূপ, অন্যদিকে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা, দুয়ে মিলে তার মনের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল, যা তার লেখক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে। মোঃ জাকির হোসেনের বইগুলোতেও তাই পাওয়া যাবে তার গ্রামীণ জীবনের ছাপ। কিশোর বয়স থেকেই সাংবাদিকতা, লেখালেখি আর ফটোগ্রাফির প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় তার, প্রচণ্ডরকম ভ্রমণপ্রিয়ও ছিলেন। ভ্রমণরত অবস্থায় প্রকৃতির সাথে সাথে লেখক মনের সংযোগ ঘটতো, যা তাকে সাহিত্য রচনায় উদ্বুদ্ধ করে। ১৯৯০ সালে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় চাকরি শুরু করবার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা করেন তিনি। এরপর থেকেই নিরন্তর লিখে চলেছেন এই লেখক। কিশোর উপযোগী গল্প, সায়েন্স ফিকশন, নাটক, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার, আত্মোন্নয়নমূলক গ্রন্থ- এগুলোই মূলত প্রাধান্য পেয়েছে মোঃ জাকির হোসেন এর বই সমূহতে। তবে উপন্যাস লেখাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত এবং বেশ কিছু কিশোর উপন্যাসও রয়েছে মোঃ জাকির হোসেন এর বই সমগ্রতে। ‘ইংলিশ বিচিত্র’, ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’, ‘ড্রাকুলা’, ‘এক্সট্রা টিকেট’, ‘গ্রহান্তরি কিশোর’, ‘ভয়ঙ্কর প্রেতাত্মা’, ‘মুক্ত মনের কথা’ ইত্যাদি তার জনপ্রিয় রচনা।