শাইখ ড. সাঈদ ইবনু আলি কাহ্তানি রহিমাহুল্লাহ-এর “হিসনুল মুসলিম” বইটি পড়েননি, এমন মুসলিম হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে। মুসলিম-সমাজে শাইখের এ কিতাবটি বেশ সমাদৃত হয়েছে। কিন্তু এটি শাইখের মূল বইয়ের তিনভাগের একভাগ মাত্র।
শাইখ তাঁর “আয-যিকর ওয়াদ দুআ ওয়াল ইলাজ বির রুকা মিনাল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ” গ্রন্থের সিলেক্টিভ কিছু হাদীস নিয়ে “হিসনুল মুসলিম” বইটি সংকলন করেছেন। যেখানে দুআ কবুলের শর্ত, নিয়মকানুন, স্থান, দুআ কবুল না হওয়ার কারণ এবং কুরআনি-চিকিৎসা নিয়ে লেখা বিস্তর অধ্যায়-সহ অনেক কিছুই বাদ পড়েছে। এই তথ্য জানার পর অনেকে পাঠকই আফসোস করে বলেছেন, ‘ইশ! যদি শাইখের লেখা মূল বইটার পুরো ভার্সন বাংলায় অনুবাদ হতো, তবে তো হাদীসে বর্ণিত সব দুআগুলো আমরা একটা বই থেকেই পড়তে পারতাম! যে-কোনো প্রয়োজনে নবিজির শেখানো পদ্ধতিতে ডাকতে পারতাম আমাদের রবকে!’ আলহামদুলিল্লাহ, সে দিকটা বিবেচনায় রেখে আমরা শাইখ ড. কাহতানি’র “আয-যিকর ওয়াদ দুআ ওয়াল ইলাজ বির রুকা মিনাল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ” গ্রন্থটির পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ প্রকাশের উদ্যোগ নিই। বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ রেখে আমরা এর বাংলা নাম দিয়েছি “বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া”। কিতাবটির বৈশিষ্ট্য : • কিতাবটির একটি বিশেষ দিক হলো, এখানে প্রতিটি দুআ ও যিকিরের প্রেক্ষাপট-সহ অনুবাদ করা হয়েছে। তাই নবি কখন, কেন ও কোন বিষয়কে সামনে রেখে সাহাবায়ে কেরামদের দুআটি বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেই সোনালি মুহূর্তগুলোর এক বাস্তব চিত্র আমাদের সামনে ফুটে উঠবে। যার ফলে দুআগুলো বলার সময় আমরা অন্যরকম এক শক্তি অনুভব করব ইন শা আল্লাহ। • দুআ কবুলের সময়, স্থান, শর্ত ও দুআ কবুল না হওয়ার কারণ এবং যিকির, ওযীফা, রুকইয়া ইত্যাদি বিষয়ের বিশদ বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে; যার কারণে বইটি পুরো বিশ্বে একটি পূর্ণাঙ্গ দুআর বই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। • শুধুমাত্র দুআগুলো অনুবাদ না করে, প্রতিটি দুআ ও যিকরের প্রসংগ উল্লেখ-সহ পূর্ণ হাদীসের অনুবাদ উল্লেখ করা হয়েছে। • দুআগুলো লাইন-বাই-লাইন অনুবাদ করা হয়েছে, যাতে পাঠকগণ প্রতিটি লাইন বাংলার সাথে মিলিয়ে বুঝে বুঝে দুআগুলো পড়তে পারেন। • বইটি মুসলিম-সমাজে এতটাই সমাদৃত হয়েছে যে, এ যাবৎ বিশ্বের প্রায় ৪০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।