কেন সিরিজের প্রথম বই এটি| প্রশ্ন করার বিষয়টি একেবারে মানবীয় গুণ| একদিক থেকে দেখলে এটাই মানুষকে মানুষ করেছে| অন্য কোনো প্রাণী প্রশ্ন করতে পারে কিনা সেটা আমরা এখনও জানিনা| তবে সম্ভবত পারে না| আর সবচেয়ে আধুনিক কমপিউটার বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বশেষ নিদর্শনটিও নিজ থেকে মৌলিক কোনো প্রশ্ন করতে পেরেছে বলে আমাদের জানা নেই। চারপাশের সবচেয়ে সাদামাটা জিনিসটি দেখে কৌতূহলী হওয়া এবং তার আরও গভীরের বিষয়গুলো বুঝতে চাওয়ার সাথে মানুষের হোমো স্যাপিয়েন্স হয়ে ওঠার যে সরাসরি সম্পর্ক আছে সে ব্যাপারে যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমাণ এখন আমাদের হাতে আছে। আবার ইতিহাস সাক্ষী, কোনো সভ্যতা বা সমাজে মানুষ যখনই বিনা প্রশ্নে কোনোকিছু মেনে নিতে শুরু করেছে তখন থেকেই সেই মানবগোষ্ঠীর অধঃপতনের শুরু হয়েছে।br সঠিক উত্তরের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সঠিক প্রশ্নটি করতে পারা। এরকম আটটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা এই বই। তবে এই বইটির মাধ্যমে শুধু গুটিকতক প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে তা-ই নয়, বরং এই আটটি কেন-এর মীমাংসা করতে গিয়ে তাদের মনে আরও অনেক প্রশ্ন ভিড় করবে। তেমন আরো কিছু প্রশ্ন নিয়েই এর পরবর্তী খন্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে। -- সৌমিত্র চক্রবর্তী
Title
কেন? - ১ম খণ্ড : দুই হালি ঘটনার বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান
১৯৮৭ সালের ১ জানুয়ারি রাজশাহীতে জন্ম বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ও লেখক সৌমিত্র চক্রবর্তীর। কাঞ্চননগর মডেল হাই স্কুল থেকে প্রাইমারি এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বই পড়ার নেশা ছোটবেলা থেকেই, আর এ বিষয়ে সবসময়ই উৎসাহ দিয়ে গেছেন তার বাবা-মা। তবে ক্যাডেট কলেজে পড়াকালে কলেজের লাইব্রেরিতে থাকা অনেক বিরল বইয়ের খোঁজ পেয়েছিলেন। সেসব বইয়ের মাঝে তাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করতো গণিতের বই। ফলে গণিতের প্রতি আগ্রহটা তার সহজাত, কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি জীববিজ্ঞানকেও আপন করে নিয়েছিলেন। অপরদিকে ঝিনাইদহ সরকারি স্বাস্থ্য সহকারী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ বাবা এবং ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার মায়ের অনুপ্রেরণাও তাকে প্রভাবিত করেছে। তাই চিকিৎসক হওয়ার আশায় তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু গণিত এবং জীববিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি পাশাপাশি লেখালেখিও করছেন। সৌমিত্র চক্রবর্তীর বই লেখার ধাঁচ অনেকটা গবেষণাধর্মী, এছাড়াও বাংলায় সহজভাবে তিনি গণিত এবং বিজ্ঞানের গুরুগম্ভীর বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে থাকেন যাতে করে সাধারণ পাঠকের কাছে বিষয়গুলো সহজ হয়ে দাঁড়ায়। সৌমিত্র চক্রবর্তী এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘প্রাণের মাঝে গণিত বাজে’, ‘জীবনের গল্প’, ‘জীবনের গাণিতিক রহস্যঃ পপুলেশন জেনেটিক্স ও গেইম থিওরি’, ‘গণিতের সাথে বসবাস’, ‘খণ্ড ক্যানভাস’ ইত্যাদি। বই লেখার পাশাপাশি তিনি আরো কিছু কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি একাধারে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একাডেমিক কাউন্সিলর, বাংলাদেশ জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী এবং ময়মনসিংহ প্যারালাল ম্যাথ স্কুলের উদ্যোক্তা। তাঁর সময় কাটে অবসরে বই পড়ে ও প্রোগ্রামিং চর্চা করে। ২০২১ সালে "করোনা বৃত্তান্ত" বইয়ের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃক "হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান লেখক পুরস্কার" -এ ভূষিত হয়েছেন।