সেনেকা ছিলেন নৈতিক শিক্ষক ও স্টোয়িক দার্শনিক। ৬৫ খ্রিস্টাব্দে নিরোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পাকানোর অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি এবং তৎকালীন নিয়মানুযায়ী রাজনির্দেশে স্বেচ্ছা-মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর কাব্যিক প্রয়াস চিহ্নিত হয়েছে নয়টি ট্র্যাজেডিতে, যার অন্যতম ফেইড্রা। ফেইড্রা গ্রীক পুরাণে বর্ণিত এক চমকপ্রদ চরিত্র । আবেগপ্রবণ এ নারীর কাহিনী যুগে যুগে কবি, গল্পকার ও নাট্যকারদের চিন্তার খোরাক ও রচনার রসদ যুগিয়েছে। ফেইড্রা মাইনসের কন্যা। পেসিকা তার জননী। এথেনীয় বীর থেসিয়াস বিয়ে করে বন্ধু পেরিথুসের সদ্য মৃতা স্ত্রী পার্সিপোলিকে উদ্ধার করার জন্য হারকিউলিসের সাথে পাতালপুরীতে গমন করেন। পেছনে রেখে যান তরুণী স্ত্রী ফেইড্রা, তার গর্ভজাত দু’ শিশুপুত্র ও প্রথমা স্ত্রী এন্টিওপ-এর গর্ভজাত পুত্র হিপলিটাসকে। একপর্যায়ে ফেইড্রা হিপলিটাসের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। কিন্তু হিপলিটাস ছিল নারীর প্রতি নিতান্ত উদাসীন। সৎপুত্রের প্রতি বিমাতার এই আকর্ষণ নৈতিক দৃষ্টিতে নিন্দনীয় হলেও আবেগপ্রবণ নারীর ঐকান্তিক কামনার জোয়ার সম্ভ্রমের সকল বাধাকে নিমেষেই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এ কাহিনীর বিভিন্ন ভাষ্য রয়েছে, পৌরাণিক কাহিনীর ক্ষেত্রে যা নিতান্ত স্বাভাবিক। সেনেকার ফেইড্রাতে যেভাবে কাহিনীর পরিসমাপ্তি ঘটেছে গ্রীক পুরাণে কিন্তু সেভাবে ঘটেনি। ফেইড্রা নাটকটি ই এফ ওয়াট লিং কৃত ইংরেজি অনুবাদ হতে মুহাম্মদ ওহীদুল আলম সার্থকভাবে বাংলায় রূপান্তর করেছেন। বাংলায় নাটক অনুবাদের ক্ষেত্রে ফেইড্রা এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে প্রশংসার দাবিদার।
জন্ম চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া। যমুনা অয়েল কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন। অবসরে অনুবাদকর্ম ও লেখালেখিতে নিমগ্ন। শিক্ষা-সাহিত্য-গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কোর নলেজ ফাউন্ডেশন’-এর সাহিত্য পরিচালক। সম্পাদনা করেছেন লিটল ম্যাগাজিন কোর নলেজ ফাউন্ডেশন পত্রিকা। পারিবারিক জীবনে স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তান।