শহর হলো ভবনের নন্দনভুবন আর নগরকাননের উপসনালয়। প্রিয় অচিন পাঠক, এ হতে পারে শাস্ত্রবচন, হতে পারে আমার ব্যক্তিগত কল্পনা। বাস্তবতা নয়। যে বাস্তব শহরের কথা আমি আপনাদের বলতে চলেছি সেখানে বহু রং ও রূপ একসঙ্গে টিকে আছে। নান্দনিকতা আর কদর্যতার চলছে বিষম প্রদর্শনী। দেবতারা নিষাদীদের দেখে নাক সিঁটকাচ্ছে, নিষাদরা হাঁ করে গিলছি দেবীদের রূপ। আমি প্রিয় সমতট শহরটা নিয়ে কিছু বলতে চাই। আসছে পাতাগুলোয় যে মহাযাত্রার বর্ণনা আমি দেবো, তার এক ধরনের উপক্রমণিকা হিসেবে ওটুকু বিবরণ আসতেই হবে। দৌড়ঝাপের পেছনচিত্রটি আপনাদের মতে আঁকা কঠিন হয়ে পড়বে নয়তো। আর কোনও মানুষ যে স্থান এবং কালে জন্মে, জীবনের আদ্যপান্ত্যে সকল সিন্ধান্তে ওই তার ছাপ পাওয়া যায়, কথাটি আমি বারবার মনে করিয়ে দিতে নারাজ। ধীরে আসছি আরও গূঢ় বর্ণনায়। কথা হবে সংক্ষিপ্ত। জনাকীর্ণ শহর এই সমতট। এর বন্দরে ফুটপাথে সড়কে, একতল দ্বিতল বহুতল প্রতিটি ভবনে, অগণিত মানুষের বাস। এ নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আমি মানুষ বিদ্বেষী নই। স্বজাতির কোলাহল আমার ভালো লাগে। তাই বলে নিকৃষ্টতম জীবনযুদ্ধে রিরংসাময় দংশনহনন নিশ্চয়ই ভালো লাগার নয়। সেটিই ঘটছে চারদিকে।