“মোবাইল জার্নালিজম সময়ের সাংবাদিকতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সাংবাদিকতা পেশার কাজে মােবাইল ফোনের অপরিহার্য ব্যবহার, এ জন্য উপযুক্ত অ্যাপ এবং আনুষাঙ্গিক উপকরণের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মােবাইল সাংবাদিকতা মূলধারার সাংবাদিকতার গতি প্রকৃতি ব্যাপকভাবে বদলে দিয়েছে। ইন্টারনেট যুগে মােবাইল সাংবাদিকতার তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রয়ােগ- এই দুইয়ের সমন্বয়ে ‘মােবাইল জার্নালিজম সময়ের সাংবাদিকতা বিষয়ক বইটি প্রকাশ বাংলাদেশে প্রথম পর্যায়ের উদ্যোগও বলা যায় । এই সময়ে একজন সাংবাদিক বা সংবাদ প্রতিনিধি মােবাইল ফোন ব্যবহার করে কীভাবে হয়ে উঠতে পারেন প্রকৃত মােবাইল সাংবাদিক, আর এ জন্য তাঁর করণীয়ই বা। কী- এমন খুঁটিনাটি বিষয় জানার এক ধরনের ব্যবহারিক গাইড বই এটি। মােবাইল সাংবাদিকতা শেখার জন্য বইটিতে ব্যবহারিক বিষয়গুলাের ওপর বেশি গুরুত্ব। দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকতার কাজে কোন মােবাইল অ্যাপটি বেশি কার্যকর, এর বৈশিষ্ট্য ও ফিচার, ভিডিও রেকর্ডের কৌশল, লাইভ ভিডিও সম্প্রচার, ছবি তােলা ও সম্পাদনা-এসবের পাশাপাশি মােবাইল সাংবাদিকতার জন্য দরকারি সরঞ্জামের পরিচিতি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এখানে। গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম কর্মী, ইউটিউবার, ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার, নাগরিক সাংবাদিক ও এনজিও কর্মীদের মােবাইল সাংবাদিকতা শিখতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
ড. কাবিল খান (জামিল) বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মোবাইল জার্নালিজম নিয়ে লেখা 'মোবাইল জার্নালিজম: সময়ের সাংবাদিকতা' বইটির লেখক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক এবং প্রথম আলোর ডিজিটাল বিভাগের মোবাইল জার্নালিজম বিশেষজ্ঞ ছিলেন। পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অব রাশিয়া থেকে সাংবাদিকতার উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ২০১১ সালে সুইডেনের উপশালা ইউনিভার্সিটি এবং ২০১৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব কোরিয়ায় ভিজিটিং প্রভাষক হিসেবে কাবিল খানের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৯ সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত ‘মোজো এশিয়া’ শিরোনামে এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক মোবাইল জার্নালিজম কনফারেন্সের বক্তা ছিলেন ড. কাবিল। তিনি যুক্তরাজ্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ই-মডারেশন থেকে অনলাইন মডারেশনের একটি কোর্স পাস করেন। বিখ্যাত অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সেলিব্রেটিদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি। তার গবেষণার বিষয় মূলত নিউ মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন, সাংবাদিকতায় প্রযুক্তির প্রভাব, মোবাইল জার্নালিজম, কনভারজেন্স জার্নালিজম, মূলধারার সংবাদ মাধ্যমের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ও নাগরিক সাংবাদিকতার প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা। মোবাইল জার্নালিজম শেখার অনলাইন প্লাটফর্ম ‘মোবাইল জার্নালিজম কমিউনিটি ইন বাংলাদেশ ’ এর প্রতিষ্ঠাতা কাবিল খান। এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদেরকে হাতে-কলমে মোবাইল সাংবাদিকতার ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি।