“এখানে কি করছেন আপনি?', অন্ধকারের ভেতর থেকে। একটা গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম মানুষটাকে খুজলাম। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। “এখানে আপনার আসার কথা ছিল না। কে কথা বলছে? কতক্ষণ ধরে দৌড়াচ্ছি? কিছুই বুঝতে পারছি না। পা ধরে আসতে শুরু করেছে। হঠাৎ হুড়মুড় করে গড়িয়ে নিচের দিকে পড়ে গেলাম। নাকে ঘাসের গন্ধ এসে লাগছে। সােজা হয়ে উঠে দাড়াতে বিশাল মাঠ দেখতে পেলাম। মাঠের শেষ মাথায় গাঢ় অন্ধকার। পেছনে সিড়ি উঠে গিয়েছে বিশাল। এক রাজবাড়ির দরজার দিকে। এখানে কি করছেন আপনি?', আবারও সে গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। এদিকে এসাে', তাদের একজন বলল। প্রচণ্ড শব্দ করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করলাে মানুষগুলাে। উল্টো দিকে দৌড়াতে শুরু করলাম। মাঠের শেষ প্রান্তের অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পেছনে ফিরে তাকাচ্ছি। কিন্তু অসংখ্য মানুষের দাপাদাপির শব্দ শােনা যাচ্ছে। মাঠের শেষ প্রান্তে অন্ধকারের মুখে এসে থমকে গেলাম। সামনে আর কিছু নেই। পায়ের নিচে মাটি থমকে গিয়েছে। সামনে হাত বাড়িয়ে দেখলাম, কিছুই নেই। এটা বাস্তব হতে পারে না। নিজেকে বুঝ দিলাম লাফ দিবাে? যদি স্বপ্ন না হয়ে থাকে? তখন কি হবে? কিন্তু তারা ধরে ফেলবে তাে। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে এক পা এগিয়ে দিলাম সামনের দিকে। সাথে সাথে ডুবে গেলাম গাঢ় অন্ধকারে। নিচের দিকে পড়ছি। কেমন ভারি লাগছে শরীর। বুকের ভেতরটা যেন। কেউ খামচে ধরেছে। চোখ দুটো ফেটে বের হয়ে আসতে চাইছে মাথা থেকে। আমি কি মারা যাবাে?
লেখক পরিচিতিঃ "ছোট থেকেই পুরান ঢাকায় বসবাস। ঘরের পশে দেশের সর্ববৃহৎ বইয়ের আড়ৎ - বাংলাবাজার এবং বাবা ছিলেন দেশের স্বনামধন্য প্রকাশক। বইয়ের জগতে হারিয়ে যাওয়াটা ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। স্কুলের টিফিনের টাকা জমিয়ে কিশোর গোয়েন্দা এবং রহস্য উপন্যাস ক্রয় করা দিয়ে শুরু। নিজের কল্পনা একজন লেখক কিভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটা সবসময়ই তাকে মুগ্ধ করেছে। সেই মুগ্ধতাকে কেন্দ্র করেই লেখালেখির শুরু। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন প্রকাশিত হয় প্রথম উপন্যাস 'মধ্যরাতে টিনের চলে ঢিল মারিলো কে' - ক্রাইম থ্রিলার। অন্যন্য নতুন লেখকদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই রাইটার্স প্রোজেক্ট নামের একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ২০১৫ সালে। টানা তিন বছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ফলাফল তিনটি সম্পাদিত গল্পগ্রন্থ 'গেরুয়া রঙিন গল্প' - ১, ২, ৩। স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে বর্তমানে চাকরিজীবী।