"আমাকে এবার পিছমোড়া করো" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ এ বইয়ের কবিতাগুলাে একই সঙ্গে কবির হৃদয় ও সময়ের উজ্জ্বল স্বাক্ষর। অন্তস্তলের গুঢ় কোনাে বাক্য বলা কামরুজ্জামান কামুর নিমগ্ন নমিত কণ্ঠস্বরকে একই সঙ্গে জগতের অন্যায়-অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, উচ্চকিত হয়ে উঠতে দেখি। এখানে তিনি কখনাে অন্তর্মুখী, কখনাে মুখর। ভিন্ন ভিন্ন কবিতার ক্ষেত্রে এ কথা যেমন প্রযােজ্য, তেমনি একটি কবিতার মধ্যেও তা একই সঙ্গে মূর্ত হয়ে ওঠে। এই বৈচিত্র্যই বইটির প্রধান বৈশিষ্ট্য। কবিতাগুলাে আপাতসরল অথচ বহুস্তর ও কূটাভাসে ভরা। দগদগে বাস্তবতাকেও তিনি কী করে শমিত নান্দনিকতায় উপস্থাপন করছেন, সেই কৃৎকৌশল বিস্ময়কর। কখনাে ফুটে উঠছে অসহায়ের নৈরাজ্যবাদী আক্রোশ, কখনাে বিষাদ। আবার কখনাে উদ্ভট রসের অবাক করে দেওয়া উপস্থাপনা। স্যাটায়ার আর বক্রোক্তির পাশাপাশি আছে শব্দের প্রচলিত অর্থের বাইরে গিয়ে নতুন অর্থ আরােপের সহজাত নিরীক্ষা, অন্বয়ের মােড় ও ফাঁদ; স্মৃতিকাতর করে দেওয়া। গ্রামবাংলার নিবিড় বর্ণনা আছে দৈনন্দিন জীবন থেকে উঠে আসা রসাত্মক কবিতাও। আর এসবের বয়ন ও বিন্যাস হয়ে চলেছে। ছন্দের নানা মাত্রার নানান প্রকারের কারচুপি বসানাে কারুকাজে।