শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে অধ্যয়নের বিষয় নির্বাচন করে থাকেন। অনেকেই বেছে নেন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা ব্যবসায় প্রশাসন। একটা সফল ব্যবসা গড়ে তুলতে অথবা ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে এ বিষয়টি বেছে নেন তারা। বর্তমান বিশ্বে চাকরির ক্ষেত্রটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ব্যবসায় প্রশাসনে অধ্যয়ন করে ভাল ফলাফল অর্জন করতে পারলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি- এমন ধারণা অনেকেরই। সুতরাং ক্যারিয়ার গড়ার ভাবনায় বিবিএ/এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের প্রবণতা দেখা যায়। এজন্য ব্যয় করতে হয় কাড়িকাড়ি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের মত উন্নত দেশেও এমবিএ প্রোগ্রামের বার্ষিক খরচ (২০১১ সালের হিসাবে) ৪০ হাজার ৯৮৩ থেকে ৫৩ হাজার ২০৮ ইউএস ডলার। এটা শুধু টুইশন ফি। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ তো আছেই। কিন্তু বিপুল অর্থ ব্যয় করে শেষ ফলাফলটা কী দাঁড়ায়? আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ক্যারিয়ার বেছে নিতে পারেন না সবাই। জশ কাউফম্যানের ‘দ্য পার্সোনাল এমবিএ’ বইটিতে বলা হয়েছে, ব্যবসায়ে সফলতা কিংবা পেশায় উন্নতির জন্য অবশ্যই এমবিএ অধ্যয়ন করবেন, কিন্তু সেজন্য বিজনেস স্কুলে ভর্তি হওয়া আবশ্যক এমন ধারণা ঠিক নয়। কাউফম্যান বলছেন, আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন শুধু সাধারণ বোধ, সরল পাটীগণিত আর কয়েকটা অতিগুরুত্বপূর্ণ ধারণা ও নীতি। ‘দ্য পার্সোনাল এমবিএ’ হচ্ছে প্রথমপাঠ্য বই, যেখানে পূর্বোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও তুলে ধরা হয়েছে এমবিএ কোর্সের এ-টু-জেড সবকিছু। এর উদ্দেশ্য হল, এই বিষয়ের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলো স্বচ্ছ ও সমন্বিতভাবে উপস্থাপন করা এবং যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সহযোগিতা করা। বিজনেস স্কুলে যা কিছু পড়ানো হয়, পণ্য ও বাজার এবং দলগত কাজ ও পদ্ধতি, প্রতিটা ধারণা ইত্যাদি সবকিছুই সহজ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। মৌলিক ধারণাগুলোর সঙ্গে যোগ হয়েছে সাম্প্রতিকতম নতুন ধারণাও। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, অনভিজ্ঞ, অভিজ্ঞ প্রত্যেকের জন্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ বই। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমবিএ কোর্সে অধ্যয়ন করছেন তাদের জন্যও বইটি অবশ্যপাঠ্য। অর্থ ও সময় ব্যয় করে তারা যা শিখছেন, তা অতি সহজেই শিখতে পারবেন এ বইটিতে। এখানে সমস্ত বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে সুসম্পাদিত আকারে, অযথা দীর্ঘসূত্রী করা হয়নি যা অনাবশ্যকভাবে সচরাচর করা হয়ে থাকে পাঠ্যবইতে। ফলে বইটি একদিকে যেমন সুপাঠ্য, তেমনি ক্লান্তিকর একঘেয়েমি থেকে মুক্ত। এমবিএ শিক্ষার্থীরা এ বই পড়ে উপকৃত হবেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সবার জন্যই এ বই। ‘দ্য পার্সোনাল এমবিএ’ বইটি প্রকাশের পর দ্রুত আন্তর্জাতিক বেস্টসেলারে পরিণত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি ও পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিজনেস কোর্সে টেক্সটবুক হিসেবে বইটি পড়ানো হয়। সূচীপত্র* ভূমিকা : কেন এ বই পড়বেন? * আপনার সবকিছু জানার প্রয়োজন নেই * অভিজ্ঞতা অত্যাবশ্যকীয় নয় * প্রশ্ন, উত্তর নয় * মানসিক মডেল, পদ্ধতি নয় * আমার ‘ব্যক্তিগত’ এমবিএ * ব্যবসা বিষয়ে একটি স্বপরিচালিত দ্রুত সম্পাদিত কোর্স * গম এবং ভুসি * ব্যক্তিগত এমবিএর বৈশ্বিক প্রসার * মাঙ্গারের মানসিক মডেল * বিন্দু সংযোজন * সন্দেহবাদীদের জন্য * আপনি কি বিজনেস স্কুলে যাবেন? * বিজনেস স্কুলের তিনটি বড় সমস্যা * আড়ম্বরের মোহ * আপনার টাকা আর আপনার জীবন * ডলারের ছড়াছড়ি * এমবিএ আসলে আপনাকে কী দেবে * কোত্থেকে এসেছে বিজনেস স্কুল * সরবরাহের সন্ধানে * আগুন নিয়ে খেলা * পরিবর্তনের কারণ নেই * বিজনেস স্কুলের একটি মাত্র লাভ * আমি ঋণী, আমি ঋণী আমার কাজের পথে বাধা * একটি ভাল পন্থা * এ বই থেকে আপনি কী শিখবেন * কীভাবে এ বই কাজে লাগাতে হবে ১. মূল্য সৃষ্টি* প্রতিটি ব্যবসায়ের পাঁচটি অংশ * অর্থনৈতিকভাবে মূল্যবান দক্ষতা * বাজারের কঠিন বিধি * মানবিক মর্মবস্তুর প্রেরণা * মর্যাদা অন্বেষণ * বাজার মূল্যায়নের দশ উপায় * প্রতিযোগিতার গুপ্ত মুনাফা * স্বেচ্ছাসেবী বিধি * ধর্মযোদ্ধা বিধি * বারো রকমের মূল্যবিন্যাস * মূল্যবিন্যাস #১: পণ্য * মূল্যবিন্যাস #২: সেবা * মূল্যবিন্যাস #৩: অংশী পুঁজি * মূল্যবিন্যাস #৪: অর্থদান * মূল্যবিন্যাস#৫: পুনর্বিক্রয় * মূল্যবিন্যাস#৬: ইজারা * মূল্যবিন্যাস#৭: এজেন্সি * মূল্যবিন্যাস#৮: শ্রোতৃমণ্ডলীর সমষ্টি * মূল্যবিন্যাস#৯: ঋণ * মূল্যবিন্যাস#১০: বাছাই করার সুযোগ * মূল্যবিন্যাস#১১: বীমা * মূল্যবিন্যাস#১২: মূলধন-পারিতোষিক বিরোধ * অনুভূত মূল্য * এককতা * বাধ দেয়া এবং না দেয়া * আদিরূপ * পুনরাবৃত্তি চক্র * পুনরাবৃত্তি গতিবেগ * প্রতিক্রিয়া * বিকল্পসমূহ * ব্যবসা-বিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক মূল্য * তুলনামূলক গুরুত্ব পরীক্ষা * সমালোচনামূলক অনুমান * ছায়াপরীক্ষা * সর্বনিম্ন টেকসই প্রস্তাব * বৃদ্ধিমূলক বর্ধন * মাঠপরীক্ষা ২. মার্কেটিং* মনোযোগ * ধারণক্ষমতা * বৈশিষ্ট্যপূর্ণতা * সম্ভাব্য ক্রেতা * পূর্বাধিকার * শেষ ফলাফল * গুণ * বাজারে অন্তর্ভুক্তির মুহূর্ত * উদ্দিষ্টতার সামর্থ্য * আকাক্সক্ষা * মানসচিত্র স্ফুটন * কাঠামো * মুক্ত * অনুমতি * আংটা * কল-টু-অ্যাকশন (সিটিএ) * আখ্যান * বিতর্ক * সুনাম * ৩. বিক্রি* লেনদেন * আস্থা * স্বীকৃত ভিত্তি * দাম নির্ধারণে অনিশ্চয়তার নীতি * চারটি দামের পদ্ধতি * দাম পরিবর্তন অভিঘাত * মূল্য-ভিত্তিক বিক্রি * শিক্ষা-ভিত্তিক বিক্রি * পরবর্তী সেরা বিকল্প * অনন্যতা * তিনটি সার্বজনীন মুদ্রা * দরদস্তুরের তিন মাত্রা * বাফার * প্ররোচনা প্রতিরোধ * পারস্পরিক বিনিময় * লোকসান স্বীকার করা * ক্রয়ের বাধা * ঝুঁকি উল্টে দেয়া * পুনরায় সক্রিয় করা ৪. মূল্য বিলি* মূল্য প্রবাহ * সরবরাহ প্রণালী * প্রত্যাশার প্রভাব * ভবিষ্যবাচ্যতা * উৎপাদন * প্রতিলিপি * গুণন * মাপদণ্ড * সঞ্চয়ন * সম্প্রসারণ * প্রতিযোগিতার বাধা * জবরদস্তি গুণক * পদ্ধতিকরণ ৫. ফিন্যান্স* মুনাফা * মুনাফার মার্জিন * মূল্য করায়ত্তকরণ * পর্যাপ্ততা * মূল্য-নির্ধারণ * নগদ অর্থ প্রবাহের বিবৃতি * আয়ের বিবৃতি * স্থিতিপত্র * আর্থিক অনুপাত * ব্যয়-লাভ বিশ্লেষণ * রাজস্ব বাড়ানোর চার পদ্ধতি * শক্তির মূল্য নির্ধারণ করা * আজীবন মূল্য * অনুমোদনযোগ্য অর্জনের ব্যয় (এএসি) * আনুষঙ্গিক * ব্যয় : নির্দিষ্ট এবং পরিবর্তনীয় * বৃদ্ধিজনিত মর্যাদাহানি * লাভ-ক্ষতি সমান-সমান * ঘাত-শোষণ * ক্ষমতা ক্রয় * নগদ অর্থ প্রবাহের চক্র * সুযোগের ব্যয় * টাকার সময়মূল্য * মিশ্রণ * উদ্দেশ্যসাধনের শক্তি * তহবিল গঠনের প্রাধান্যপরম্পরা * শক্ত করে জুতো বাঁধা * বিনিয়োগে প্রত্যাবর্তন (আরওআই) * ডুবন্ত ব্যয় * অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ৬. মানব মন* গুহামানব লক্ষণ * ক্রিয়ার চাহিদা * সেয়ানা মস্তিষ্ক * ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নিয়ন্ত্রণ * সূত্রের স্তর * শক্তি সংরক্ষণ * পথনির্দেশক কাঠামো * পুনরায় সংগঠিত করা * প্রচণ্ড বিরোধ * নকশা মানানসই করা * মানসিক ভান * ব্যাখ্যা ও পুনর্ব্যাখ্যা * প্রণোদনা * বাধা * ইচ্ছাশক্তির শূন্যত্ব * মান্দ্য অনীহা * হুমকি বন্ধ করা * জ্ঞানীয় পরিধির সীমানা * সমিতি * অন্ধত্বের বৈপরীত্যের অনুপস্থিতি * দুষ্প্রাপ্যতা * অভিনবত্ব ৭. নিজের সঙ্গে কাজ করা* অ্যাক্রেসিয়া * বহু-আদর্শবাদ * জ্ঞানীয় চাবুকের দণ্ড * সম্পূর্ণতার চার পদ্ধতি * সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ * লক্ষ্য * অস্তিত্বের হাল * অভ্যাস * কামানের বারুদ ধরানোর বিস্ফোরক * সিদ্ধান্ত * পাঁচ রকমের কেন * পাঁচ রকমের কীভাবে * পরবর্তী কর্মোদ্যোগ * রূপ দেয়া * আত্মপ্রকাশ * প্রতিতথ্যমূলক ভান * পার্কিন্সন’স ল * মহাপ্রলয়ের দৃশ্যকল্প * অত্যধিক আত্মগরিমার প্রবণতা * নিশ্চিত পক্ষপাত * কাজের বোঝা * কর্মশক্তির চক্র * কঠিন চাপ ও উদ্ধার * যাচাইকরণ * গূঢ় শক্তি * একঘেয়ে আনন্দবাদী কাজ * তুলনার ভুল ধারণা * নিয়ন্ত্রণের সঠিক স্থান * আসক্তি * ব্যক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) * বিশ্বাস সীমিত করা ৮. অন্যদের সঙ্গে কাজ করা* ক্ষমতা * তুলনামূলক সুবিধা * আনুষঙ্গিক যোগাযোগ * গুরুত্ব * নিরাপত্তা * সোনালি ট্রাইফেক্টা * কারণ কেন * অধিনায়কের অভিপ্রায় * পাশের জনের উদাসীনতা * পরিকল্পনার ভুল ধারণা * বিবেচনার যোগ্য * গোত্রবদ্ধ করা * সমকেন্দ্রিকতা ও কেন্দ্রচ্যুতি * সামাজিক সংকেত * সামাজিক প্রমাণ * কর্তৃত্ব * অঙ্গীকার ও সঙ্গতি * উৎসাহঘটিত পক্ষপাত * প্রকারাত্মক পক্ষপাত * পিগম্যালিওন প্রভাব * আরোপণ ভ্রম * অভিরুচির সঙ্গে পরিচিত হওয়া * ব্যবস্থাপনা * কুশলতাভিত্তিক নিযুক্তি ৯. পদ্ধতি উপলব্ধি* গ্যালের বিধি * প্রবাহ * মজুদ * স্তূপ * সংকোচ * প্রতিক্রিয়ার ফাঁস * স্বয়ং-অনুঘটন * পরিবেশ * নির্বাচন পরীক্ষা * অনিশ্চয়তা * পরিবর্তন * পারস্পরিক নির্ভরতা * প্রতিপক্ষ দলের ঝুঁকি * দ্বিতীয়-বিন্যাসের প্রভাব * স্বাভাবিক দুর্ঘটনা ১০. পদ্ধতি বিশ্লেষণ* ডিকন্সট্রাকশন * পরিমাপ * কর্মকুশলতার প্রধান নির্দেশক * আবর্জনা আসে, আবর্জনা যায় * সহনশীলতা * বিশ্লেষণাত্মক সততা * পূর্বসূত্র * নমুনা তৈরি করা * ভুলের উপান্ত * অনুপাত * বৈশিষ্ট্যমূলকতা * পারস্পরিক সম্পর্ক ও কার্যকারণসম্বন্ধ * নিয়ম * প্রতিনিধিত্ব * খণ্ডকরণ * মানবিকীকরণ ১১. পদ্ধতির উন্নতিসাধন* হস্তক্ষেপের পক্ষপাত * আশাবাদ * পুনঃগুণনীয়ক * সমালোচনামূলক কয়েকজন * হ্রস্বীকৃত প্রত্যাবৃত্ত * ঘর্ষণ * স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রব্যবস্থা * স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রব্যবস্থার প্যারাডক্স * স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রব্যবস্থার পরিহাস * মানসম্পন্ন কার্যসম্পাদনকারী প্রণালী * নজর তালিকা * নিবৃত্তি * ব্যর্থ-নিরাপদ * কঠিন চাপ পরীক্ষা * দৃশ্যকল্প পরিকল্পনা * টেকসই বিকাশ চক্র * মধ্য পথ * পরীক্ষামূলক মানস-গঠন * ‘সমাপ্তি’ নয়