পুরানো পল্টুনে পানি আছড়ে পড়ছে। নদীটা ছোট না, ভালোই বড় কিন্তু এখন অনেক বেশি বড় দেখাচ্ছে। বাতাসের সাথে বড় বড় ঢেউ। কখনও মনে হচ্ছে বাতাস ঢেউকে টেনে নিয়ে আসছে আবার কখনও মনে হচ্ছে ঢেউ ঘোড়া, বাতাস তার সওয়ারি। কুচকুচে অমাবস্যা রঙের মেঘ। বেলা তিনটা কিন্তু ভাব দেখে মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বাতাসের সাথে মেঘ সরছেও না। বরং আরও ঘন থেকে ঘন হচ্ছে। অন্য ঝড় বাদলার সময় বাচ্চারা জগ, ব্যাগ নিয়ে বের হয় মাছ কুড়ানোর জন্য। কৈ মাছ বেশি পাগলামী করে। তারা বেশি ভবঘুরে, ভাবুক, রাগী। মানুষের মতো ঝড় বাদলার সময়ে কৈ মাছেরও মন উচাটন হয়। তাই ডাঙ্গায় উঠে পড়ে অন্য শান্তির আশায়। পথিমধ্যে ধরা খায়। পুঁটিও উঠে কখনও কখনও ঝাঁক বেঁধে। আজ কেউ মাছ ধরতে বের হবে না। ঝড়ের লক্ষণ ভালো না। থেমে থেমে বাতাস আসছে। বাতাস ঠাণ্ডা না। তার মানে আশেপাশে কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে না। ঝড়। বৃষ্টিও আসছে না। ছোট পল্টুন, ছোট ঘাট। টং দোকান আছে দুই/তিনটা পল্টুনের উপরই। এগুলাই স্থায়ী। ঘাটের সামনে ভাঙ্গা বেড়া টেড়া দিয়ে খাবার হোটেল, মুদি দোকান, মোবাইলের দোকান আছে স্থায়ী। যাত্রীবাহী ছোট-খাট দু-একটা লঞ্চ, ট্রলার, কখনও মালবাহী ট্রলার আসে। তেমন নিয়ম করে কিছু আসে না দুই তিনটা শ্যালো ইঞ্জিনের যাত্রীবাহী কাঠের একতলা ট্রলার ছাড়া। তবে দুই ঈদে, রসিক লাল পীরের ঔরসে অন্য চেহারা।