সেই কতকাল ধরেই পবিত্র ভুমি হিসেবে পরিচিত অঞ্চলটিকে নিয়ে চলে আসছে যুদ্ধ। কিন্তু কেন? অগণিত মৃত্যুর কারণ এই জায়গাটিকে ঘিরে ইহুদী ও ইসলাম উভয় ধর্মেরই রয়েছে নিজ নিজ দাবি। গত শতাব্দীতে মুসলিম অধ্যুষিত ফিলিস্তিন আজ হয়ে গিয়েছে ইহুদীদের ইসরাইল। ঠিক এ জায়গাটাই কেন চাই? ইহুদীদের নিজস্ব ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী জেরুজালেম ও এ অঞ্চলের ওপর তাদের ধর্মীয় দাবি কী? জায়োনিজমের উৎপত্তি হলো কীভাবে? তার চাইতেও বড় কথা, সত্যি সত্যি এ অঞ্চলের আদি নিবাসী কারা? মুসলিম জাতিকে কীভাবে দেখে ইহুদী ধর্ম? ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) এর আবির্ভাবের পর থেকে আজ পর্যন্ত তাঁকে এবং ইসলাম ধর্মকে নিয়ে ইহুদী ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি কী? চূড়ান্ত শিখর থেকে কীভাবে পতন হয় ইহুদী জাতির? এরকম হাজারো প্রশ্ন অনেকেরই মনে ঘুরপাক খেয়ে থাকে। কিন্তু খুব সহজ ভাষায় এ বিষয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাঞ্চলভাবে উপস্থাপিত বইয়ের খুব অভাব বাংলা ভাষায়। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করার জন্য পাঠকদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইহুদী ধর্মের প্রাচীন সময়ে, হাজার হাজার বছর আগের মধ্যপ্রাচ্য আর মিসরের মরুপ্রান্তরে। একদম গোড়া থেকে ধীরে ধীরে এ বইতে তুলে ধরা হয়েছে ইসলাম, ইহুদী ও খ্রিস্টধর্মের পৃথক পৃথক দৃষ্টিকোণ থেকে এ জাতির ইতিহাসকে, যে জাতি 'বনী ইসরাইল' নামেও পরিচিত। শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ নয়, ইহুদীদের দ্বারা পবিত্র ভূমি দখলের আড়ালের বিশ্বাসটুকু জানতেও সাহায্য করবে এ বইটি।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ (Abdullah Ibn Mahmud) (৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২-)
শৈশবের গোড়ার ছয়টি বছর কেটেছে আরব আমিরাতের দুবাইতে। ২০১১ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করে আন্ডারগ্র্যাড শুরু করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎকৌশল বিভাগে (EEE)। ২০১৭ সালে বুয়েট থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-তে এমবিএ কোর্সে অধ্যয়ন শুরু করেন। ভার্চুয়াল জগতে লেখালেখির সূচনা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঢুকবার পর থেকেই। বুয়েটে শেষ বর্ষে থাকাকালীন লেখা শুরু করেন রোর বাংলা প্ল্যাটফর্মে, যেখানে জনপ্রিয়তা পায় তার শতাধিক লেখনি। ভালোবাসেন নতুন কিছু জানতে এবং জানাতে; প্রযুক্তি আর ফিকশন ছাড়াও পছন্দের বিষয়- বৈশ্বিক ইতিহাস, মিথ এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব।