লেখাপড়া করে যে..” বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ ‘লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’। এখন বোধহয় আমরা জেনে গেছি যে, লেখাপড়া করলেই গাড়ি চড়ার নিশ্চয়তা কেউ দেয় না। আমরা দেখতে চাই? লেখাপড়া শিখেও কেউ কেউ কিছু হয় না, কোথায় তাদের ঘাটতি? আবার না শিখেও কেউ কেউ কিছু হয়, কোথায় তাদের শক্তি? তেমনি ছাত্রজীবনে কর্মজীবনের নিজেকে কিভাবে তৈরি করতে হবে এটা না জানার কারণে লক্ষ লক্ষ তরুণ আজ হতাশার জালে আটকে আছে। গত ৪০ বছর ধরে আমাদের তারুণ্য সেই পরীক্ষা পাস আর সার্টিফিকেট-এর পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছে। আর অভিভাবকরাও যেন তাদের সেদিকেই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কেন তারা নিজেদেরকে একবিংশ শতাব্দীর উপযুক্ত করে তৈরি করছে না? এই গ্রন্থ তাদের সেটা মনে করিয়ে দেবে। কিভাবে তারা নিজেদেরকে তৈরি করবে তার একটা গাইডলাইন দেয়া আছে এই বইতে। আছে বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে ছাত্রদের আত্মপোলব্দি জাগানোর প্রয়াস, আছে বিভিন্ন ছকের মধ্য দিয়ে বাস্তবতা থেকে আমাদের অবস্থানের দূরত্বের প্রতিফলন। জীবন বাস্তবতার রুঢ় বিষয়সমূহকে সামনে নিয়ে এসে ছাত্রজীবন বা চাকরি খোঁজার অবসরে কর্মজীবনের জন্য তৈরি হওয়ার পথ দেখাবে এ বই। তাই আজি হোক ছাত্রজীবনেই নিজেকে গড়ার সূচনা। যদি একদিন দেরি করি তাহলে একদিনের পিছিয়ে পড়ব। আর পিছিয়ে না পড়–ক আমাদের তারুন্য।
অস্টম শ্রেণী ছাত্র থাকা অবস্থায় তার লেখা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি লেখালেখি, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু পুরষ্কার পেয়ে আসছেন। দেশের প্রায় সব পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমে রম্য লিখলেও পরে তিনি জীবনমুখী লেখনীতে মনোনিবেশ করেন। এযাবত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে তার হাজারের বেশী লেখা রয়েছে। এগুলো আত্মগঠন, ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন ও লোকসাহিত্য নিয়ে। বিষয় বস্তুর নির্বাচন ও নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গি তাকে ‘‘জীবনমুখী লেখক’’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। মজা করে লিখতে পারেন বলে তার লেখা পাঠক শুরু থেকে শেষ অবধি পাঠ করেন। তার লেখায় থাকে গল্পময়তার ছাপ। বাংলাভাষায় কর্মাশিয়াল কনটেন্ট লেখনিতে তিনি একজন পথিকৃত। অনলাইনে তার ই-কমার্স ও আত্ম উন্নয়নমুলক লেখাসমূহ পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেন। ৪৬ দিনে ১১৭৬ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা নিয়ে রচনা করেন অন্যরকম ভ্রমণকাহিনী ‘‘দেখব বাংলাদেশ গড় বাংলাদেশ’’। ২০১৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বিবেচনায় দেশের ৪০ জন প্রশংসিত ব্যক্তির একজন নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম ই-কমার্স সামিটে তিনি দেশ সেরা ই-কমার্স কনটেন্ট রাইটার পুরষ্কার জিতেন।
বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে লেখা তার আত্ম -উন্নয়নমূলক লেখনী তরুনদের উপলব্দির জায়গায় স্পর্শ করে। তার বিভিন্ন লেখায় অনলাইনে পাঠকের উচ্চসিত মতামত সেকথাই বলে।
একসময় রাখালী নামে একটি লোকসাহিত্যের ছোট কাগজ সম্পাদনা করতেন। লেখাপড়া করেছেন ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের জন্ম ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলায় মামাবাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। এখানেই কাটান শৈশব কৈশর। বর্তমান স্থায়ী নিবার ফেনী জেলায় হলেও কিন্তু কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের বাবা একজন অসবরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আর মা গৃহিনী।