"মন্ত্রিত্বকালীন পাঁচ বছরে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ৩" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: ঘটে যাওয়া সবই কি ইতিহাস? ইতিহাসের সংজ্ঞা নির্মাণে ঐতিহাসিকদের কম গলদঘর্ম হতে হয়নি। তৈরি হয়েছে ইতিহাস সম্পর্কিত নানা দৃষ্টিভঙ্গিও। কেউ বলেছেন রাজরাজড়াদের কালানুক্রমিক ঘটনাবলির পাঠ-ই কেবল ইতিহাস নয়। কেউ ইতিহাসকে দেখেছেন মানুষের সামাজিক-সাংস্কৃতিক অগ্রগতির পাঠ হিসেবে। কেউ-কেউ ইতিহাসের উপাদান হিসেবে অন্ত্যজ-অতি সাধারণ মানুষের কর্মকান্ডকেই প্রধান হিসেবে গণ্য করেছেন, করতে চেয়েছেন। তবে দৃষ্টিভঙ্গি যেটাই হোক, সাধারণ কি অসাধারণ, মূলত মানুষকে ঘিরেই ইতিহাস। আমরা এই বইয়ে রাজনীতিবিদ, দক্ষ প্রশাসক, মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনের ক্ষুদ্র অথচ অতি তাৎপর্যময় একটি সময়ের পাঠানুসন্ধান করতে চেয়েছি। পত্র-পত্রিকা অবলম্বনে তাঁর মন্ত্রিত্বকালীন পাঁচ বছরের ঘটনাক্রম পাঁচটি খন্ডে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই দফায় সেই উদ্যোগের তৃতীয় খন্ড আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া গেল। যে কোনো বিবেচনায় ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর কালপর্বটি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের এক তাৎপর্যমন্ডিত অধ্যায়। এ কারণেই মূলত কাজটি করতে আমরা আগ্রহ দেখিয়েছি। এই বইটি মূলত সেই অধ্যায়ের মধ্যবর্তী পর্বের ওপর তৈরি তৃতীয় খন্ড। আইন মন্ত্রণালয় তথা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদসূত্রে ২০১১ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল, সে বিষয়ে জানতে বইটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। উল্লিখিত সময়ে আইনমন্ত্রী হিসেবে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের কার্যক্রম বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় যেভাবে প্রতিফলিত হয়েছে গুরুত্ব বিচারে সেগুলোর একটি অংশ এখানে তুলে ধরা হলো। প্রাপ্ত সকল পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো এক জায়গায় জড়ো করে সেগুলো থেকে অধিকতর বস্তুনিষ্ঠ ও প্রয়োজনীয় সংবাদসমূহ সন্নিবেশিত হয়েছে বইটিতে। চলমান রাজনৈতিক ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি ও গবেষকরা এই বই থেকে কিছুটা হলেও রসদ আহরণে সক্ষম হবেন বলে আমরা মনে করছি।
Title
মন্ত্রিত্বকালীন পাঁচ বছরে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ৩
খালিদ মারুফ। রেহানা মারুফ ও মারুফুল হক মোল্লা দম্পতির প্রথম পুত্র। জন্ম ১৯৮৫ সালের ১০ আগস্ট, বাগেরহাট জেলার বেশরগাতী নামক এক সংঘাতপ্রবণ গ্রামে। পুরো কৈশোর আর যৌবনের কিয়দংশ কেটেছে নড়াইল-গোপালগঞ্জে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগের ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।