কণা আর তরঙ্গ - যিনি কণা, তিনিই তরঙ্গ। বিজ্ঞানের জানা ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় জিনিসগুলোর একটা হচ্ছে - তোমার শরীরের প্রতিটা কণা, প্রতিটা ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন, আলোর কণা ফোটন, এমনকি তুমি ... See more
TK. 550 TK. 473 You Save TK. 77 (14%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষনীয় সব অফার!
কণা আর তরঙ্গ - যিনি কণা, তিনিই তরঙ্গ। বিজ্ঞানের জানা ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় জিনিসগুলোর একটা হচ্ছে - তোমার শরীরের প্রতিটা কণা, প্রতিটা ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রন, আলোর কণা ফোটন, এমনকি তুমি নিজেও নাকি কখনও কণা কখনও তরঙ্গ! যে ব্যক্তি কখনও কণা কখনও তরঙ্গ তার নিয়ম কানুন বড় অদ্ভুত। কেউ কেউ বলে সে নাকি একই সাথে দুই জায়গায় থাকতে পারে। সময়ের উল্টাদিকে চলতে পারে। আলোর বেশি বেগে যোগাযোগ করতে পারে! জন্ম দিতে পারে প্যারালাল ইউনিভার্সের! এই যে একটা জিনিস কখনও কণা কখনও তরঙ্গ, এ জিনিস নিয়ে যে বিজ্ঞান আলোচনা করে তার নাম কোয়ান্টাম মেকানিক্স। এখানে লর্ড রাদারফোর্ড হুঁকায় টান দিতে দিতে তোমাদের শোনাবেন নিউক্লিয়াসের গল্প, নীলস বোর শোনাবেন আলো আর রঙের কাহিনী। স্টার্ন আর গারল্যাক শোনাবেন আধিভৌতিক স্পিনের কেচ্ছা। টমাস ইয়াং আর ডি ব্রগলি গভীর রাতে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোমাদের নিয়ে যাবেন তরঙ্গের দুনিয়ার। হাইজেনবার্গ ঘুরিয়ে আনবেন অনিশ্চয়তার জগৎ থেকে, পল ডিরাক চেনাবেন কোয়ান্টাম কম্পিউটার, জন বেল ঘুরিয়ে আনবেন এনট্যাঙ্গেলমেন্টের দুনিয়া থেকে, আর নিষ্ঠুর বিড়াল মানব শ্রোডিঙ্গার জটিল সব সমীকরণ এঁকে বুঝাবেন তরঙ্গ ফাংশন! একেবারে বেসিক থেকে শুরু করে গল্প, গ্রাফ আর ম্যাথ দেখতে দেখতে আমরা ঢুকে যাবো কোয়ান্টাম মেকানিক্সের গভীরে। সাথে থাকবেন আক্কাস আলি, বক্কর ভাই আর জসিম। তো, হয়ে যাক তাহলে?
নাঈম হোসেন ফারুকী অতিমাত্রায় বিজ্ঞানপ্রেমী, কারও কাছে বিজ্ঞানবাদী, কারও কাছে আবার সুপারহিউম্যান বিজ্ঞান লেখক। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন ‘কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ নিয়ে দেশের শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট থেকে। কিন্তু থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের ওপর চরম মাত্রার ভালোবাসা নিয়ে কি বুয়েটে পড়েও, ইঞ্জিনিয়ার হয়েও, বসে থাকা যায়? লেখক তাই গড়ে তুলেছেন বিজ্ঞানভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান’ ফেসবুক গ্রæপ। তাঁর প্রকাশনায় ‘টিম ব্যাঙাচি’র মাধ্যমে বের হয় অনলাইন সায়েন্স ম্যাগাজিনÑ‘ব্যাঙাচি’। তাঁর বিজ্ঞান বিষয়ক বইগুলোর মাঝে স্থান পায় অসম্ভব সরল বর্ণনা আর সমীকরণের ‘অর্থ’ বোঝার চেষ্টা। প্রচলিত ‘ফিজিক্স মানে শুধুই নিরস অঙ্ক’Ñ এই ধারণার চরম বিরোধী তিনি। তাঁর ‘চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বইটি পায় ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা। এরই হাত ধরে লেখকের এবারের বইটি ‘চা কফি আর জেনারেল রিলেটিভিটি’, যেখানে লেখক দেখিয়েছেন জেনারেল রিলেটিভিটির মতো জটিল একটা জিনিসকে কত্ত আনন্দের সাথে শেখা সম্ভব।
#bcb_book_review বই- চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স লেখক- নাঈম হোসেন ফারুকী প্রকাশন- প্রান্ত প্রকাশন পৃষ্ঠা- ৩৩৬ ব্যক্তিগত রেটিং- ৮.১/১০ (দুঃখিত বইটা পড়ে আমার ১০/১০ দিতে ইচ্ছা করছিল। বাট কিছু কারণে দিতে পারছি না। কেন পারছি না তা না হয় একেবারে শেষেই বলি)
সত্যি কথা বলতে কি আমি প্রথমে কোয়ান্টাম বলতে শুধু ধ্যানকেই বুঝতাম। এটা অবশ্য দুইটা কারণ ছিল- এক. আমার স্কুলের এক স্যার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য। দুই. আমার স্কুলের কাছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর একটা শাখা আছে। (বিশ্বাস না হলে map এ দেখতে পারেন। লিংক- https://maps.app.goo.gl/hT1xhhTP7rnHRzDo9 ))) ) স্কুলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন সচেতনতামূলক বিষয়, ধ্যান-ধারণা এসব নিয়ে লিফলেট, স্টিকার বিতরণ করত, দেওয়ালে লাগাত আবার সেই স্যারের বকবকানির (কোয়ান্টাম এই, কোয়ান্টাম সেই, ধ্যান করলেই হয়, সেই হয়... আরো কত কি) ফলেই বোধহয় আমার মাঝে এই ভুল ধারণা জন্মে। তবে সব ভুল ধারণা বিশ্বাসে যেমন একটা অন্ত থাকে তেমনি আমারও এই ভুল ধারণা অন্ত ঘটায় আমার এক বন্ধু। মনে পড়ে গত বছর যখন নবম শ্রেণীতে পড়তাম তখন আমার সেই বন্ধু একদিন স্কুলের রেজা এলিয়েনের লেখা কণা তরঙ্গ বইটা আনে। টাইটেল আর লেখকের নামটা ইন্টারেস্টিং ছিল দেখে সাতপাঁচ না ভেবে তাকে গুতাগুতির করতে শুরু করি বইটা পড়তে দেওয়ার জন্য। পরে অবশ্য তিন-চারদিন পর আমার গুতাগুতির ঠেলায় হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক সে আমাকে বইটা পড়তে দেয়। বইটা পড়া শুরু করি। সত্যি কথা বলতে কি বইটা পড়ে জানি না আমি কি বুঝতে পারেছি বা কতটুকু বুঝতে পারাছি তবে আমি এইটা বলতে পারি যে এই বইটা পড়েই আমি কোয়ান্টাম নিয়ে মোটামুটি একটা সঠিক ধারণা পাই। ''ধরণী দ্বিধা হও। যেখানে সারা বিশ্ব কোয়ান্টাম বলতে বুঝে কণার কথা। আর আমরা বুঝি মেডিকেশন ধ্যানের কথা।" এরপর অবশ্য এই সম্পর্কে তেমন কোনো বই পড়িনি। এই বছর ফেব্রুয়ারী মাসে বের হয় 'চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' নামক বইটা। ব্যক্তিগত কিছু কারণে বইটা অবশ্য তখন কিনতে পারিনি। এরপর এপ্রিল মাসে বইটা অর্ডার দেই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে হাতে পৌঁছায় দীর্ঘ দুই মাস পর জুন মাসে। শুনেছি অপেক্ষার ফল ভালো হয় আসলেই কি তাই?... ও মাই গড লিখতে বসছি বইয়ের রিভিউ আর লেখা শুরু লেখছি নিজের কেচ্ছা কাহিনি। যাইহোক এবার আসল কথায় আসি। চল ঘুরে আসি এক অদ্ভুত জগতের অতি অদ্ভুত বইয়ের দুনিয়ায়।
"চারপাশে অন্ধকার পর্দা, মাঝখানে অসহায় মানুষ ছটফট করছে, তার কাছে একটা মাত্র হাতিয়ার: ছিয়াছি বিলিয়ন নিউরনের তৈরি অদ্ভুত রহস্যময় এক ভয়াবহ পাওয়ারফুল মস্তিষ্ক। ইচ্ছা করে না তাকে ব্যবহার করতে?" লাইনগুলো আমার অত্যন্ত প্রিয়। কেন প্রিয় তা বলব না পুরোটা পড়ে আপনিই বুঝে নিন। জগতটা আসলেই ভারী অদ্ভুত। কিন্তু তার থেকেও অদ্ভুত সেই জগত যে জগত মানুষের চিন্তা ভাবনার সীমাকে হারিয়ে দেয়। এই অদ্ভুত রহস্যময় ভাবনা চিন্তাগুলোকে বুঝতে সাহায্য করেছে তার দেড় কেজি ভরের ছিয়াছি বিলিয়ন নিউরনের তৈরি মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্ক দিয়ে মানুষ কত না কি করেছে! কিন্তু ভাবতেই অবাক লাগে যে এই চিন্তা ভাবনা শুধুই কিছু ইলেকট্রনিকেল সিগনালের সমষ্টি। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? এই যে আমরা দেখি তা তো কোনো কিছু থেকে আলো প্রতিফলিত হয়ে চোখের রড কোনে গিয়ে আয়োডিনজনিত বিক্রিয়া করে আয়ন বের হয়ে ইলেকট্রনিকেল সিগনাল হিসেবে সেই মস্তিষ্কে যায় ফলে আমরা দেখি। শুনার ক্ষেত্রে, অনুভব করার ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। এই সিগনাল তো কৃত্রিমভাবেও তৈরি করা যায়। পার্থক্য কিছুই বুঝব না। সবই যদি সিগানালের খেলা হয় তাহলে আমি বা কে তুমিই বা কে? কি মাথা ঘুরাচ্ছে শুনে? আরে এতো মাথা ঘুরানোর মতো কিছুই না আসল মাথা ঘুরানো তো এখনও বাকি। ওই যে কিছুক্ষণ আগে একটা অদ্ভুত জগতের কথা বললাম না, তার নাম কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জগত। সেই জগত আমরা প্রতিনিয়ত দেখি, অনুভব করি। কিন্তু জগত এতই ক্ষুদ্র যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও দেখতে কষ্ট হয়ে যায়। এমনকি অনেক কিছু দেখাও যায় না সে যন্ত্র দিয়ে। জান সেই জগতের কোনোকিছুই আমাদের জগতের মতো নয়। সেই জগতের নিয়মকানুন এতই অদ্ভুত যে কথিত আছে যে আমি বা আমরা নাকি আমাদের একেকটা কাজের জন্য একটা পুরো নিজস্ব জগত তৈরি করে ফেলি(!)। অদ্ভুত না...! তবে তাই বলে সে জগতের সব যে এক হব তা নয়। একটা জগত আর একটা জগত থেকে একেবারেই আলাদা। এই জগতে যেমন আমি এই লেখাটা লিখছি হতে পারে আমি অন্য জগতে এই লেখা লিখছি না আবার হতে পারে আর একটা জগতে পুরো অন্যকিছুই লিখছি এভাবেই চলতে থাকবে। আবার সে জগত নিয়ম অনুযায়ী এই যে আমরা আলো দিয়ে দেখি এগুলো নাকি তরঙ্গ আর কণা ছাড়া কিছুই না। তরঙ্গের ব্যাপার বুঝা সহজ বাট কণা! কণা কেমনে কি? তাহলে কি আমাদের চোখে কি প্রতিনিয়ত কণা আঘাত করে? হ্যাঁ কথাটা অনেকটা এরকমই। তুমি জানতেও পারবে না তা। আবার রংধনুর যে সাতটা রং আমরা দেখি সেগুলো আসলে তরঙ্গ আর মানব মস্তিষ্কের খেলা ছাড়া কিছুই না। কেননা সবই যে আসলে এক। সব রঙেরই উৎপত্তি তরঙ্গ থেকে। কিন্তু সেই সব রঙের একেকটা ভিন্ন ভিন্ন দৈর্ঘ্যের তরঙ্গের সমষ্টি। এই যেমন ধরলাম একটা রঙের দৈর্ঘ্য 400nm (বেগুনি)। যদি এর সাথে 350nm এর তরঙ্গ যুক্ত হয় তবে আর একটা রঙ তৈরি হবে(লাল)। আবার যদি ঐ 400nm দৈর্ঘ্যের তরঙ্গের সাথে অন্য দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ না যোগ করে সরাসরি 750nm দৈর্ঘ্যে নিয়ে যাই তবে তা ওই একই রঙের (লালে) পরিনত হবে। ওই যে আলোর কণার কথা বললাম না, জান এই কণার ভর শূন্য। অদ্ভুত লাগছে নাকি অবাক লাগছে? তা অবশ্য অবাক লাগারই কথা কেননা ভরহীন কিছু থাকতে পারে নাকি!? হ্যাঁ থাকতে পারেনা। কিন্তু এই যে অদ্ভুত জগত কোয়ান্টামের জগতে তাও সম্ভব। এমনকি একটা কণা আলোর থেকে দ্রুত গতিতে একাধিক আলোকবর্ষ দূরের অন্য একটা কণার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যা আইনস্টাইনের জেনারেল রিলেটিভিটির সূত্রকে লঙ্ঘন করে। কিন্তু ওই যে বললাম কোয়ান্টামের জগতে কথা সেখানে সেটাও সম্ভব। কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে এই অদ্ভুতুরে জগতের কথা শুনে শুনে??? যদি হয় তাহলে তা অত্যন্ত স্বাভাবিক কথা হবে। কেননা এই অদ্ভুতুরে জগতের কাণ্ড কারখানা জেনারেল রিলেটিভিটির প্রর্বতক ও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একজন অন্যতম প্রর্বতক আইনস্টাইনেরও মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, "ঈশ্বর পাশা খেলা খেলে না।" হয়তো এসব দেখার পর বলবেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এই অদ্ভুতুরে জগত সম্পর্কে জানা আমার কর্মের নয়। কিন্তু এই জগত যে কতটা মজার তা অত্যন্ত সুন্দর করে মজা করে লেখক নাঈম হোসেন ফারুকী ওরফে নাইম্বাই অত্যন্ত সহজ করে বুঝিয়েছেন। বুঝানোর জন্য তিনি কখনো টেনে এনেছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একেকজন জনককে। যখনই কোনো কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তখনই তিনি তখনই তাদের উদাহরণ টেনে আনেন। কখনো টেনে এনেছেন বোরকে, কখনো রাদারফোর্ডকে, কখনো সামারভিলকে, কখনো বা আইনস্টাইনসহ অন্যান্য জনকদের নিয়ে উদাহরণ। কখনো বা তুলে এনেছেন তাদের থেকে নেওয়া ইন্টারভিউ, কখনো বা তাদের স্বপ্নের কথা, তাদের লেখা ব্যক্তিগত ডায়েরির একেকটা পাতার কথা(অবশ্য কাল্পনিক)। আবার কখনো বা টেনে এনেছেন আক্কাস আলী,বক্কর আলী ও তাদের গার্লফ্রেন্ডের নিয়ে উদাহরণ। লেখক এতটাই ...(কি বলতাম বুঝে পারছি না) যে তিনি শুধু বুঝিয়েই শান্ত হননি তিনি কোথাও কোথাও পাঠকের জন্য ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রশ্ন। তিনি এতটাই অদ্ভুত যে, এই প্রশ্নগুলোকে আবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন। তার মতে, "বাঁচতে হলে ভাবতে হবে।" কেননা কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে হলে অবশ্যই ভাবতে হবে চিন্তা করতে হবে। আবার তিনি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যতম শাখা তরঙ্গ নিয়ে বুঝতে গিয়ে টেনে এনেছেন বিভিন্ন ধরনের গ্রাফকে। তবে তিনি এখানেও শুধু গ্রাফ দিয়েই ক্ষ্যন্ত হয়নি দিয়েছেন আবার সে সব নিয়ে বাড়ির কাজ ও। এই সব বৈশিষ্ট্য সাধারণ বাংলায় লেখা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বইগুলোতে তেমন দেখা যায় না। আবার আর এই বইগুলোর বেশিরভাগই বিদেশি ভাষার লেখা বইগুলোর অনুবাদ। যার কারণে অনেকসময় কিছু কিছু আভিধানিক শব্দ বা ভাষা ব্যবহার করে যা সাধারণত বর্তমান প্রজন্মের কাছে কিছুটা হলেও দূরবোর্ধ্য। লেখক কিন্তু প্রচলিত সেই দিকে না গিয়ে তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে তার বইয়ে যতটা সম্ভব পেরেছেন সেই অভাব পূরণ করেছেন। শুরু করেছেন একেবারে মাইক্রোস্কোপিক লেভেলের পরমাণুর কথা দিয়ে আর শেষ করেছে এক বৃহৎ স্কেলের মহাবিশ্বকে নিয়ে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অদ্ভুত জগত সম্পর্কে জানতে বই একবার পড়েই ফেলুন না একবার। আমি চোখ বন্ধ বলতে পারি যে আপনি বইটা পড়ে নিরাশ হবেন না।
আমি তো অপেক্ষা করছি জেনারেল রিলেটিভিটি নিয়ে তার নেক্সট বই জন্য।
একেবারে প্রথমে মনে হয় বলেছিলাম যে কেন আমি ১০/১০ দিতে ইচ্ছা করার পরও ৮.১ দিয়েছিলাম। এখন তা খোলাসা করছি- ১) আমার মনে হয় বইতে লেখক কোথাও কোথাও গল্পাকারে লেখা উচিত হয় নি। গল্প ফাঁদিয়ে আরো জটিল করে ফেলেছেন।(-০.৫) ২) বইটায় কোথাও কোথাও মনে হয়েছে তিনি সহজ জিনিসকে কঠিন করে ফেলেছেন (ডিপে গেছেন)। হতে পারে আমি তুলনামুলক ভাবে নিচু শ্রেণীতে পড়ার কারণে হয়ত সেই সহজ জিনিসগুলো (যা আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে) আমার বোধগম্য হয়নি। তাই (-০.৪)। প্লিজ নাইম্বাই মাইন্ড করিয়েন না। ৩) বইয়ে অনেক ভুল। বানান সংশোধনে আর একটু জোর দেওয়া উচিত ছিল। যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। তাই (-১.০০)। [অবশ্য এটা প্রথম এডিশনে সম্পর্কে বলেছি, দ্বিতীয় এডিশনের কথা জানি না।]
যাইহোক ওভারঅল জোস একটা বই।
স্বপ্নীল জয়ধর ১৮/০৬/২০২০ ইং নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
Read More
Was this review helpful to you?
By Alif Iftiaj,
07 Aug 2021
Verified Purchase
আমাকে যদি আপনি ফিজিক্স এর কোনো বিষয় শেখাতে চান তাহলে আমি তখনি পার্ফেক্টলি আপনার কাছ থেকে ফিজিক্স শিখবো, যখন আপনি আমাকে-
প্রথমে যে বিষয়টি বুঝাবেন তা প্রথমে Intuition (অন্তর্দৃষ্টি) এর মাধ্যমে ফিল করাবেন।
তারপর সেই Intuition (অন্তর্দৃষ্টি)এর আঙ্গিকে বিষয়টিকে সংজ্ঞায়ন করেন।
এবং সব শেষে বিষয়টিকে ম্যাথম্যাটিকালি এক্সপ্রেস করেন।
যখন শুধু Intuition (অন্তর্দৃষ্টি) দিয়ে বুঝাবেন, তখন তাকে বলা হয় পপ-সায়েন্স যা আমাকে বিষয়টিকে ফিল করতে সাহায্য করে। শেষে যখন বিষয়টি ম্যাথম্যাটিক্যালি প্রকাশ করবেন, তখন তা আমি পূর্ণাঙ্গ ভাবে বুঝতে পারবো। কারণ ম্যাথম্যাটিকস হচ্ছে বিজ্ঞানের ভাষা। আর শুধু কিছু ম্যাথ পারাটা ফিজিক্স বুঝা নয়। ম্যাথ অনেকেই পারে, কিন্তু বিষয়টি কেনো হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, এভাবে কেনো! অন্যভাবে নয় কেনো! তা যদি না বুঝেন তাহলে আপনি ফিজিক্স এর ফ-ও বুঝবেন না। তাই ফিজিক্স বুঝতে এই দুই এর সুপার কম্বিনেশন প্রয়োজন।
◾আমাদের একাডেমিক বই পুস্তক এর ধারে কাছেও নেই। যার কারণে আমরা বেশির ভাগই ম্যাথ পেরে পাশ করি, কিন্তু বিষয়টা যখন ব্যাখ্যা করতে বলা হয়, তা পারি না।
আবার কিছু অতিরঞ্জিত পপ টাইপ বই আছে, যা আপনাকে ক্যালকুলাসের ক পারেন না অথচ ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা শুরু করে বিজ্ঞানী হয়ে গিয়েছেন এমন ভাব তৈরী করাবে।
এই উভয়ের সুপার কম্বিনেশন যে প্রয়োজন তা আমি এই 'চা-কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স' বইটি না পড়লে বুঝতাম না।
"এই বইটা যেহেতু পপ সায়েন্সের বই, আমরা প্রায়ই এটা ওটা গল্প করবো, আড্ডা দিবো। আবার একই সাথে এটা পপ সায়েন্সের বই না। এখানে মাঝে মাঝেই অংক শেখানো হবে।"
বই থেকে একটা উদাহরণ টানা যাক।
◾ বক্কর ভাই তখন একেবারেই ছোট। ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড হতে অনেক দেরি আছে। ছোট বক্কর ভাই পুকুরে ঢিল ছুঁড়ছেন। ঢিল মেরে কি ব্যাঙ শিকারের চেষ্টা করছেন? ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুকুরের মাঝ বরাবর ঢিল মারলে পানিতে ঢেউ হচ্ছে। সেই ঢেউ দুইটা কাজ করছে-
এক জায়গায় উঠছে নামছে
চারপাশে ছড়াচ্ছে
ঢেউ কিভাবে উঠে নামে? জিনিসটা বাঙ্গালিদের মতো। ঢিলের পাশের জায়গাটাই ধরো। সেখানে উপরে উপরে অনেকগুলো পানির কণা ছিলো। ঢিলের ধাক্কায় সবচেয়ে উপরের পানির কণাটা উপরে উঠা শুরু করলো। সে তারপর টেনে তুললো তাঁর পেছনের কণাকে, তারপর তার পেছনের কণাকে। যত বেশি শক্তি থাকবে ঢিলের, তত উঁচু হবে পানির কণার ঢেউ।
কিন্তু এভাবে আর কতক্ষণ বলো? একটা কণা উপরে উঠলে তাঁর নিচের কণাদের হিংসে হয়। তারা তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করে।
মনে করি, তরঙ্গের মধ্যে প্রতিটি কণা একঘর উঁচু। তার মধ্যে একটা কণার নাম হচ্ছে জসিম। এই জসিম নামের কণাটিকে আমরা একটু কাছ থেকে দেখে আসি।
জসিম প্রথমে ছিলো সাম্যবস্থায়। মধ্যবিত্তের জীবন। সে একঘর উপরে উঠলো। তার পেছনে একটা কণা লাগলো। জেলাস ফ্রেন্ড জসিম দুই ঘর উপরে উঠলো। তার পেছনে লাগলো দুইটা কণা। পাড়ার মাস্তান পিছে লাগলো।
জসিম ৩ঘর উপরে উঠলো। বাড়ি-গাড়ি করলো। এবার পিছে লাগলো এলাকার পাতি নেতা।
এক সময় জসীম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি দিলো। অনেকের কাজ জুটলো সেখানে। পিছে লাগলো রাজ্য জোড়া লোক। জসিমকে টেনে নামালো উপর থেকে।
জসিম গার্মেন্টস হারালো, বাড়ি হারালো, গাড়ি হারালো, শেষ পর্যন্ত পথে নামলো। শেষে সে শুরু করলো রিকশা চালানো।
তারপর জসিম আবার উঠা শুরু করলো। রিকশা থেকে সিএনজি ধরলো, তারপর উবার চালানো শুরু করলো, তারপর টার্কির খামার, দেখতে দেখতে সে আবার আগের মতো গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করলো। কিংবা এবার বিসিএস দিয়ে লাল হয়ে গেলো। তারপর আবার পতন শুরু হলো।
ফর্মাল কথায় আসি। অনেক গল্প হয়েছে, ঢেউ এর কথা হচ্ছিলো, জসিমের না।
প্রথমে ভাবি ছোট খাটো একটা ঢেউ। সময় যখন শূণ্য তখন ঢেউ-এর উচ্চতা হচ্ছে ০।একটু পর হয়তো .5, তারপর 0.7 এক সময় হয়তো 1। আবার সে নামতে নামতে শুণ্য হবে। একসময় উল্টোদিকে নেমে 1 হবে, আবার ব্যাক করবে শুণ্যতে।
আমরা বিভিন্ন সময়ে আমাদের ঢেউয়ের উচ্চতা মাপলাম।
t=0 হলে, উচ্চতা 0 t=30 হলে,উচ্চতা 1/2 t=45 হলে, উচ্চতা 1/√2 t=60 হলে, উচ্চতা √3/2 t=90 হলে, উচ্চতা 1।
মানগুলো চেনা চেনা লাগছে? এগুলো হচ্ছে সাইন (থিটা)-এর মান।
আমরা লিখতে পারি,তরঙ্গের উচ্চতা y হলে,
y=sint।
ঠিক যেন কেউ কোন কিছুকে গোল করে ঘুরাচ্ছে, আর সেটার সাইনের মান নিচ্ছে।
এভাবে লেখক একটু একটু করে জসিম, বক্কর ভাই,আক্কাস আলীর গল্পে গল্পে তরঙ্গের সাধারণ সমীকরণ y=Asin(wt-kx Ø) থেকে শুরু করে বর্তমান কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর সবচেয়ে সুন্দর সমীকরণ “শ্রোডিঙ্গারের ইকুয়েশন” প্রমাণ পর্যন্ত পাঠককে ঘুরিয়ে এনেছেন। মনের মধ্যে তৈরি করেছে কিউরিওসিটি, কি এই ইলেক্ট্রন? এটা কি সলিড কোন কিছু? নাকি তরঙ্গ? কিভাবে ইলেক্ট্রন কণা হয়ে ব্যতিচার-এর মাধ্যমে পর্দায় তুলে ঢেউ এর ছবি? লেখক ভার্নার হাইজেনবার্গ-এর মাধ্যমে তুলেছেন রক্তে শিহরণ। এটা ফিল করিয়েছে যে, যে রিয়েলিটিকে আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারি সেটা রিয়েলিটি না।
◾ বই যে কি পরিমাণ বন্ধুসুলভ শিক্ষক হতে পারে তা আমি 'চা-কফি ও কোয়ান্টাম মেকানিক্স ' না পড়লে বুঝতে পারতাম না।
এখানে লেখক প্রতিটা বিষয় এমন ভাবে বুঝিয়েছেন, যেনো শিক্ষক একটা একটা চলচ্চিত্র পাঠক-কে দেখিয়ে চলেছেন। ফিল করাচ্ছেন প্রতিটা বিষয়। তিনি শুধুই বুঝিয়ে যান নি পাঠক-কে ভাবতে দিয়েছেন।
কেনো তরঙ্গ সাইন-এর সূত্র ফলো করে? ত্রিভুজ-চতুর্ভূজ কেনো নয়? শুধু তাই-ই নয়, তিনি পাঠকের জন্য দিয়েছেন হোম-ওয়ার্ক!
◾ ম্যাথ কষতে কষতে বোরিং হয়ে গিয়েছেন? লেখক আপনার জন্য দিয়েছেন চা পানের বিরতি। চা পান করতে করতে ঘুরিয়ে আনবেন লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার,মাল্টিভার্সে আইনস্টাইন এর মতো রহস্যময় জগত থেকে!
◾ লেখকের অফুরন্ত চেষ্টার জন্য লেখককে স্বাগতম। তবে এক্ষেত্রেও কিছু ফাঁক ফোকর থেকে গেছে হয়তো। মাঝে মধ্যে Intuition (অন্তর্দৃষ্টি)থেকে এর আঙ্গিকে সংজ্ঞায়ন করা হয়ে উঠেনি। যার কারণে কয়েকটা টপিক ক্লিয়ার ছিলো না। কনফিউশনের সৃষ্টি করেছে। যেমন ৪৭ পৃষ্ঠায় তরঙ্গ বুঝাতে গিয়ে বলেছেন,
"পরপর দুইটা একই দিক থেকে আসা শূণ্যের মাঝখানে কণা আছে কয়টা? ১৬টা। এর তরঙ্গের দৈর্ঘ ১৬।"
এখানে আসলেই কি ১৬টা কণা থাকে? তরঙ্গ দৈর্ঘ কি এর কণার সংখ্যার উপর নির্ভর করে? যা তরঙ্গ দৈর্ঘের আসল সংজ্ঞার সাথে যায় নি মনে হলো। তবে পরে তা অন্যভাবে ক্লিয়ার কিরা হয়েছে।
এরকম ছোট খাটো কয়েকটা বিষয় আমার নিজের ই বুঝতে অসুবিধে হয়েছে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Samiul Islam,
03 Jun 2024
Verified Purchase
"বৃদ্ধ নীলস বোর ঘুম থেকে ধড়মড় করে উঠলেন। তাঁর সারাজীবনের প্রতিদ্বন্দ্বী আইনস্টাইন কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তাঁরও যাবার সময় হয়ে এসেছে। তাঁর সারাজীবনটাই কেটেছে স্বপ্নের মতো। এতগুলো বছর গেল, এত এত গবেষণা হলো, এখনও কেউ বুঝতে পারলো না পার্টিকেল আসলে কি জিনিস! কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশন আসলে কি মিন করে ।"
মানবসভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ প্রকৃতি নিয়ে ভেবেছে। এ কাজে মানুষ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেছে রহস্যকে। গত শতাব্দীকে পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় বলা চলে। প্রমান হিসেবে বলা যায় পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ একটা শাখার নাম—"কোয়ান্টাম মেকানিক্স"। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের শুরুটা ব্লাকবডি রেডিয়েশন থেকে। সমাধানে ম্যাক্স প্লাংক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে পরিচয় ঘটিয়েছিলেন hilfsgrosse ধ্রুবকের। "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স"- বইয়ের ৩য় অধ্যায় (পরমাণুর গল্প:প্রথম যুগ) থেকে বইয়ের সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। রাদারফোর্ড মডেল ম্যাক্সওয়েলের ক্লাসিক্যাল ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক থিওরিকে কেনো সমর্থন করতে ব্যার্থ হয় তার ছোটখাটো একটা ব্যাখ্যা এখানে পাওয়া যাবে।
৪র্থ অধ্যায় (তরঙ্গ বলবিদ্যা) থেকে লেখক শুরু করেছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সিরিয়াস আলোচনা। শুরুতেই তরঙ্গ নিয়ে বেসিক কথাবার্তা থেকে তরঙ্গের ব্যাতিচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কণাদেরকে যখন ডাবল স্লিটের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো হয় তারা আসলে কিভাবে প্রবেশ করে? মার্বেলের মতো? উত্তর হলো হ্যা এবং না। যখন দ্বি-চির পর্যবেক্ষণ করা হয় তখন দেখা গেলো কণা সলিড বস্তুর মতো আচরন করে আবার পর্যবেক্ষণ না করলে তা তরঙ্গের মতো ব্যাতিচার ধর্ম প্রদর্শন করে। এরপর আসে ফোটনের দূঃখের জীবন যার কারন হিসেবে লেখকের দাবী ফোটনের নিজের কাজে পুরো মহাবিশ্বে সময় বলতে কিছু নেই দূরত্ব বলতে কিছু নেই! কেন এমন হয়? ভরের কিভাবে জন্ম হয়? রিলেটিভ ভর কি? এগুলো নিয়ে ৪র্থ অধ্যায়ের ২টি অংশ সাজানো। ডি ব্রগলির সম্ভাবনার তরঙ্গের সাথে পুকুরের ঢেউ এর তরঙ্গের প্রধান পার্থক্য হলো মাধ্যম। সম্ভাবনা তরঙ্গের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায় কণার সম্ভাব্য অবস্থান। এ আলোচনার পর আসে ডি ব্রগলির পরমানু মডেলের কচকচানি। ইন্টারের বইয়ে থাকা থিউরী গুলোকে এই পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে।
এর পরের অধ্যায়ে আসে অনিশ্চয়তার নীতি। সাধারন সমীকরনের মাধ্যমে এ অধ্যায়ে অনিশ্চিততার নীতিকে বোঝানো হয়েছে তবে সরাসরি হাইজেনবার্গ আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপালকে প্রমান করা হয়নি।
৬ষ্ঠ অধ্যায়ে কনাদের স্টেট ও কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এতে একে একে উঠে এসেছে সুপারপজিশন, নরম্যালাইজেশন, জটিল স্টেট আর কোয়ান্টাম কম্পিউটারের গল্প। কাল্পনিক সংখ্যা থাকলেই যে সমীকরন অতিভৌতিক কিছু হয়না তা গানিতিকভাবে বুঝিয়েছেন লেখক।
এরপর একে একে আসে বহুল প্রতিক্ষিত শ্রোডিঙ্গার সমীকরনের আলোচনা। শুরুতেই জটিল তরঙ্গগুলো দেখতে কেমন? জটিল তরঙ্গ কিভাবে একটি ইকুয়েশনে ব্যবহার করা হয় তা হাতে কলমে দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে শ্রোডিঙ্গারের এর সমীরকন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই একটা আমার প্রশ্ন ছিল যে পরমানুতে অর্বিটালগুলো দেখতে এরকম কেনো? একটি কণা অসীম বিভবের প্রাচীরের মাঝে আটকা পরলে তার যে অবস্থা হয় তার সমীকরন এর সাথে পরমানুর অর্বিটালের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তা নিয়ে আলোচনায় আমার বহুদিনের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। এরপর কোয়ান্টাম টানেলিং এর গাণিতিক ব্যাখ্যা সহ একটি আলোচনা।
এরপরের অধ্যায়ে আছে কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রেটেনশন, বেলের উপপাদ্যের গাণিতিক হিসাব-নিকাশ, কনাদের চোখে পৃথিবী কেমন তার আলোচনা। এছাড়া এখানে আছে বিখ্যাত ইপিআর প্যারাডক্স, এনট্যাঙ্গেলমেন্ট এর ব্যাখ্যা। অন্যদিকে আলোর পোলাইরাইজেশন নিয়ে গাণিতিক ব্যাখ্যা যা বুঝতে বেগ পেতে হয়েছে। এখানে খুব ছোট একটা প্যারা উল্লেখ না করলেই নয়, "আমরা যখন দেখি তখন আসলে কি হয়? আমরা দেখছি বলেই কি আমাদের অতীত আছে? আমরা কি দেখে দেখে নিজেদের অতীতকে বাছাই করছি? আমরা দেখছি বলেই কি এই চারপাশের জগৎ আছে? আকাশে জ্বলজ্বলে জ্যোৎস্না আছে? এটা কি সম্ভব, আমরা দেখে জন্ম দিয়েছি এই মহাবিশ্বের?"
শেষের অধ্যায়ে গাণিতিক কোনো চিহ্ন লেখক রাখেননি। এ অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে ইন্টারনেটে বহুল আলোচিত মাল্টিভার্স,ইউনিভার্স তার সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিভাবে সম্পর্কিত। সাথে আছে মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রিটেশন।
পরিশিষ্ট অংশে লেখক রেখেছেন কিছু সমীকরনের গাণিতিক প্রমাণ।
মাঝের কয়েকটি অধ্যায় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়নি। যে অধ্যায়গুলো আলোচনা করা হয়নি তার সবই অগাণিতিক। গাণিতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ বই টিকে আমার কাছে বেসিক লেভেলে উপযুক্ত মনে হয়েছে।
বইটি লেখক বাজারের সাধারন বইয়ের মতো করে লেখেননি। মাঝে মাঝেই লেখক চরম কিছু মজার গল্প বলেছেন তা আবার জুরে দিয়েছেন সমীকরনের মারপ্যাচে। এতে করে বইটি পপ-সাইন্স বা টেক্সট ক্যাটাগরির মাঝখানে অবস্থান করে। এক্ষেত্রে লেখকের দাবী বইটি মাঝে মাঝে পপ-সাইন্স এবং মাঝে মাঝে গাণিতিক সমীকরন বুঝিয়েছেন তাই টেক্সট ক্যাটাগরি। তবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স যারা অলরেডি টেক্সট লেভেলে পড়েছেন তাদের জন্য এটি একটি মজাদার বই। যদিও বা লেখক দাবী করেছেন ৯-১০ এর বেসিক থাকলেই বইটি পড়া সম্ভব তবে এ ব্যাপারে আমি একমত নই। আমার ধারনা এ বইটির সব টার্মগুলো বুঝে পড়তে ইন্টারের অনেকাংশ বেসিক থাকা প্রয়োজন। বইটি আমি কিনেছিলাম ২০২১ সালের শুরুর দিকে। তখন অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। তবে ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট হিসেবে বইটি অনেক বেশি বোধগম্য ও সাবলীল বলে আমি মনে করি।
আমার দেখা বাংলায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে এটিই একমাত্র সাবলীল বই। যেটি করতে গিয়ে লেখক গাণিতিক সীমাবদ্ধতাকে দায়ী করে পাঠককে হতাশ করেছেন, কিছু কিছু লেখায় তা স্পষ্ট। — "সব শেষে সমীকরণ। ডেরিভেশন সম্ভব না, সেটার জন্য ফুরিয়ে ট্রান্সফর্ম, আরো অনেক কিছু জেনে আসতে হবে । যদি অবস্থানের তরঙ্গ Δx মিটার চওড়া হয়, অর্থাৎ কণা এই Δp জায়গার মধ্যে যেকোন জায়গায় থাকতে পারে, আর সেজন্য তার ভরবেগের তরঙ্গ যদি চওড়া হয়, হয়, তাহলে ফুরিয়ে ট্রান্সফর্ম আমাদের বলে, ΔpΔx≥h/4π"
Read More
Was this review helpful to you?
By Minhaz,
29 Aug 2021
Verified Purchase
এক ফ্রেন্ডের পোস্ট দেখেছিলাম, মাঝে মাঝেই ইচ্ছে করে একাডেমিক সব পড়াশোনা ছেড়ে ছুড়ে শুধু ফিজিক্স নিয়ে পড়ে থাকি। অথবা অন্য যেসব টপিকে খুবই আগ্রহ, সেগুলো নিয়ে পড়ে যাই দিনের পর দিন রাতের পর। আমার ও এই ইচ্ছে টা খুব। খুব মানে খুউব। যদি অঢেল টাকা পয়সা থাকত। হয়তো তাই করতাম। বই এর স্তুপে ডুবে থাকতাম। ইকুয়েশন সলভ করতাম। ভুল বসত কিছু আবিষ্কার করে ফেললেও মন্দ হয় না। সেই সুরাত্রিতে ভেজা ভেজা চোখে আকাশের পানে চেয়ে চেয়ে মহাবিশ্বের নব উন্মোচিত রহস্যকে উপলব্ধি করতাম। অথবা, সেই নতুন সমীকরণ যে পাতায় লেখা। কাপা কাপা হাতে দেবে যাওয়া সে লেখা গুলো কে বার বার স্পর্শ করে দেখতাম। তবে না সে সুযোগ নেই। অঢেল টাকা আমার নেই। সেই সুবাদে আমার কোনো প্রাইভেট টিউটর ও নেই। কখনও কোনোদিন ছিল না। কোথাও কোচিং করারও ইচ্ছে আমার নেই। আগে হয়তো এ নিয়ে হাহুতাশ করতাম। কিন্তু সেটা কেটে গেছে অনেক দিন আগেই, আমাকে বার বার মনে করিয়ে দেয় একটা কথা,
"যখন বুঝতে পারবে তোমাকে হেল্প করার কেউ নেই, একটা আশ্চর্য সুন্দর জানালা তোমার সামনে খুলে যাবে" - নাঈম হোসেন ফারুকী।
হ্যাঁ একা একা অনুভব করে চলেছি ফিজিক্সের ইকুয়েশন গুলো। গণিতের চিহ্ন গুলোর পেছনের গল্প। সঙ্গি হয়েছে খাতা, কলম আর বই। একাডেমিক স্টাডি ছাড়া টা সম্ভব না হয়তো তবে দিনের অধিকাংশ সময় কাটে পছন্দের বিষয় ফিজিক্স নিয়েই। আগ্রহ টা দিনে দিনে একটু একটু করে বেড়েছে। সেই আগ্রহে ইন্ধন জুগিয়েছে কিছু অতি অসাধারণ বন্ধু, বড়ো ভাই। আবার মাঝে মধ্যে কিছু অতি অতি অসাধারণ বই।
হ্যাঁ "বই" যা আঙুল ধরে পথ দেখিয়েছে। পেতে সাহায্য করেছে অমৃতের খোঁজ। খুঁজে দিয়েছে রহস্যের সৌন্দর্য অনুভবের পদ্ধতি। বাংলায় লেখা হাজার টা অপবিজ্ঞানের বইএ আমাকে বিলিন হয়ে যেতে দেয় নি। খুব গর্বের সাথে বলতে ইচ্ছে করে এমন একটা বই হলো,
"চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স"
আর খুবই ভাগ্যবান আমি এমন একটা বই হাতে পেয়ে। রহস্যকে জানার অমূল্য ইচ্ছা কে যে বই ত্বরান্বিত করতে পারে না, তা বিশেষ জ্ঞানের বই না। যা বইটি যথার্থই পেরেছে। শুরু থেকে শেষ অবধি টেনেছে আমায়, বাধ্য করেছে কাঁদতে। খাতা কলম নিয়ে বসিয়েছে। ইকুয়েশন সলভ করিয়েছে। বইটির পদে পদে রয়েছে উন্মাদনা। অসম্ভব সুন্দর কিছু রহস্য ও তার সহজ সমাধান। রয়েছে একরাশ বিষ্ময় নিয়ে ভাববার অবকাশ। ভাবতে শেখানোর কী অসাধারণ কৌশল! ও এরপরই প্রশান্তি।
ঘরে ঢুকবার আগে আমার আম্মুর তিনটা ঘরের ও রান্না ঘর আর বাথরুম এ থাকার মোট সম্ভাবনা ১। কিন্তু এখন যেহেতু দুপুর বারটা তাই রান্না ঘরে থাকার সম্ভাবনাই অনেক বেশি। আর আলমারিতে ঢুকে বসার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য। কিন্তু আমি তাকে দেখার আগ অবধি সে প্রতিটা ঘরেই সুপারপজিশনে আছে। এমনকি আলমারিতেও।
কী একটা শিহরণ খেলে যায় সারা শরীরে, এমন অদ্ভুত জিনিস ভাবলে। রাদারফোর্ড এর ক্লাসিকাল মডেল থেকে শুরু করে লুই ডি ব্রয়লে এর কোয়ান্টাম মডেলের উন্মোচন। কণা তরঙ্গ দ্বৈততা দিয়ে বোরের মডেলের যে সমীকরণ সেটার জাচাই। এবং তার মডেল কে বিট করে বের করে নিয়ে আসা পরমাণুর প্রথম কোয়ান্টাম মেকানিকাল মডেল। যা এক রহস্যময় জগতের পর্দা হালকা ফাঁক করে দিতে সক্ষম। রহস্যের শুরু সেখানেই। কণা তরঙ্গের ডাক পড়েছে অনিশ্চয়তার জগতে। হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা সূত্রের নিশ্চয়তা আজ অবধি ১৬ আনা খাঁটি। সেই খান থেকে সাদা মাটা সাইন তরঙ্গ রূপ ধারণ করে ψ এর। নাম সাই হলেও এই ব্যাটা নিজের পরিচয় দিতে একটুও সাই ফিল করে না। শ্রোডিঙ্গারের অমর সমীকরণ সামনে আসে। পরমাণুর নিখুত চিত্র ফুটে উঠে সেই সমীকরণ থেকেই। একটা পরমাণুতে একটাই ইলেক্ট্রন হলেও সে থাকে মেঘের মতো। না না বিভ্রান্ত হবেন না। ইলেক্ট্রন থাকে সুপারপজিশনে। একই সাথে অগণিত সম্ভাব্য স্থানে। সেগুলোই আমরা নিজের মধ্যে আঁকি মেঘের মতো করে। যেখানে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি সেগুলোকেই আসলে নাম দেয়া হয়েছে অর্বিটাল নামে।
এপর্যন্ত সব ঠিক ঠাক। সুপারপজিশনে থাকা মেনে নিলাম। খুবই অদ্ভুত জিনিস তবুও মেনে নিলাম। কিন্তু যখন আমাকে বলা হবে আমার একটা হুবহু দেখতে আরেকটা কপির থাকে শত আলোকবর্ষ দূরে থেকে আমি তার সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছি। তাহলে কেমন হবে? হ্যাঁ এটাও হচ্ছে। কণানিজেও জানে না তাকে দেখার আগ অবধি সে কোথায়। তবু এমন অদ্ভুত জিনিস প্রকৃতিতে ঘটে চলেছে। এর কারণ? কেউ জানে না। শুধু জানে আলোর চেয়ে বেশি বেগে কোনো কিছু যেতে পারে না। তাই এইরকম ভাবে যোগাযোগ ও সম্ভব না। এসব জিনিস ভাবলে যদি কেউ একটা ঘোরের মধ্যে না তলিয়ে যায় সে কি মানুষ? আমি নিজেকে আটকাতে পারি নি।যা, অদ্ভুতুড়ে এই মহাবিশ্বের রহস্যে ঘেরা প্রকৃতিকে জানবার ইচ্ছাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। অমৃতের স্বাদ পেয়েও পিপাসায় কাতরাচ্ছি। শুধু ভেবে চলেছি কোনোদিন কি মানুষ জানবে, নাকি দূরে কোনো প্যারালাল ইউনিভার্স এ এই রহস্য আগেই ভেদ হয়ে আছে। প্রয়োজন শুধু সেই দুইনিয়ার সাথে যোগাযোগ। কিন্তু কীভাবে? কেউ জানে না।
তবে যে জানতেই চায় না, তাকে দেখে খুব আশ্চর্য লাগে।
বইটির উপসংহারের শেষ কিছু কথা,
চারিদিকে অন্ধকার পর্দা, মাঝখানে বসে অসহায় মানুষ ছটফট করছে। তার একটা মাত্র হাতিয়ার: ছিয়াশি বিলিয়ন নিউরনের তৈরি অদ্ভুত রহস্যময় এক ভয়াবহ পাওয়ারফুল মস্তিষ্ক।
ইচ্ছা করে না তাকে ব্যবহার করতে?
হ্যাঁ খুব ইচ্ছে করে। খুবই।
বই এর রেটিং ১ থেকে ১০ এর মধ্যে পড়ার আগ অবধি সুপারপজিশনে ছিল আমার কাছে। কিন্তু আমার কাছে এটি= ১০
বোরের একটা উক্তি দিয়ে শেষ করছি,
"If You are not astonished by quantum mechanics then you have not understood it!" _ Niels Bohr
বইয়ের নাম: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স
লেখক: Nayeem Hossain Faruque
নিজস্ব রেটিং: ১০ এ ১০
Read More
Was this review helpful to you?
By Shadman Tabib,
29 Mar 2020
Verified Purchase
#বুক রিভিউ #চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স
গোড়া থেকে অসীমত্বের সূচনা বা অনন্ত অসীম থেকে ক্ষুদ্র অদেখা জগতের আখ্যান---এসব কথার অন্তরালে হয়তো মনোজগতের আড়ালে উঁকি দিবে কোনো দিগন্ত-বিস্তৃত বিশালত্বের আঁকিবুকি,সে ক্যানভাসে তুলির রঙ তোলা এক অনিন্দ্য চিত্ররূপ হলো -চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি।একথা শুনে অনেকে ভাববেন -হয়তো সেটা পপ সাইন্স বা বাংলা কথায় ঠাসা একখানা পুস্তক,প্রকৃত অর্থে এই বই টির ব্যাপ্তি তার থেকেও বিশাল---গণিত আর পদার্থবিজ্ঞানের রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হওয়া মহামানবদের চিন্তাধারার আলোকসম্পাতে হয়ে ওঠা গণিতের ভাষার এক অপূর্ব মহামিলন।বিজ্ঞান গণিত ছাড়া অচল,এটা সবাই জানে--তবুও কেন জানি অধিকাংশ লেখক কোনো বই এ সমীকরণ কে আগ্রাহ্য করতে চান।কিন্তু এখানে লেখক গণিত আর সাহিত্যের মিলনে যে অপূর্ব লেখনীতে ফুটিয়ে তোলা যায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কঠিন সকল বিমূর্ত ধারণাকে--তার ষোলো আনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।একাধারে ব্ল্যাক বডি রেডিয়েশন থেকে শুরু করে প্লাংকের কোয়ান্টাম মডেল,রাদারফোর্ড,বোর,সমারফিল্ডের পরমাণু মডেল,আইনস্টাইনের ফটো তড়িৎ ক্রিয়া,শ্রোডিঞ্জার ইকুয়েশনের মহাকাব্য রচনা করে শেষে বেলের অসমতা আর স্ট্রিং থিওরি,মাল্টিভার্সের ধারণার অবতারণা করে লেখক এক অভিনব ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন।সঠিক ভাবে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝতে হলে যেটা খুব প্রয়োজনীয়।পাশাপাশি প্রত্যেক টি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের ধারণার অবতারণা করার সময় লেখক আশ্রয় নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের তৎসংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের কিছু কাল্পনিক-বাস্তব কথোপকথনের... এতে বিজ্ঞানীদের মস্তিষ্কে সূত্র গুলো উদ্ভাবনের সময় যেরূপ উৎসাহ-আনন্দের প্রণোদনা হয়েছিল পাঠক সেটা অনেক টা উপলব্ধি করতে পারে।তাতে বইটি সমীকরণে ঠাসা "স্বর্গীয়" কথোপকথন না হয়ে পাঠকের কাছে এটি হয়ে উঠবে একাধারে চিন্তার খোরাক আর কৌতুহলোদ্দীপনার এক অপরূপ মিশেল।অন্যেরা কতটুকু বই পড়ে কি বুঝতে পেরেছে নাকি এটাকে হাসি ঠাট্টার বই হিসেবে নিয়েছে সেটা আমার দেখা বিষয় নয়।আমি নিজেকে বড় বলছি না,তবে আমার অনুসন্ধিৎসু মন সবসময়ই আমাকে যেই জিনিস গুলা অজানা সেটাকে জানার চেষ্টা করে।আমার ক্লাস নাইন টেন থেকেই কয়েকটা প্রশ্ন ছিলঃঃঃরাদারফোর্ড মডেল যদি ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ অনুযায়ী বিলুপ্তই হয়,সে হিসেবে ম্যাক্সওয়েল সঠিক হবার কথা।কিন্তু উত্তরে বলা ছিল নির্দিষ্ট কক্ষপথে e থাকার সময় শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে না বিধায় এটা স্থায়ী।এর ভেতরের ব্যাখ্যা যে শ্রোডিঞ্জারের সমীকরণের n এর ভ্যাল্যু তে আছে বা প্রোব্যাবিলিটি ফাংশনের বিস্তৃতির কারণে ওটার অবস্থান নির্ধারিত হয় না বিধায় বিকিরিত হয় না-সেটা এইবই পড়েই জেনেছি।চিরকাল হাতড়ে বেড়ানো "ব্ল্যাক বডি রেডিয়েশন" এর ব্যাখ্যা এত্ত সহজে আলুর প্যাকেট দিয়ে বৈজ্ঞানিক ভাবে বোঝানো যায় আমি সত্যিই কল্পনা করি নি।কিংবা আইনস্টাইনের ফটোইলেক্ট্রিক ইফেক্টের ব্যাখ্যা টা টোটালি ব্যাটারি চার্জের "অসামান্য" উপাদান দিয়ে বোঝানো যায় সেটা ভেবে সত্যি আমার মনে হয়েছিল "কতটুকু শ্রমদিয়ে একটা মানুষ বই লিখতে পারে"।।। আর শ্রোডিঞ্জারের টাইম ডিপেন্ডেনড় আর ইন্ডিপেন্ডেন্ট সমীকরণ কীভাবে বিল্ড আপ হয় সেটা একটা বাচ্চা শিশুকে বোঝানোর মতো করে লেখক বুঝিয়েছেন।সত্য কথা,আমার টানা বাংলা লেখা বই ভাল্লাগে না,লেখক যেভাবে সমীকরণ দিয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বুঝিয়েছেন আমি আমার এক্কেবাড়ে ছোটবেলা থেকে এমন একটা বই এর প্রতীক্ষায় ছিলাম।এক ফোটাও বাড়িয়ে বলছি না.-এই বইটি এবার বইমেলায় বিজ্ঞানের সেরা বই।আর আমি ছোটবেলা থেকেই গণিতের পূজারি।ইন্টারন্যাশনাল ইয়ূথ কম্পিটিশন আর বিডিএমও এর মেডেল আছে আমার..আমি স্বাভাবিকভাবেই চাইতাম গণিতের ভাষায় একটা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বই থাকুক।এই বই টা সেটার ষোলো আনা পূরণ করতে পারছে বলে আমি মনে করি।গতকাল রাতে ২ঃ১৫ টায় বই টা ধরেছি।কখন ফজরের আজান দিয়েদিল খেয়াল ছিল না।নামাজ পড়েই পরে ঘুমাই।সকালে উঠে বই টা একবারে ধরে টানা ৭ ঘন্টা পড়েছি।আমার খাতা গাণিতিক সমীকরণে ভর্তি হয়ে আছে।জিনিস পত্র নিজে চিন্তা করেছি..বই এর কথামতো।মজার ব্যাপার সেগুলার উত্তর কয়েক পেজ পরেই অনেক গুলার পাওয়া যায় সেটা অনেকেই জানে না(বিশেষত যারা পপ সাইন্সের বই বলে এটাকে চালাতে চায়)।অজস্র বিজ্ঞানীর মতো লেখকের প্রতিও আমার অজস্র সালাম।সেটা বুঝতে হলে ভ্রমণ করতে পারেন কোয়ান্টাম মেকানিক্সের রহস্যময় জগতে..চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটি সেক্ষেত্রে হতে পারে সকলের যথোপযুক্ত সংগী।শুধু পড়লেই হবে না চিন্তা করতে পারেন বই এর সমীকরণ নিয়ে।এতে বই এর তাৎপর্য আপনার কাছে আরো ভালোভাবে ধরা দিবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Abidur Rahman,
08 Mar 2020
Verified Purchase
রিভিউ: চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স
উপক্রমণিকা:
নাঈম ভাইয়ের একটা অভিযোগ আছে বইয়ের শুরুতেই। কোয়ান্টাম বলতে মানুষ শুধু ধ্যান বোঝে। সে হতে পারে। কিন্তু আমার অভিযোগ আলাদা। "বিজ্ঞানমনস্ক" মানুষদের মধ্যে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে লাফালাফি অনেক বেশি, পপ সায়েন্সের সুবাদে। কিন্তু কেউ কি আসলে ভালোভাবে বোঝে কোয়ান্টাম মেকানিক্স? বরং অনেক জেনে বসে আছি এই ভাবটাই প্রবল, শেখার আগ্রহ প্রায় নেই। একদম শুরু থেকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার মতো কোনো বই পাওয়াও দুষ্কর। এক্ষেত্রে "চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স" একটা উপায় হতে পারে।
মূল বক্তব্য:
চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইটা, ঠিক পপ সায়েন্স না। এখানে অদ্ভুত কণার রহস্যময় আচরণ না দেখিয়ে বরং আসলে কেন কি ঘটছে, সেটা গাণিতিকভাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আছে অনেক অনেক সমীকরণ আর গ্রাফ। কিন্তু বইটা কাঠখোট্টা টেক্সটবুকের মতোও না। পুরো বইটা লিখা গল্পের ছলে, সঙ্গে রয়েছে আবিষ্কারের পেছনের অনেক ইতিহাস, মজার ঘটনা।
আরেকটা জিনিস হলো বিভিন্ন অধ্যায়ের শেষে থাকা প্রশ্নগুলো। এই প্রশ্নগুলো দেওয়া আছে যাতে পাঠক চিন্তা করতে শেখে। কিন্তু কিছু প্রশ্ন, বিশেষ করে গ্রাফের প্রশ্নগুলো দেখে মনে হয়েছে, এগুলো সলভ করতে অনেক সময় লাগবে একজন বিগিনারের। অবশ্য ভয় পাওয়ার কিছু নেই, চিন্তা করতে শেখাই এখানে মূল উদ্দেশ্য।
বইটার শুরু হয়েছে ফোটনের পরিচয়, পরমাণু মডেল দিয়ে। এরপর আস্তে আস্তে জটিল বিষয়গুলো এসেছে। প্রতিটা ধাপে খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করে বেসিক ক্লিয়ার করে নেওয়া। শেষে গিয়ে আছে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচিত বিষয়ের ব্যাখ্যা । পরিশিষ্টে আছে আরো জটিল জটিল প্রতিপাদন 🐸।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে ছোটখাট অনেক আর্টিকেলই হয়তো পড়া হয়েছে আমার। এই বইটা পড়ে সব বিষয়ে ধারণা যেমন স্পষ্ট হয়েছে, তেমনি অনেক বিষয় নিয়ে অনেক গভীরভাবে জানতে পেরেছি ও চিন্তা করতে শিখেছি। মনে হয় আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে বুঝি সবকিছু।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স যেহেতু একটা "ট্রেন্ডিং" টপিক, তাই এটা নিয়ে জানার আগ্রহ অনেকের। কেউ যদি সহজ ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স জিনিসটা আসলে কি, এখানে কি কেন কিভাবে হচ্ছে এগুলো গল্পের ছলে কিন্তু একদম গাণিতিক ব্যাখ্যা সহ বুঝতে চায়, তার জন্য বইটা highly recommended.
উপসংহার:
আমি এই বইটার টার্গেট অডিয়েন্স না (রিভিউর প্রথম শব্দটা দেখলেই বোঝার কথা :P)। আমার বিচরণ বিজ্ঞানের অন্যদিকে। তবু ফিজিক্সপ্রেমী বন্ধুবান্ধব কিংবা সুস্মিত ভাইয়ার [ইলাস্ট্রেটর] মতো বড় ভাইয়ের সুবাদে কোয়ান্টাম মেকানিক্স সম্পর্কে জানা হয়েছে ভালোই। সেই জ্ঞান থেকেই বলতে গেলে এক বসায় পড়ে ফেললাম বইটা [NOT recommended. নাঈম ভাই ক্ষমা করবেন না :P]। বইটা পড়ে রিভিউ দিতে ভুলবেন না কেউ।
চা, কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স সেমি পপ সায়েন্স টাইপের বই।এখানে যেমন বিজ্ঞান আছে, ইতিহাস আছে, গানিতিক সমীকরণ আছে,আবার গল্পও আছে।
বইয়ের প্রথম দিকের চাপ্টার গুলো পরমানুর মডেল নিয়ে।ইন্টারের কেমিস্ট্রি বইয়ে রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতায় লেখা ছিল ম্যাক্সওয়েলএর তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্বানুসারে চার্জযুক্ত ইলেক্ট্রন শক্তি হারাতে হারাতে নিউক্লিয়াসে পতিত হবে।কিন্তু কেন হবে এর কোনো ব্যাখ্যা ছিল না।কিংবা বোর পরমানু মডেল এর সীমাবদ্ধায় ছিল জিম্যান প্রভাবে বর্নালী অনেকগুলো রেখায় বিভক্ত হয়। কিন্তু এতে বোরের মডেল কেন ভুল হবে তার কোন ব্যাখ্যা ছিল না ।চা,কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স বইয়ে এ ধরনের বিষয় গুলো চমৎকার ভাবে বোঝানো হয়েছে।ডি ব্রুগলির মডেল দিয়ে বোরের হিসেব মিলাতে আনা mvr= nh/2π প্রমান করার জন্য তরঙ্গের বেসিক জিনিসগুলো আনা হয়েছে(পুরো বই ই তরঙ্গের সমীকরনে ভর্তি এছাড়াও রয়েছে জটিল সংখ্যা আর সম্ভাবনা )।পরবর্তী অধ্যায়গুলো তে আলোচনা করা হয়েছে ভরের জন্ম, হাইজেনবার্গ এর অনিশ্চয়তা নীতি,স্টেট,সুপার পজিশন, বোজন,ফার্মিওন, ভৌতিক চাপ্টার (ফাইনম্যানের টাইম মেশিন),পলির অপবর্জন নীতি, আমার সবথেকে প্রিয় চ্যাপ্টার শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ (ইন্টারে শ্রোডিঙ্গারের সমীকরণ পুরাই মাথার উপর দিয়া গেছে।😴 অথচ বইতে খুব সহজ উপায়ে প্রমান করা হয়েছে।),কোপেনহেগেন ইন্টারপ্রিটেশন, কোয়ান্টাম টানেলিং, এনট্যাঙ্গেলমেন্ট, বেলের অসমতা,আর সাথে রয়েছে চা পানের বিরতি😃। বইয়ের সবচেয়ে ভালো লাগছে গনিতের ব্যবহার আর প্রত্যেক চ্যাপ্টারের শেষে থাকা প্রশ্নগুলো(বাচতে হলে ভাবতে হবে)।আমি এর আগে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে পপ সায়েন্স টাইপের বই পড়ছি যেখানে বিজ্ঞান কম ইতিহাস বেশি।কিন্তু গনিত আর পপ সায়েন্স একসাথে আছে এরকম বই প্রথমবার পড়ছি।
আমার লেখার মান বেশ খারাপ হওয়ায় সবকিছু ঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারলাম না। বইটা এর থেকে অনেক ভালো।লেখককে ধন্যবাদ। কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি নিয়ে লেখা বইয়ের অপেক্ষায় থাকলাম
কোয়ান্টামের রহস্যময় দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে চাইলে বইটা পড়তে পারেন।আক্কাস আলী, বক্কর ভাই,আর জসিমের সাথে আপনার সময় ভাল কাটুক।😃
Read More
Was this review helpful to you?
By Tanmoy Kumar Ghosh,
31 Mar 2020
Verified Purchase
চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স! প্রায় এক সপ্তাহ হল বইটা পড়ে শেষ করলাম। রিভিউ লিখব তা ভাবিনি। যা হোক, বইটি নাঈম হোসেন ফারুকী ভাইয়ের অনবদ্য প্রচেষ্টা। অনেক সহজ সরল ভাষায় লিখা বইটি। পরমাণু আবিষ্কারের ইতিহাস থেকে শুরু করে মাল্টিভার্স পর্যন্ত কণা জগতের অদ্ভুতুরে আচরণের কথা তুলে ধরা হয়েছে। Complex wave ব্যাপারটা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। Schroedinger equation বোঝাতে শর্টটেকনিক ব্যবহার করা হয়েছে। একাডেমিক বইগুলোতে তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলেও মাঝের গল্পগুলো পাওয়া যায় না।
বক্কর বাই আর আক্কাস আলীর মাধ্যমে অনেক জটিল বিষয়গুলো উপলদ্ধি করা যায়। বিজ্ঞানীদের মধ্যকার কথোপকথনগুলো বইটিতে পাওয়া যায়। আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হল ‘চা পানের বিরতি’ (আমার পচ্ছন্দের ‘ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ’) । আর বেশী ভাল লাগা অধ্যায় ‘ফার্মিওন আর বোসন’ এবং ‘পর্দার ওপারে’। তবে ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটার’ এবং ‘বেলের অসমতা’ আরেকটু ভাল ব্যাখ্যা আশা করেছিলাম। বইটি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য ভাল, আবার অনার্স লেভেলে কিছু কাজে দিবে। নবম-দশম শ্রেণীতে এসব না বোঝায় ভাল।
আমার জানা বাংলায় কোয়ান্টাম মেকানিক্সের এ ধরণের বই আর একটিও নেই। সবগুলোতে শুধু pop-science এর গল্পে ভরা থাকে, এগুলো পড়তে ভাল লাগলেও বিজ্ঞান তেমন জানা যায় না। তবে এই বইটি গল্পের সাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুভব করতে শেখায়।
Read More
Was this review helpful to you?
By Mahtab mahdi,
26 Feb 2020
Verified Purchase
বেস্টসেলার লিস্ট এ এটা থাকা উচিত। এই বইয়ে আপনি সব পাবেন।কখনো থ্রিলার বা কমিডি কখনো কমিকস অথবা কখনো হারিয়ে যাবেন অনিশ্চয়তার রাজ্যে।লেখক আবার সেখান থেকে আপনাকে টেনে এনে দেখাবেন আপনার চারপাশের রহস্যময় গল্প।এই সব থ্রিলার কমিডি ইনজয় করতে করতে দেখবেন যে আপনি পদার্থবিজ্ঞানের সবচাইতে কঠিন এ বিষয়টি যে আপনি কখন বুঝে গিয়েছেন তা নিজেই টের পাবেন না।
সতর্কবার্তাঃ বইটা পড়ার সময় আর বই পড়া শেষ করার পরে আপনি কিছুক্ষন বা কিছুদিন পর্যন্ত পাগল থাকবেন।বইটা একটা মাস্ট রিড!মাস্টারপিস!!!
Read More
Was this review helpful to you?
By Mehedi,
31 Aug 2020
Verified Purchase
কয়েকবার পড়ার সুযোগ হয়েছে। গানিতিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি গল্পচ্ছলে যুক্তি প্রদান বইকে করেছে প্রানবন্ত। চা পানের বিরতি গুলো ব্রেইনকে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। সবমিলিয়ে ভালো ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ নাঈম ভাইকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে এমন সুন্দর একটি বই লিখে বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রীদের বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা তৈরী করার সুযোগ করে দেবার জন্য। পরিশেষে বলি, "সবার জীবনে সেকেন্ড ডিফারেন্সিয়াল নেগেটিভ হোক "!
Read More
Was this review helpful to you?
By Md. Rifat Mahmud ,
23 Feb 2020
Verified Purchase
বইটা জাস্ট অসাধারণ ,কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের মতো এত জটিল ও রহস্যময় বিষয় নিয়ে গল্প হাস্যরস আর এত সহজ করে বোঝানো হয়েছে যে ক্লাস ৯ এ পড়ুয়া কোন ছাত্র যদি এই বইটা পড়া শুরু করে তাহলে ধিরে ধিরে সে কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সের রহস্যময় দুনিয়ায় একেবারে ভিতরে ঢুকে যাবে ।এখনো পুরো বইটা শেষ করতে পারি নি,কিন্তু এত সুন্দর বইটার রিভিউ না দিয়ে পারলাম না ।বিজ্ঞান প্রেমী সকল কে এই বইটা সংগ্রহে রাখা উচিৎ ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Rafi Robin,
04 Sep 2021
Verified Purchase
বইটা অনেক ভালো। তবে মুদ্রনে সমস্যা আছে। কিছু কিছু জায়গায় বোঝা যায় না কি বলল। যেমন এক জায়গায় " হবে " এর জায়গায় লেখা " কবে "। কোনো এক জায়গায় কক্ষপথে ইলেকট্রন লেখা ২,২,১৮। এরকম ছোট বড় বানানের ভুল দিয়ে বই টা ভরা। তবে এটা লেখকের ভুল নয়, প্রকাশনীর ভুল। আশা করি পরবর্তী সংস্করণে এমন ভুল সংসধন করা হবে। নিষ্সন্দেহে এটি একটি ভালো বই। কিন্তু এই রকম ভুল পড়ার আনন্দকে মাটি করে দেয়। :):
Read More
Was this review helpful to you?
By Md.Reduan Islam Ratul,
29 Jun 2020
Verified Purchase
নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষায় কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর উপর লেখা সর্বশ্রেষ্ঠ বই এই ' চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স' । নাইম ভাই এই বইতে একবারে ব্যাসিক থেকে শুরু করে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর গভীরে চলে গিয়েছেন। বইটিতে গল্পের মাধ্যমে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর অনেক জটিল বিষয় সহজে তুলে ধরা হয়েছে । আমি মনে করি সবার এই বইটি সারাজীবন সংগ্রহে রাখা উচিত। Happy Reading
Read More
Was this review helpful to you?
By Nazmul Islam Zisan,
20 Feb 2021
Verified Purchase
আমি এই বই সমন্ধে রিভিউ দেয়ার যোগ্য নিজেকে মনে করি না । তবে , একজন beginner হিসেবে আমার কাছে বইটি ভালো লাগেনি । যে কোন টপিক বেসিক থেকে শুরু করা উচিৎ ছিলো সহজ উদাহরণ দিয়ে । যদি আপনার ফিজিক্স, কেমিষ্ট্রি উপর যথেষ্ট দক্ষতা থাকে তাহলে পড়তে পারেন । বইয়ে খামাখাই লেখা হয়েছে যে ৯-১০ম শ্রেনির ফিজিক্স,কেমিষ্ট্রি, ম্যাথ জানলেই বই এর টপিক বুঝা যাবে !
Read More
Was this review helpful to you?
By Partho Protim,
31 Jan 2022
Verified Purchase
"সারা জীবন সংগ্রহে রাখার মত একটা বই" - এই বইটা আপনি ১০০০ টাকা দিয়ে কিনলেও আপনি চোখ বুজে লাভবান!!! কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে জলের মত সহজে বোঝানোর ক্ষমতা লেখকের!! আপনি নবম দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান জানলেই আশা করি পুরো বইটা বুঝতে কষ্ট হবে না। হ্যাঁ; বইটা কিনে আমি সার্থক🖤