“সুখ-সাফল্যের মায়াবী জগৎ" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সুখ-সাফল্যের এক মায়াবী জগতে আমাদের বসবাস। চোখ খুললেই সৌন্দর্যের এক রঙিন পৃথিবী। কেউ স্বপ্ন দেখে, কেউ দেখায়। প্রতিটি স্বপ্নের মূলেই থাকে সুখ-সাফল্যের প্রত্যাশা। কখনাে কখনাে স্বপ্ন সাফল্যে পরিণত হয়, ধরা দেয় আরাধ্য সুখপাখি। কখনাে তার উল্টো। আমাদের যাপিত জীবনে কখনাে আশার আলাে জ্বলে ওঠে, আবার কখনাে নিরাশার বালুচরে পা আটকে যায়। অন্ধকার রাতে হঠাৎ আলাের ঝলকানির মতাে সুখের আলােয় ক্ষণিকের জন্য জীবন আলােকিত হয়। আবার আঁধার আসে। জীবনবৃক্ষে সুখ-দুঃখ দুটি ফুলই ফোটে। জীবননদীতে চলে সাফল্যব্যর্থতার জোয়ারভাটা। এভাবেই এগিয়ে চলে জীবন, জীবনের গল্প। জীবনের এই যে যাত্রা, এখানে ব্যর্থতাও একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা সফলতার পথ দেখায়। সফলতা থেকে সার্থকতার দিকে এগিয়ে যাওয়াইতাে জীবনের উদ্দেশ্য। ভােগ আর বিত্তলােলুপতায় সাময়িক সুখ মিলতে পারে, কিন্তু তা স্থায়ী নয়। সময়ের বুদবুদে তা উবে যায়। বিশ্বাসের উপর যুক্তি-বুদ্ধি-প্রজ্ঞা আর শ্রমের দ্বারা নির্মিত প্রাসাদেই প্রকৃত সুখের সন্ধান মেলে। ছােট ছােট পদক্ষেপই জীবনকে সুখী করতে পারে; এনে দিতে পারে সাফল্যের সােনালি সিঁড়ি। জীবনটা মূলত সময়ের গণ্ডিতে বন্দি, যেখানে যােগ-বিয়ােগের দ্বন্দ্ব অনিবার। তবুও এ সংক্ষিপ্ত জীবনে আমরা সুখ চাই, চাই সফলতা। এ চাওয়া আমাদের সহজাত। এ চাওয়া নিরন্তর, অবিরাম। সুখ-সাফল্যের কিছু চিরন্তন নীতি এই বইয়ে আলােচিত হয়েছে, যা পাঠককে সুখসাফল্যের মায়াবী জগতে বিচরণ করতে কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারে। প্রিয় পাঠক, সুখ-সাফল্যের মায়াবী জগতের এ যাত্রায় আপনাকে আমন্ত্রণ!
আবু রেজা মাে. ইয়াহিয়া মূলত চিন্তাবিদ। স্বপ্ন দেখেন দরদী সমাজ ও মানবিক পৃথিবীর বিচিত্র তাঁর লেখার বিষয়- প্রকৃতি, মানুষ, মানুষের মন, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, সাফল্য, প্রশান্তি এবং মানবিক পৃথিবীর প্রত্যাশা। শৈশব থেকেই লেখালেখির সাথে সখ্য। সমাজ-সংস্কৃতি ও মানবকল্যাণ নিয়ে কাজ করেছেন রেড ক্রিসেন্ট সােসাইটি ও কচিকাঁচার আসরে যুক্ত থেকে। তুখােড় তার্কিক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। হয়েছেন আন্ত:হল। বিতর্ক প্রতিযােগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক। বিশ্লেষক হিসেবে দেশের ব্যাংকিং খাত, চলমান উন্নয়ন ও সমসাময়িক জাতীয় বিষয়ে নিয়মিত অংশ নেন টেলিভিশন টক-শােসহ বিভিন্ন আলােচনায়। লিখেছেন বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায়। সম্পাদনা করেছেন মাটি ও মানুষ পত্রিকা। তিনি ১৯৬৩ সালে মাগুরা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম আবু ইয়াহিয়া মােহাম্মদ আব্দুর রউফ। মাতা জামিলা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ১৯৮৫ ও ১৯৮৬ সালে যথাক্রমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন অভিজ্ঞ ব্যাংকার। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসােসিয়েশন ও বাংলাদেশ আইন সমিতির আজীবন সদস্য। তিনি রাশিয়া, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ব্রুনাই, মায়ানমার এবং সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সিম্পােজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন। সুখ কি সােনার হরিণ! ও সুখ-শান্তি-প্রশান্তি শিরােনামে তাঁর আরাে দুইটি বই প্রকাশের অপেক্ষায়।