"দানে বাড়ে ধন" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: শিশুদের জন্য কোনো কিছুই যথেষ্ট মনে হয় না—না খাওয়া, না পড়া। এরা খেতে চায় না, দৌড়-ঝাপ করে খাওয়াতে হয়। এরা পড়তে চায় না, গল্প বলে বলে পড়াতে হয়। গল্প বলতে গেলে জানতে হয়। এ কাজটা এত সহজ নয়। ভূতের গল্প আর এপার-ওপারের গল্প—গাল-গল্পই বটে। সেগুলো শুনে শিশু পিটপিট করে তাকালেও তার অন্তরাত্মায় পুলকবোধ করে না। মনে হয়, সে ভিন্ন কিছু চায়। সত্তাগত যে চাহিদা, তা তো অনেকেই বুঝতে পারেন না, চান-ও না। মেয়েদের লাজুক চাহনিকে আমরাই ধীরে ধীরে নির্লজ্জ করে তুলি। আল্লাহর নাম শুনে এমনিতেই দুলে ওঠা শিশুকে বদ-দ্বীনীর কোলে রেখে আসি। তখন শিশু আর আমার শিশু থাকে না। সময়ের শিশু হয়ে ওঠে! সময়ের স্রোত খুব মারাত্মক। একবার ভেসে গেলে সাঁতরিয়ে ফের পারে ওঠা মুশকিল! এজন্য মুসলমানদের সময়ের স্রোতে ভেসে গেলে চলে না। তাদের স্বকীয়তা ঠিক রেখেই ঈমান ও আমল বহাল রাখতে হয়। আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস সেই চৌদ্দশ বছর পুরোনো—রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সঙ্গীগণ—সাহাবায়ে কেরাম। পরবর্তী কালে তাদের অনুসরণ করে তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ীনগণ ও যুগে যুগে বুযুর্গানে-দ্বীন চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাদের জীবনের গল্পগুলো আমাদের উজ্জীবিত করে। মানুষকে দান করা ছিল তাদের চরিত্রের অন্যতম একটি দিক। দানে বাড়ে ধন গ্রন্থটিতে তাদের দান ও বদান্যতার অসংখ্যা গল্পের কয়েকটি তুলে ধরা হয়েছে।