ডা. মালিহা তাবাসসুমের জন্ম ১৯ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আল মানার হাসপাতালে ঠিক ভোর চারটায়। বাবা মোহাম্মদ আব্দুল মালেক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত, মা তাসলিমা খান কেয়া লেখালেখি করেছেন যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। ছোটবেলায় পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখার মাধ্যমে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাশ করে মালিহা এমবিবিএস পড়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে। মেডিকেলের মত কারাগারে থেকেও সৃজনশীল কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রও চুম্বকের মত আকর্ষণ করে তাকে। ক্ল্যাসিকাল সংগীত এবং আবৃত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৫ সালে। তবে লেখালেখির প্রতি ভালোবাসা অম্লান এত কাজের মাঝে। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত পরপর দুটো স্পাই থ্রিলার এবং সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার বেশ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করলেও তৃতীয় উপন্যাস এবং প্রথম মেডিক্যাল থ্রিলার ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স দিয়ে মালিহা পুরো বাংলাদেশে সাড়া ফেলে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সের পর মেডিকেল এক্সামাইনার আবরার সিরিজের দ্বিতীয় বই মেডিকেল থ্রিলার "অ্যাকিলিসের টেন্ডন" নিয়ে এসে ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সের সাফল্যকে ছাড়িয়ে গেছেন মালিহা। ডাক্তারির পাশাপাশি মালিহা চান আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একজন লেখক এবং নির্মাতা হিসেবে সাহিত্যাঙ্গন এবং মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় বিচরণ করতে। ২০২৪ এর অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে হালের বহুল ব্যবহৃত টার্ম "নার্সিসিস্ট,সোশিওপ্যাথ,সাইকোপ্যাথ" দের থেকে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপর লেখা প্রথম নন ফিকশান এবং পঞ্চম বই- "অপরাধের আঁতুড়ঘর: নার্সিসিস্ট,সাইকোপ্যাথ,সোশিওপ্যাথদের ভিন্নধর্মী নির্যাতন,মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপায়"।