ঘুরে দাঁড়ানো বইটি মূলত তাদের জন্য যারা জীবনের একপর্যায়ে এসে মনে করছেন আমার দ্বারা আর কিছু হবেনা। এছাড়া আমি এই বইয়ে "সাকিব আল হাসানকে" নিয়ে লিখেছি যিনি বাংলাদেশের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার জীবনের হোঁচট খাওয়া এবং ঘুরে দাঁড়ানো। সফল মানুষের সফলতার পেছনের গল্প তুলে ধরেছি। একজন ভালো এমপ্লয়ি হতে হলে কিভাবে একই কাজ ভিন্নভাবে করা যায় এবং বসের সাথে আর অফিসের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কিভাবে নিজের লক্ষের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তা তুলে ধরেছি।
বাবা মারা কেন সন্তানদের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছি। পৃথিবীতে সবথেকে বড় শক্তির জায়গা হলো বাবা-মায়ের দোয়া। মায়েরা কপালের টিপটার আঠা নষ্ট হলেও সেটা যত্ন করে রেখে দেন, মায়েদের শাড়ি কখনো পুরোনো হয়না, একজোড়া কানের দুলের একটা হারিয়ে গেলে কাউকে কিছু না বলে নীরবে খুঁজতে থাকে আর অন্যটা যত্ন করে রেখে দেয়, ভাঙা চুড়িটাও তাঁদের কাছে ভালো লাগে, ভাঙা মোবাইলটা আর কাজে লাগবেনা জেনেও যত্ন করে তুলে রাখে কারণ এটা তাঁর ছেলে বা মেয়ে কিনে দিয়েিছল..... ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে আমি মূলত এই বিষয়গুলো তুলে নিয়ে এসেছি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক মনজুর এইচ হামীম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হামীম ডেনিম এর ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং ডিভিশনে ডিজিএম হিসেবে কর্মরত আছেন। পেশাগত জীবনে তিনি কয়েকবার "বেস্ট এমপ্লয়ি অব দ্য ইয়ার" নির্বাচিত হন। তিনি একাধিকবার বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। ছোটবেলা থেকে তিনি আবৃত্তি, বক্তৃতা, বিজ্ঞানমেলা ও খেলাধূলায় অসংখ্য পুরস্কার পান। স্কুল টিভি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিনি শ্রেষ্ঠ বক্তা হন। তাঁর পিতা মোঃ সেকেন্দার আলী, শিক্ষাকতায় জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। মাতা মনছুরা রহমান শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। ছোটবেলা থেকে মনজুর এইচ লেখালেখির সাথে জড়িত। ইতোমধ্যে মোটিভেশনাল রাইটার হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।