অ্যালিস ফ্রাংকলিন, চুয়ান্ন বছর বয়সী স্কটিশ মহিলা বহু বছর ধরে সােশ্যাল ওয়ার্কার হিসেবে চাকুরি করেন। তার চাকুরী জীবনে এই পর্যন্ত যতগুলাে কেস হ্যান্ডেল করেছেন তিনি, তার মধ্যে ইন্ডিয়ান বা এশিয়ান কাপল কেসগুলােতে একটা জিনিস বেশ কমন দেখেছেন। একজন এশিয়ান পুরুষ কখনােই বাইরের কারাে সাথে তার স্ত্রীর বন্ধুত্ব থাকাটা হজম করতে পারে না। তেমনিভাবে একজন এশিয়ান নারীও কখনােই তার স্বামীর পাশে কোন মেয়ে বন্ধুকে সহ্য করতে পারে না। এশিয়ান দেশগুলাের মধ্যে এরকম মন মানসিকতা খুবই কমন।
এই মানুষগুলাে যখন নিজেদের গন্ডি ছেড়ে বেরিয়ে আসে, পশ্চিমা দেশগুলােতে থাকতে শুরু করে তখন তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আসে। পশ্চিমা কালচারের অনেক কিছুই তারা খুব সহজে এডাপ্ট করে নেয়। কিন্তু মনমানসিকতা থেকে যায় আগের মতই। কেউ কেউ উদার হতে পারলেও বেশিরভাগের বেলাতেই দেখা যায় এশিয়ান মনমানসিকতা পুষে রেখে তারা পশ্চিমা কালচারের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে, একসময় বেঁধে যায় ধুন্ধুমার! এখানেও এশিয়ান মনমানসিকতা আর পশ্চিমা নিয়মনীতির সংঘর্ষ চলে। এই কেসটাও তেমনই, সামনে বসে থাকা মেয়েটা আর্থিক দিক থেকে পুরােপুরি তার স্বামীর উপর নির্ভরশীল। ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করার সুযােগ দিয়ে একদিকে যেমন উদার মনের পরিচয় দিয়েছে, অন্যদিক ইউনিভার্সিটির অন্যসব ছাত্রছাত্রীদের সাথে তার স্ত্রীর বন্ধুত্বটাকে মেনে নিতে পারছেনা।