আল্লাহ তাআলা নারী ও পুরুষকে কিছু পৃথক পৃথক বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, দুনিয়াবী ক্ষেত্রেও যেমন তাদের জন্য রয়েছে আলাদা বিধি-বিধান তদ্রুপ শরীআতের ক্ষেত্রেও রয়েছে বেশ কিছু ভিন্ন ভিন্ন হুকুম-আহকাম। সৃষ্টিগতভাবেই বিশেষ হেকমতের কারণে মহিলাদের কিছু ভিন্ন নিয়মনীতি আছে। এ কারণে তাদের নামায কালাম, রোযা আর হজের বিধানেও কিছুটা পার্থক্য হয়ে আছে। বিশেষ দিনগুলিতে তাদের নামায মাফ করে দেয়া হয়েছে। রোযা কাজা করতে বলা হয়েছে আর হজের ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছ। কিন্তু অনেক সময় এই বিষয়গুলি এতটা জটিল হয়ে দাড়ায় যে, মা বোনেরা পেরেশান হয়ে যায়, এই মুহূর্তে কি করণীয় তা বুঝে উঠতে না পেরে নামায কাজা করে ফেলে, নষ্ট করে বসে। এ জন্য মহিলাদের বিশেষ দিনের মাসআলা গুলি খুব ভালভাবে না জানলে নামায কালাম বরবাদ হয়ে যাবে। সঠিক মাসআলা না জানার কারণে অনেক মা-বোনদের প্রতি মাসে ২/৪ ওয়াক্ত নামায বাদ চলে যাচ্ছে, তারা এর কাজাও আদায় করছেন না। এ ভাবে সারা জীবনের হিসাব করলে দেখা যাবে একজন দ্বীনদার- নামাযী মহিলারও অনেক নামায যিম্মায় বাকি রয়ে গেছে। এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বক্ষমান কিতাবটিতে "মসায়েলে মাসতুরাত" নামক কিতাব থেকে মহিলাদের বিশেষ দিনের সব মাসায়িল জমা করে হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। যে কোন মহিলা কিতাবটি পড়লে নিজের ব্যাপারে তিনি সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা রাখি। সৃষ্টি গত ভাবেই মহিলারা সাজ সজ্জা প্রবন। এই সাজ-সজ্জার পেছনে তাদের কত সময় আর কত অর্থ যে ব্যয় হয় তার হিসাব তারা নিজেও দিতে পারবেনা। প্রসাধন, মেকআপ আর সাজ-সজ্জার পেছনে তাদের জীবনের বড় একটা অংশ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। প্রসাধনের পেছনে পড়ে অনেকে শরীয়তের সীমারেখা লংঘন করে বসছে। অনেকে আবার বিজাতীদের কৃষ্টি কালচার অনুসরণ করে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বক্ষমান গ্রন্থে আমরা নারী জাতির সাজ সজ্জার বিষয়টি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি যাতে করে মা বোনেরা সীমার ভেতরে থেকে রূপচর্চা করতে পারেন। জীবনের মূল্যবান সময় গুলিকে যেন তারা লাগামহীন ভাবে এর পেছনে ব্যয় না করেন। আল্লাহ পাকের দরবারে আশাবাদি যে, আল্লাহ তাআলা এই কিতাবের মাধ্যমে মা বোনদের জীবনে পরিবর্তন আনার সুযোগ করে দিবেন। ইনশাআল্লাহ!!