বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা বড়াে ভাইয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীকে (মিথিলাকে) রাশেদের নিজের জন্যই পছন্দ হয়ে যায়। অন্য এক কারণে মিথিলার সাথে ওর বড়াে ভাইয়ের বিয়েটা হয় না। কিন্তু, রাশেদ মিথিলাকে বিয়ে করতে চাইলেও পায় না, অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায় তার। এর কয়েকবছরের মাথায় মিথিলার প্রবাসী স্বামীটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করলে রাশেদের পুরােনাে প্রেম আবারও জেগে ওঠে। তার পাগলামােতে মিথিলাও তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। ওদিকে, ছােটোবেলা থেকেই জুয়া রাশেদকে পছন্দ করে আসছে। বহুবার নিজের ভালােবাসার মানুষটিকে অনুভূতি প্রকাশ করেও ব্যর্থ সে। রাশেদের যেন তার প্রতি কোনাে আকর্ষণই নেই। একের পর এক বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দিচ্ছে সে। অথচ জানে, রাশেদ কখনােই ওর হবে না। রাশেদের বিয়ে ঠিকঠাক।। এই অবস্থাতেই কাহিনি অন্যদিকে মােড় নেয়। রাশেদ হঠাৎ অজানা এক জ্বরে পড়ে। কিছু কিছু স্মৃতি ভুলে যায় সে। একদল ভয়ংকর প্রকৃতির লােক লেগে আছে ওর পেছনে। রাশেদ তাদের গােপন কিছু বিষয়-আশয় জেনে গিয়েছিল। তারা সুযােগমতাে সরিয়ে দেবে ওকে। তার আগে ওর থেকে কিছু তথ্য হাতিয়ে নিতে চায় তারা। রাশেদের সঙ্গে তখন আর কে কে ছিল, সেই খবরটাও জানতে চায় তারা। কিন্তু আংশিক স্মৃতি হারানাে রাশেদের থেকে তথ্যটা বের করা মুশকিলই বটে। রাশেদের জ্বর কিছুতেই ছাড়ছে না। মেডিক্যাল বাের্ডও ব্যর্থ হয়। এমন সময় রাশেদের শুভাকাঙ্ক্ষী হাসান ভাই এক তান্ত্রিকের খোজ দেয় ওকে। যার বটিকা খেলে জ্বর সেরে যাবে। তবে, রাশেদ ওর জীবন থেকে র্যানডমলি কয়েকজন পরিচিত মুখের স্মৃতি চিরতরে ভুলে যাবে। মায়ার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকে রাশেদ। কাকে ভুলে যাবে সে? সে যে কাউকেই ভুলে যেতে চায় না। শেষমেশ দেখা যায়, রাশেদ মিথিলা, জয়া আর হাসান ভাইকেই ভুলে গেছে। তারপর?
জন্ম ২১ নভেম্বর, সাগরকন্যা পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালীতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষ শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। খুব অল্প বয়সে তার লেখালেখির হাতেখড়ি। জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাক-এর ফান সাপ্লিমেন্ট ‘ঠাট্টা’র দায়িত্বে আছেন। এক সময় কিশোর মেলা, সৃজনী, সাহিত্য বার্তা, মির্জাগঞ্জ বার্তা, দুরন্ত প্রভৃতি পত্রিকা সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন। এখন সম্পাদনা করছেন সাহিত্যের ছোটোকাগজ ‘বাংলা’, রহস্যধর্মী ছোটোকাগজ ‘মরীচিকা’ এবং কিশোর ওয়েরপোর্টাল-ম্যাগাজিন ’কিশোরকাল’। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন ‘মহীয়সী স্মারক সম্মাননা ১৪২২’। ’গীতাঞ্জলি চুরির রহস্য’ ও ’একাত্তরের ফার্স্টবয়’ কিশোর উপন্যাসদ্বয়ের জন্য পেয়েছেন পাণ্ডুলিপি পুরস্কার। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে: বৃত্তের ভেতর বাহির, ভালোবাসি বলেই, তপুর গোয়েন্দাগিরি, প্রেম বালিকা, কোথায় খুঁজি তারে, হিরামন পাহাড়ের রহস্য, এলিয়েন ভূত, দূর দ্বীপবাসিনী, চাঁদনী, পাতাঝরা মন, গীতাঞ্জলি চুরির রহস্য, মায়াবৃত্ত, একাত্তরের ফার্স্টবয় প্রভৃতি। সম্পাদিত বই তিনটি।