বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিতে রচিত এ উপন্যাস একটি রোমান্টিক উপন্যাসও বটে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে উপন্যাসের নায়ক সজীব ও নায়িকা নার্গিস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের প্রেমের বীজ রোপিত হয়েছিল সেই কৈশোরে যখন মনের মাটিতে সদ্য জন্ম নেয়া কাশফুল একটু একটু করে দুলতে শুরু করে। তখন থেকে একটি ফুটনোন্মুখ গোলাপ কুঁড়ির আত্মপ্রকাশ মনে যেমন একটা ভাব এনে দেয় তেমনি হঠাৎ আবিষ্কার করে ওরা বাঁধা পড়ে গেছে প্রেম-ডোরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে তারা বাঁধবে সুখের জীবন বাধবে সুখের হবে একটি সফল পরিণতি। ও সংসার, প্রেমের মুক্তিযুদ্ধে সজীব তুলে নেয় অস্ত্র আর নার্গিস গোণে অপেক্ষার প্রহর। বিজয় যখন দ্বারপ্রান্তে আর তখনি এমন এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে নার্গিসের জীবনে যা তার স্বপ্ন ভেঙে গুঁডিয়ে দেয়। তারপরেও সে ফিরে এসেছিল সজীবের কাছে। এসে বলে, তোমার আর আমার মাঝে যে সম্পর্কের প্রাচীর উঠে গেছে তা ভেঙে আমি আর কখনো ফিরে আসতে পারব না তোমার কাছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত আহত পাখিরা যেমন কোনোভাবে তাদের ডানা ঝাপটিয়ে মিলিয়ে যায় নীলিমায় নার্গিস তেমনি মিলিয়ে গেল আঁধারে। যুদ্ধ শেষে সজীব ফিরে আসে ক্যাম্পাসে। সবাই ফিরে এলেও নার্গিস ফেরে না। নার্গিস বিহীন সজীবের জীবন তো মরুভূমির মতোই ধূসর। হঠাৎ-ই একদিন সজীব নার্গিসের এমন এক সংবাদ পায় তাতে তার মনে হয় মরুভূমিতে সদ্য ফোটা সবুজ গাছে যেন তিরতিরে হাওয়া বইছে।