কামরূপ ও রাক্ষিয়াং১ দেশের মধ্যবর্তী স্থানকে প্রাচীন আর্য্যগণ সুক্ষ আখ্যা দান করেন। ইহার অন্য নাম কিরাত দেশ। বিষ্ণুপুরাণে লিখিত আছে, ভারতের "পূর্বদিকে কিরাতের বাস।” সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, লৌহিত্যবংশীয় মানবদিগকে আর্য্য ঋষিগণ কিরাত আখ্যায় অভিহিত করিয়াছেন। তদনন্তর কিরাত ভূমি "তৃপুরা” আখ্যা প্রাপ্ত হয়। এই "তৃপুরা” শব্দ হইতে ক্রমে ত্রীপুরা এবং "ত্রীপুরা" হইতে ত্রিপুরা শব্দের উৎপত্তি। তৃপুরা শব্দের মূল নির্ণয় করা সুকঠিন। তন্ত্র ও পুরাণ (১) আলোচনা দ্বারা বিবিধ প্রকার সিদ্ধান্ত অনুমান করা যাইতে পারে, "ত্রিপুরাসুর হইতে ত্রিপুরা নামের উৎপত্তি কিম্বা ত্রিপুরাসুর নির্মিত তিনটি পুরী হইতে ত্রিপুরা নামের উদ্ভব; অথবা ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরী হইতে ত্রিপুরা নামের উৎপত্তি কিম্বা রাজবংশের স্থাপন কর্তার নামানুসারে এই দেশ ত্রিপুরা আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে। ”২ এই সকল সিদ্ধান্ত আমাদের বিবেচনায় নিতান্ত অযৌক্তিক। যে অনার্য্য কিরাতদিগকে আমরা "তিপ্রা” (ত্রিপুরা) আখ্যায় পরিচিত করিয়া থাকি, তাহাদের জাতীয় ভাষায় জলকে "তুই” বলে। এই তুই শব্দের সহিত "প্রা” সংযুক্ত করিয়া "তুইপ্রা" শব্দ নিষ্পন্ন হইয়াছে।
তপন বাগচী জন্ম: ২৩ অক্টোবর ১৯৬৮; কদমবাড়ি (মাতুলালয়) মাদারীপুর; পিতা তুষ্টচরণ বাগচী; মাতা জ্যোতির্ময়ী বাগচী। শিক্ষা: গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ও ফোকলাের বিষয়ে পিএইচডি । তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, যােগাযােগবিদ ও ফোকলােরবিদ।। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ: বুকের ভেতর বসত করে (২০১৪)-সহ সাতটি কাব্যগ্রন্থ; ছন্দোবদ্ধ ভাবের পদ্য (২০১২)-সহ এগারােটি ছড়া ও কিশাের গল্পগ্রন্থ; সাহিত্যের এদিক সেদিক (২০১৩), রবীন্দ্রনাথ ও বৌদ্ধ আখ্যান (২০১২), লালন মতুয়া লােকসংগীত সন্ধান (২০১২), যাত্রাগান: জনমাধ্যম ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত (২০০৭), মুক্তিযুদ্ধে গােপালগঞ্জ (২০০৭), রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ: চন্দ্রাহত অভিমান (২০০২)-সহ একুশটি প্রবন্ধ গ্রন্থ; পুরস্কার ও স্বীকৃতি:: স্টান্ডার্ড চার্টার্ড দ্য ডেইলি স্টার সেলিব্রটিং লাইফ লিরিক এওয়ার্ড (গান, ২০১৪ ও ২০১৩), সাংস্কৃতিক খবর পদক (কবিতা, কলকাতা, ২০১৩), মহাকবি মাইকেল মধুসূদন পদক (প্রবন্ধ, ২০১২), অমলেন্দু বিশ্বাস স্মৃতি পদক (লােকসংস্কৃতি, ২০০৮), জসীমউদ্দীন গবেষণা পুরস্কার (প্রবন্ধ, ১৯৯৬), মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার (প্রবন্ধ, ১৯৯১)-সহ আঠারােটি পুরস্কার ও স্বীকৃতি লাভ করেন। পেশা: উপপরিচালক, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ উপবিভাগ, বাংলা একাডেমি ।।