"সুলতান সুলায়মান" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: সুলতান সুলায়মান। কে ছিলেন তিনি? —ইতিহাসবেত্তারা তাকে ‘গ্রেট’ এবং ‘ম্যাগনিফিসেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অনেক পুরাতন নিয়মকানুন নতুন করে তৈরি করেন। এর জন্য খ্যাতি পান ‘আল কানুনি’ বা নিয়ম তৈরিকারী হিসেবে। সুলতান সুলায়মান ছিলেন একাধারে দিগ্বিজয়ী বীর, বলিষ্ঠ প্রশাসক, সুচতুর কূটনীতিবিদ, একনিষ্ঠ জনসেবক ও নিষ্ঠাবান মুসলিম। ইউরোপের তুলনায় খিলাফত রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা, আদালত ও শাসনব্যবস্থা ছিল অনেক বেশি উন্নত, নিরপেক্ষ, মানবিক, ন্যায়ানুগ এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। ওই সময়কার ইউরোপীয় রাজনীতি-অর্থনীতি ছিল সুলতানের নখদর্পণে। তুর্কি ভাষাসহ তিনি মোট পাঁচ ভাষায় কথা বলতে পারতেন। রণাঙ্গনেও সুলতান সুলায়মান ছিলেন সমান পারদর্শী। তাঁর শাসনামলে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটে। ইউরোপীয়রা সুলতান সুলায়মানকে নিয়ে হেরেমের যে মিথ্যা গল্পের পসরা সাজিয়েছে, বাস্তবে সুলায়মান হেরেমের নায়ক নন; বরং ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ইতিহাসের এক মহানায়ক। তিনি উসমানি খলিফাদের মধ্যে সেই বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি একটানা ৪৬ বছর (১৫২০-১৫৬৬) খিলাফত রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ উসমানি খিলাফতের তখনকার বিস্তৃতি ছিল তিন মহাদেশের বিরাট অংশজুড়ে।
এ সময়ের প্রতিভাদীপ্ত লেখক ও অনুবাদক। লেখালেখির জগতে পদার্পণ শৈশবকালেই। শিক্ষা ক্ষেত্রে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করে ২০০২ সালে। জামিয়া ফারুকিয়া করাচি থেকে তিনি তাখাসসুস ফি উলুমিল ফিকহের ডিগ্রি নেন। নাজিরহাট বড় মাদরাসা থেকে সুদীর্ঘ দুই যুগেরও অধিককাল ধরে নিয়মিত প্রকাশিত মাসিক দাওয়াতুল হক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ‘সুচিন্তা’ ও ‘শিকড়’ও তার সম্পাদিত সাময়িকী। এছাড়া নিরলসভাবে লিখে চলেছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকায়। ১৯৮১ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেয়া বরেণ্য এই আলেমের ৪০ টির অধিক বই রয়েছে বাজারে। তাঁর মৌলিক বইয়ের মধ্যে রয়েছেÑ নাফ তীরের কান্না; স্বর্ণযুগের সম্রাট; অপরাধ : উৎস ও প্রতিকার; পুত্রের প্রতি পিতার পত্র ও উপদেশ; আসহাবে কাহাফ; দেহমনের পাপ; পড়ালেখার কলাকৌশল; ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল হারাম।