"ক্ষত" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ক্ষত: রােদেলা খুব অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। রােদেলার আজকের এই দৃষ্টি সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি মাথা নিচু করে ফেললাম। যে গভীর ক্ষতটা তৈরি হয়েছিল বুকের ভিতরে, সে ক্ষত আমার মেয়ে দেখে ফেলে কষ্ট পাক, তা আমি চাই না। কেন ক্ষত তৈরি হয়েছিল মায়ের বুকে? নতুন ইন্টার্ন: খুব কষ্ট যখন হতাে, তখন কল্পনা করতাম, তুমি নীল শাড়ি পরে আমার সাথে রিকশায় করে ঘুরছাে। আর আমি তােমাকে গান শােনাচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে চেষ্টা করেও গাইতে পারতাম না। কেন রিয়াজ ভাইয়া আর গান গাইতে পারেন না? অসম্মান: আমার স্বামী তার মৃত্যুর মাত্র এগারাে দিন আগে আমাকে ডিভাের্স দিয়ে দিলাে না, এমন নয় যে, মৃত্যুটা হঠাৎ করেই হয়েছে। সে জানতাে, সে মারা যাবে। মাত্র এগারাে দিন। পরে মারা যাবে, সেটা জানতাে না। তবে হাতে যে বেশি সময় নেই, সেটা জানতাে। কেন রায়হান এভাবে রুমানা কে অসম্মান করলাে? নতুন মা: "আমি চোখ বন্ধ করেই মিচমিচ করে হাসছি। আমার বােকা ছেলেটা তাও বুঝতে পারলাে না, আমি অভিনয় করছি। সে ভাবলাে আমি সত্যি সত্যিই মারা গেছি। হঠাৎ করেই কাব্য চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে," ওঠো আম্মু, ওঠো। আমার নতুন আম্মু লাগবে না। 'সৎ মায়েরও কি কখনাে প্রসব বেদনার মত বেদনা হয়? লেখিকা বলেছেন 'সমাজের ক্ষতগুলাে আমাকে ঘুমাতে দেয় না, জাগিয়ে রাখে। দেখতে থাকি ক্ষতগুলাে, লিখতে থাকি, আনাড়ি হাতে। ভালােবাসার টানা পােড়েন গুলাে দেখে, যে ক্ষতগুলাে তৈরি হয় মনের গভীরে, সেগুলাে লিখতে পারি না তেমন করে। শুধু অনুভব করতে পারি।
ডা. সুমনা তনু শিলা জন্ম যশাের সদর উপজেলার পুরাতন কসবা, ঘােষপাড়া এলাকায়। বাবা মাে. জাকারিয়া আহমেদ, আবহাওয়াবিদ ছিলেন। তিনি খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনিও সাহিত্যিক ছিলেন । তার লেখা দুটি উপন্যাস ‘কৃষ্ণা’ ও ‘শেষ দেখা এবং খুলনা বেতার থেকে প্রচারিত নাটক ‘ঝড়’ সে সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।। | ডা. সুমনা তনু শিলা যশাের সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, যশাের ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি ২৪তম বিসিএস-এর একজন কর্মকর্তা। দীর্ঘ সাত বছর তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি ফিজিওলজিতে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে সহকারী অধ্যাপক (ফিজিওলজি) হিসেবে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে কর্মরত। | লেখিকার স্বামী অ্যাসােসিয়েট প্রফেসর ডা. মােস্তাক উদ্দিন আহমদ (এফসিপিএস-মেডিসিন, এমডি-গ্যাস্ট্রোএন্টেরােলজি) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে কর্মরত। ব্যক্তিগত জীবনে লেখিকা দুই কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জননী।। লেখিকা শখের বশেই গল্প ও কবিতা লেখা শুরু করেন, যেটা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ২০১৯-এর বইমেলায় লেখিকার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘জানালা’ প্রকাশিত হয়। বইমেলা শেষ হওয়ার পর পরই বইয়ের প্রথম মুদ্রণের পাঁচশ কপি শেষ হয়। ২০২০-এর বইমেলায় প্রকাশিত হয় লেখিকার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ ‘ক্ষত। ক্ষত রকমারিডটকম-এ চিকিৎসক ক্যাটাগরিতে best seller হয়। পাঠকের এই ভালােবাসার কথা লেখিকা আজীবন মনে রাখবেন। ‘চা-বাগানের গােপন রহস্য ডা. সুমনা তনু শিলার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস।