"পাল্টাহাওয়া" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: কিছু তরুণ-তরুণীর জীবনের থেকে তুলে নেওয়া চোদ্দো মাস এই উপন্যাসের সময়কাল। শহর এর পটভুমি। হাইরাইজার, মাস্টিক অ্যাসফল্ট, শপিংমল আর জমজমাট ট্রাফিকের মাঝে পাক খাওয়া ফুলের হারানাে গন্ধ, বন্ধুর হাত, বাঁশিওলার সুর আর অগণিত রােজকার মানুষ এর অন্বেষণ। উপন্যাসের কেন্দ্রে রয়েছে সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করা রীপ আর তিথি, অ্যাথলিট পুষ্পল, উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাই, রয়েছে মনমরা পুলু, বিদেশ যেতে না পারা শাক্য, অভিমানী মৌনিকা বা মুখার্জি-বাড়িতে কাজ করা ছেলে বাটু। আলাদা আলাদা হলেও যেন কোথাও এরা এক কোথাও যেন সবাই বদ্ধ, সবাই নিরুপায়। ক্রমশ বদলের হাওয়া লাগে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকে এদের জীবন। একজনের বেঁচে থাকা ক্রমশ জড়িয়ে যেতে থাকে অন্যের বেঁচে থাকার সঙ্গে। রীপের একাকিত্বে ঢুকে পড়তে চায় তিথি। পুষ্পলের দৌড় ট্র্যাক ছাড়িয়ে ঢুকে পড়ে জীবনে। সামান্য সময়ের জন্য হলেও এরােপ্লেন বাটুকে ভুলিয়ে দেয় ওর দারিদ্র। মেনিকার মােবাইলে মধ্যরাতে বেজে ওঠে পুরনাে কবিতা। বাবামায়ের সম্পর্কের মাঝে পুলু দেখতে পায় গভীর শূন্যতা। এই সমস্ত ভাঙচুর সহ্য করেও প্রত্যেকে নিজের ভেতরে টের পায় এক অজানা টান টের পায় এক পাল্টা হাওয়া। যে যার মতাে ঘুরে দাড়াতে চায়। কাহিনির পরতে পরতে এই তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে রােদ-বৃষ্টি আর ধুলাে-মাটির মতাে জড়িয়ে থাকে কল্লোলিনী কলকাতা।
জন্ম ১৯ জুন,১৯৭৬ কলকাতায়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নঙ্গী হাইস্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পর পড়া ছেড়ে দেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী বর্তমান বাংলা সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য লেখক। তরুণ তরুণীদের মধ্যে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কবিতা দিয়ে তাঁর লেখালিখির শুরু। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। প্রথম উপন্যাস 'পাতাঝরার মরশুমে'। তাঁর সৃষ্ট এক অনবদ্য চরিত্র অদম্য সেন। তাঁর শখ বলতে কবিতা, বই, মুভিজ আর ফুটবল।