"ঘুম ভাঙছেই" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
"নীচে ডোরবেল বাজে। আভিজাত্যা সিঁড়ির দিকে এগোয়। গ্রিলের তালা খুলতে যায়। অভিমিত্রা রায়ুষের হাঁটুর উপরে পা রাখে। আদর না অধিকারে জানে না। কপালে, নাকের ডগায় ঘাম। ঠোঁটে হাসি। পায়ের আঙুলে ম্যাজেন্টা নেলপলিশ। রায়ুষ কেঁপে ওঠে। হাজার ওয়াটের ঝটকা লাগে শরীরে। জিন্সের উপর থেকেও অভিমিত্রার পায়ের স্পর্শ অনুভব করে। এমন শিহরণ আগে কখনও অনুভব করেনি রায়ুষ। কারো ছোঁয়ায় এমন নেশা অনুভব করেনি। হাতের রিষ্টব্যান্ড খোলে রায়ুষ। অভিমিত্রার পায়ে পরিয়ে দেয়। জোরে শ্বাস নেয় অভিমিত্রা। চোখ বন্ধ করে। রায়ুষ ওর পায়ের আঙুলে হাত রাখে। সামনে ঝুঁকে পায়ের পাতায় চুমু খায়। পা টেনে নেয় অভিমিত্রা রায়ুষের হাঁটুতে চড় বসায়। চেয়ার থেকে তুলে সিঁড়ির দিকে টেনে নিয়ে যায়। সিঁড়িতে নেমে কলার ধরে রায়ুষের। দেয়ালে ঠেসে ঠোঁটে ঠোঁট গেঁথে দেয়।
একদিকে দেয়াল। একদিকে সিঁড়ির হাতল। সিঁড়ির হা করা দরজায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে এলইডির আলো। সিঁড়িতে দুজন মানুষ। দুজনের শরীরে স্রোত, দুজনের শরীরে নেশা। দেয়াল ছেড়ে ঘুরে দাঁড়ায় রায়ুষ। নিজের ঠোঁটের ফাঁকে অভিমিত্রার ঠোঁট ডুবিয়ে নেয়। অভিমিত্রা আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরে, নিজের মধ্যে রায়ুষকে গেঁথে নিতে চায়। দুজনের বুকের ভিতরে পাখি ওড়ে, দুজনের বুকের ভিতরে ফুল ফোটে। চুমু খেতে খেতে দুজন মদ হতে থাকে।
সিঁড়িতে পায়ের শব্দ গাঢ় হয় ..."
... রুদ্র গোস্বামী।