“আধুনিক সেলাই, কাটিং ও ফ্যাশন ডিজাইনিং" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ সুন্দর পােশাকে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যবােধ করি। মন থাকে সতেজ। আর এ কারণে প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আসছে। আর তাই সূচী শিল্প বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের সালােয়ার-কামিজের চাহিদা বিশ্ববাজারে সবসময়ই বেশি থাকে কারণ অন্য যে কোন দেশের তুলনায় আমাদের দেশের বুনন, অসাধারণ স্টাইল,কাজের ধরন আলাদা ও রুচিশীল । নানা নকশায়, রঙবেরঙের ডিজাইনের পাশাপাশি আরামদায়কও হয়। আর তাই বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশের তৈরি পােশাকের চাহিদা অনেক। বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার একটি সুবিশাল অংশ আসে তৈরি পােশাকের খাত থেকে। পােশাক শিল্প দেশের বেকার সমস্যা দূরিকরণে অভাবনীয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে বেকারত্ব একটা নিদারুন সমস্যা সৃষ্টি করে চলেছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই বেকারত্বের অন্যতম সমস্যা হলাে যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন ধরনের স্থলন। যার দায়ভার এসে পড়ে সমাজের ওপর। অথচ, আমরা একটু চেষ্টা করলেই বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজের মাধ্যমে এই বেকার সমস্যা দূর করতে সচেষ্ট হতে পারি। এসব ক্রিয়েটিভ কাজের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য মাধ্যম হলাে পােশাক তৈরি শেখা। এই পদ্ধতি শেখা হলে আপনি ঘরে বসেও প্রত্যাশিত আয় করতে পারবেন। আপনার তৈরি পােশাকে প্রচলিত ধ্যান ধারনার পাশাপাশি নিজস্ব স্বকীয়তা বা ক্রিয়েটিভিটি প্রয়ােগ করে পােশাকে আনতে পারেন ব্যতিক্রমধর্মী রুচীশীল পরিবর্তন। যা হয়তাে হয়ে উঠতে পারে আধুনিক ফ্যাশনের অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। ঘরে বসে অতি সাধারণ পাঠকবৃন্দও যাতে সেলাই সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে সেই বিষয়ে আমি মানুষকে সবসময় উদ্বুদ্ধ করে থাকি। আমার এই বইটি সেই ধরনের একটি ব্যতিক্রমী প্রয়াস। অতি সাধারণ গৃহিনী থেকে শুরু করে ঘরে বসে থাকা অলস সময়ের যে কোন যুবক-যুবতী এই বইয়ের মাধ্যমে খুঁজে পেতে পারেন প্রত্যাশিত সাফল্য। চাকরি নামক সােনার হরিণের পেছনে না ছুটে যাতে তারা নিজেদের স্বাধীন পেশায় আত্মনিয়ােগ করতে পারেন। এমনকি পােশাক তৈরির বড় বড় ফ্যাশন হাউজেও নিজের অবদান রাখতে পারবেন। ফলে একেবারে নবীন থেকে প্রফেশনালদের জন্যও বইটি বেশ গুরুত্ব বহন করে।
জন্ম ৯ই সেপ্টেম্বর । বাবা প্রয়াত সুলতান আহমেদ খান, মা রাবেয়া খান। ইডেন কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি গ্রহণ করেন । বর্তমানে সাংসারিকতার পাশাপাশি লেখালেখিতে সময় অতিবাহিত করছেন। লেখালেখির প্রথম অনুপ্রেরণা মা ও বড় বােন শাফিয়া খান । ভীষণ সাহিত্যানুরাগী মায়ের কাছ থেকেই বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন লেখালেখি থেকে দূরে থাকলেও স্বামী এবং শ্বশুরের অনুপ্রেরণায় আবার শুরু করেন। শখ আবৃত্তি ও 'গান করা। কবির বিশ্বাস, ভালাে বই সব সময়ের ভালাে বন্ধু । এটি কবির দ্বিতীয় একক কাব্যগ্রন্থ এবং তৃতীয় একক গ্রন্থ । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “শিশিরের শব্দে তােমায় খুঁজি প্রকাশিত হয় একুশের বইমেলা ২০১৯ এ । বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তাঁর কবিতা মুদ্রিত হয় । ২০১৮ সালের একুশের বইমেলায় কয়েকটি সংকলন গ্রন্থে তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে ।