বিজ্ঞান মতে, মহাবিশ্বে “ব্লাকহােল আছে কিন্তু “হােয়াইটহােল” নেই। তবে কল্প-বিজ্ঞান মতে, শুধু “হােয়াইটহােল” কেন “ব্লাক অ্যান্ড হােয়াইটহােলও থাকতে পারে। “ব্লাকহােল’-এর ভিতর কি আছে বিজ্ঞানীরা এখনাে তা জানতে পারেন নি। শুধু এটুকুই জানা যায়, ওর খপ্পরে পড়লে গহীন অন্ধকারে তলিয়ে যায় সবকিছু, এমন বি আলােক রশ্মিগুলােও শুষে নেয় “ব্লাকহােল”। কিন্তু কল্প-বিজ্ঞান অনুসন্ধান করেছে ওর ভিতরে কি আছে, ওখানে। যদি একবার কেউ যেতে পারে তবে সেখানে কী দেখবে সে? সে জগতটা কেমন হবে, পৃথিবীর মতােই না অন্যরকম? নিশ্চয়ই পৃথিবীর মতাে আশা করা যায় না। অবশ্যই কোনাে অভিনব পরিবেশ হবে সেখানে। আর তার রহস্য উঘাটন। হবে “জার্নি টু ব্লাকহােল” গল্পটি পড়লে। “ব্লাক অ্যান্ড হােয়াইটহােল” গল্পে রয়েছে অনেক নতুনত্ব আবিষ্কার। আমরা জানি, মানুষের কথাগুলাে ইথারে ভেসে বেড়ায়। এ গ্রহের বিজ্ঞানীরা এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছে, যার মাধ্যমে অতীতের বিখ্যাত মনীষীদের কথা শােনা যায়। “হােয়াইটহােল গল্পটিও ভিন্ন মেজাজের। এখানে সময় স্থির, কারাে বয়স বাড়ে না; মৃত্যুও নেই, অনন্তজীবন এখানকার বাসিন্দাদের। এমনি সব ভিন্নধর্মী কাহিনী নিয়ে সায়েন্সফিকশনের এ গ্রন্থটি সাজানাে হয়েছে। এ গ্রন্থের প্রতিটি গল্পই আলাদা আলাদা, আবার সবগুলাে একসূত্রে গ্রোথিত হয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ কল্প-উপন্যাস (সায়েন্সফিকশন)। হুমায়ুন আহমেদের কথায়-‘আমরা। একই সঙ্গে একা এবং একই সঙ্গে অনেকে। এ গ্রন্থের গল্পগুলাে পাঠককে অজানা-অচেনা এক ভিন্নতর জগতে নিয়ে যাবে। যেখান থেকে বেরিয়ে আসতে কিছুতেই মন চাইবে না। স্বননের মতােই ‘হােয়াইটহােল’-এর মধ্যে আটকা পড়ে যাবে পাঠকবৃন্দ। গ্রন্থটি কিশােরদের জন্য লিখিত হলেও ছােট-বড়াে সব পাঠকই পড়ে মজা পাবেন-আশা করি।