”অদম্য-৩” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: পরাজিত মানুষ যেভাবে ঘুরে ঘুরে দাড়ায়। সেভাবেই বারবার ঘুরে দাড়ায় অদম্য সেন। এই বইয়ের তিনটে গল্পে সেই অদম্য সেনকেই আমরা খুঁজে পাই অদম্য একজন মারসেনারি। সমাজের চোখে সে অপরাধী। সমাজের বেঁধে দেওয়া নিয়মে সে চলে না। বরং অন্ধকারেই তার বেশি যাতায়াত। খুন করতে তার হাত কাঁপে না। তবে শুধু যে অপরাধ জগতের হয়ে কাজ করে অদম্য তা নয়, বরং কখনও পুলিশ বা মিলিটারির হয়েও কাজ করে সে। অন্ধকারের অধিক অন্ধকার মানুষটার যে আলাের অধিক আলােময় একটা সত্তা আছে। সেটা তখন বেরিয়ে আসে। রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের আঁকাবাঁকা পথেই এগােয় অদম্যর জীবন। ‘বরফের তরােয়াল’ গল্পে তাকে আমরা দেখি অপরাধীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা এক মানুষ হিসেবে। পরির বাড়ি’ গল্পে আবার সেই সমাজের চোখে ভেসে ওঠে অপরাধী হয়ে। প্রিয় মানুষকে বাঁচাবার জন্য সে সবার সামনে দাড়ায় অপরাধীর বেশে। আর ‘অ্যাডাম’ গল্পে দুই ভিন্ন সময়ের মানুষের কাহিনির মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসে অদম্য সেন হয়ে ওঠা। বােঝা যায় অদম্য কোনও এমনি মানুষ নয়। অদম্য একটা বিশ্বাস, একটা পাল্টা লড়াই। পরাজিত ও বাতিল মানুষের ফিরে আসার আলাে-আঁধারির গল্প-অদম্য।
জন্ম ১৯ জুন,১৯৭৬ কলকাতায়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নঙ্গী হাইস্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পর পড়া ছেড়ে দেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী বর্তমান বাংলা সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য লেখক। তরুণ তরুণীদের মধ্যে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কবিতা দিয়ে তাঁর লেখালিখির শুরু। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। প্রথম উপন্যাস 'পাতাঝরার মরশুমে'। তাঁর সৃষ্ট এক অনবদ্য চরিত্র অদম্য সেন। তাঁর শখ বলতে কবিতা, বই, মুভিজ আর ফুটবল।