সৃজনশীল এবং মননশীল- দুই ভুবনেই নিয়মিত শিল্পী শাহমুব জুয়েল। সাহিত্যের সাথে তার কারবার পরিচিত হয়ে উঠছে পাঠকের কাছে। সমুদ্রগামিনী উপন্যাসে তিনি জীবনের ব্যাপকতাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছেন। গ্রামীণ ও প্রাকৃতিক প্রতিবেশের বিপুৰ-স্বপ্নজাগানিয়া শােভার। পাশাপাশি এখানে উঠে এসেছে শহুরে জীবনের বৈচিত্র্যও। উজানের কাহিনি এটা। উজানের জীবনের সাথে এসে মিশেছে ঝিনুক। সমুদ্রের সৌন্দর্য আর মানুষের কল্পনার সারল্যের সাথে নানান বিষয় ও পরিকল্পনার প্রভা পড়েছে কাহিনিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, প্রবাস এমনকি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক আবহ। ধরতে পেরেছেন লেখক। বাঙালিয়ানাকেও ভুলে থাকেননি। আবার, প্রযুক্তির প্রভাবও যে জীবনের স্বাভাবিক বিষয় হয়ে উঠেছে, তাও সতর্কতায় তুলে এনেছেন কাহিনিকার। জীবন যে সুন্দর, মানুষ সবকিছুকে অতিক্রম করে শেষ পর্যন্তসেই সুন্দরের সাধনাই যে করে চলেছে দিনরাত্রি- সে-কথাই। ঔপন্যাসিক শাহমুব জুয়েল তার পাঠককে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন। লেখকের কল্পনা আর পরিকল্পনা থেকে খসেপড়া কিছু পাতা আর তার বুনাে সুবাস দিয়ে তৈরি হয়েছে এই উপন্যাসের জানালা ও বারান্দা।
শাহমুব জুয়েল : জন্ম ০৯ জানুয়ারি, ১৯৮৫ খ্রি. চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা গ্রামে। লেখকের সম্পাদিত লিটলম্যাগ 'বৰ্ণিল'। কবিতাগ্রন্থ : ‘কাঁচা রোদের সন্ধানে' (২০১৭), 'মুখোমুখি আহ্লাদী চিবুক’ (২০১৭), ‘বাংলা ব্যাকরণ : উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ (২০১৭), “উচ্চ মাধ্যমিক সৃজনশীল বাংলা প্রথম পত্র' (২০১৭); গল্পগ্রন্থ : ‘অথৈ সময়ের শ্বাস' (২০১৮); প্রবন্ধগ্রন্থ : ‘কথাসাহিত্যে রাজনৈতিক দর্শন ও বিবিধ প্রবন্ধ' (২০১৯); উপন্যাস : ‘সবুজডানা' (২০২০), ‘সমুদ্রগামিনী' (২০২০), 'গিরিকন্যা' (২০২১)। তিনি শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় কবিতা, গল্প, সাহিত্যসমালোচনা, নিয়মিত কলাম ও ফিচার লিখছেন। টেলিভিশনে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।