“পার্পল জলফড়িং" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ স্মৃতি ভদ্র অন্তর্জালে লেখালেখি করেন। লেখেন গল্প। তার গল্প স্নিগ্ধ ও মানবিক। তিনি লেখায় গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন আখ্যানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ একটি সহজ, স্নিগ্ধ, নিটোল গল্পভাষা। গল্পে একটি তলের বদলে নিয়ে আসছেন বহুতলের দ্যোতনা। মনােভূমির বদলে চরিত্ররা এসে পড়ছে চেনা জানা জগৎ থেকে। তিনি বেছে নিয়েছেন ঘটনাকে, ঘটনার ভেতরকার তথ্যকে। সেই তথ্যকে তত্ত্বের নানা দৃষ্টিকোণ দিয়ে ভেঙেচুরে সৃষ্টি করছেন আখ্যান। আখ্যানে আসছে দ্বন্দ্ব, সংঘাতে আসছে চমক। ব্যক্তি রূপান্তরিত হচ্ছে সমষ্টিতে। অনায়াসে খেলছেন পাঠকের সঙ্গে চোর-পুলিশ। বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার যথার্থ মিশেলে আখ্যানের গায়ে লাগছে। নতুনত্বের ছোঁয়া। কখনাে কখনাে উঁকি দিচ্ছে জাদুবাস্তবতা। ‘পার্পল জলফড়িং'-এর মধ্যে সাতচল্লিশের দেশভাগ, দাঙ্গা, মুক্তিযুদ্ধের মতাে বড়াে কাঠামাে গল্পের বিষয় হয়ে এসেছে প্রবলভাবে। এসেছে দেশে ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু নির্যাতন, মৌলবাদী হুংকার, জঙ্গী-নাশকতা, ভীন্নমতাবলম্বী নিপীড়ণ, মুক্ত-হত্যা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসের মতাে ভয়ংকর ঘটনাগুলাে। এসেছে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘটনা। সব কিছুর মধ্যে তিনি লিখেছেন মানবিক ভাষ্য। ঘৃণা নয় সম্প্রীতিই তার অন্বিষ্ট । প্রবাসী হয়েও প্রবাসের গল্প নয় স্মৃতি ভদ্র লিখছেন বাংলাদেশের গল্প।